Better Life With Steem || The Diary game || 3/6/2024

in hive-120823 •  4 months ago 
1000090934.jpg

সকাল সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে উঠি তারপর জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি মিটিমিটি অন্ধকার আর শিরশির করে খুব সুন্দর ঠান্ডা হাওয়া বইছে। এরপর জানালার পাশে বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে অজু করে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আবারো খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেলাম আলহামদুলিল্লাহ।

1000090816.jpg

ফজরের নামাজ শেষ করে আবার ছেলের কাছে শুয়ে থাকি। সেই শুয়ে থাকাতেই ঘুমিয়ে পরি, এরপর আবার সাতটার সময় উঠি। তারপর বাসার সমস্ত বাসি কাজগুলো করি,তখনো কেউ ঘুম থেকে উঠেনি আমি একা ছাড়া, আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানিও খাইনি তাই খুব ক্ষুধা লাগছিল,তাই একেবারে পান্তা ভাত ডিম ভাজি আর মরিচ পোড়া দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। পানি দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে কিছুটা শান্তি অনুভব করলাম।

এরপর দেখি ছেলে উঠেছে এবং উঠে বলছে আম্মু রুটি কলা খাবো তারপর আমি একটা বাটিতে করে ২ পিস রুটি এক পিস কলা দিলাম সে ফোনে কার্টুন দেখে খেতে লাগলো। এদিকে সাহেবও উঠে গেল, সেই ওঠেই মোবাইল ধরল।

1000090491.jpg

ছেলে খাচ্ছিল ওর পাশে কিছুক্ষণ বসে থেকে খাওয়া দেখে তারপর যাই, দুপুরের রান্নার আয়োজনে, প্রথমে রান্না ঘরে ঢুকে আগে চাউটা ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপর সবজিগুলো কাটতে বসি,আজকে দুপুরে রান্না করব ঢেঁড়স ভাজি, আর ডাল দিয়ে শসা। এদিকে সব আমার কাটা ধোয়া হয়ে যাওয়ার পর তরকারি রান্না করা শুরু করি। আস্তে আস্তে করে সবকিছুই রান্নাবান্না হয়ে গেল।

1000090641.jpg

আর এদিকে সাহেব ফোন ব্যবহার করে সাড়ে বারোটায় উঠেছে, উঠে গোসল করে বসলো। তারপর আমার রান্না হয়ে যাওয়ার পর আমি তাকে খেতে দিলাম একেবারে দুপুরে ভাত খেয়ে নিলো। তার সামনে সবকিছু বেধে রেখে আমি ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে গেলাম। গোসল করে এসে ছেলেকে জামা কাপড় পড়িয়ে বসিয়ে রেখে,, সাহেবের খাওয়া থালা-বাসন গুলো গুছিয়ে রেখে এরপর আমি জোহরের নামাজ পড়ি।

নামাজ শেষ করতে আড়াইটা বেজে গেল, আজকে দুপুরে ছেলেকে খাওয়ানোর আগে আমি খেয়ে নিলাম কারণ, ছেলে ওর বাবার সঙ্গে কয়েক লোকমা ভাত খেয়েছিল তাই আমি আগে ভাত খেয়ে ওরে খাওয়ালাম।

1000090765.jpg

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করতে করতে সাড়ে তিনটা বেজে গেল তারপর শুয়ে পড়লাম। ছেলে ঘুমিয়েছে ওর সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর সেই ঘুম থেকে পাঁচটার সময় উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে ওই বাসার পাশে ছোট্ট একটু জায়গায় হাটাহাটি করি। ছোট্ট জায়গাটুকুতে ৫-৬ মিনিটের মতন দাঁড়িয়ে থেকে আবার বাসার ভিতরে ঢুকে পরি।

বাসায় আসার কতক্ষণ পরে মাগরিবের আজান দিল, এরপর অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। আজকে ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যায় কোন নাস্তা দেইনি,কিছুই বানাতে ইচ্ছা করছিলোনা। বলেছি ওইখানে চকলেট আছে ওগুলো খাও। ছেলে চকলেট খেতে খেতে খেলতে লাগলো আর আমি ফোন নিয়ে বসেছি পোস্ট লিখতে।

পোস্ট লিখতে বসেছি এর ভিতর মার সাথে কথা বললাম আপু ফোন দিল আপুর সঙ্গে কথা বললাম। তাদের সাথে কথা বলে আজকের মত বিদায় জানিয়ে, বাকি পোস্ট লেখাটা শুরু করি। এরপর পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ হওয়ার পর এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি,আমি আজকে রাতের খাবার খেতে লেট করিনি কারণ,সন্ধ্যায় কিছুই খাইনি তাই রাতের খাবারটা তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলাম। খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ বাসায় হাটাহাটি ও ওঠাবসা করে সময় কাটিয়ে ওদেরকে নিয়ে শুয়ে পড়ে।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সকালে ঘুম উঠে ফ্রেশ কিছু না খেয়েই অনেক কাজ করেছেন তারপর পান্তা ভত খেয়েছিলেন। যেটুকু বুঝলাম আপনার পান্তা ভাত বেশ পছন্দ৷ তবে পান্তা ভাত খাওয়ার কথা উঠলে আমি সব সময় স্যালেন্ডার জানাই।

তবে ছেলেকে রুটি ও কলা দিয়েছিলেন। বাচ্চাদের পান্তা ভাত না খাইয়ে ঠিক কাজ করেছেন। পোস্ট লেখার মুহুর্তে মা ও আপুর সাথে কথাও বলেছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...
Loading...

আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। প্রতিদিনের ন্যায় আপনি খুব ভোরে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে যারা নিজেদের দিনের কার্যক্রম শুরু করে সত্যি তাদের দিনটি অনেক ভালো কাটে। ফজরের নামাজ আদায় করে আবারো কিছুক্ষণ ঘুমিয়েছিলেন। ঘুম থেকে উঠে পান্তা ভাত আর ডিম ভাজি খেয়েছিলেন। এরপর আপনার রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন।

ছেলে মেয়েকে সামলানো আবার বাসার সব কাজ করা সত্যি অনেক চ্যলেঞ্জিং একটি বিষয়। তবুও প্রতিনিয়ত আপনি এই কাজটি করে যাচ্ছেন। দুপুরে সবার শেষে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়েছিলেন।

সন্ধ্যায় আজ ছেলে মেয়েদের বাড়তি কোন খাবার খেতে দেন নি। সব মিলিয়ে দিনটি ভালোভাবে পার করেছেন। ভালো থাকবেন আপু। শুভ কামনা রইলো।

মাঝেমধ্য আপনাদের পোস্ট পড়তে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলি যেমন আজকে আপনি সকালে ঠান্ডা ভাত ডিম ভাজি মরিচ পুড়া দিয়ে ভাত খেয়েছেন। আসলে এগুলো অনেক মিস করি অনেকদিন হয়ে গেলো এই ভাবে ভাত খাওয়া হয় না।

যাইহোক নতুন একটি দিন পেয়ে আমরা সবাই খুশি হয়ে থাকি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি তিনি আমাদেরকে আবারো নতুন একটি সূর্যের আলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন কারণ অনেক মানুষ এই সূর্যের আলো ঘুমিয়ে থাকার পরে আর দেখতে পায় না।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবে।

আপনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে জানালার পাশে বসে ছিলেন। এরপর ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি আপনি পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করেন। দুপুরবেলা ঢেরস ভাজি ও ডাল দিয়ে শসা রান্না করেছেন। আমাদের বাসায় ও মা' মাঝে মাঝে এরকম ডাল দিয়ে শসা রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে।

সারাদিনের খানিক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সকালবেলা পান্তা ভাত এবং মরিচ পড়া দিয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে নিয়েছেন। বেশ ভালো কাজ করেছেন। পান্তা ভাত খেলে মোটামুটি শান্তি পাওয়া যায়। আসলে সংসারের কাজগুলো গুছিয়ে নিতে সময় কখন চলে যায়, বোঝাও যায় না। আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে বিকেল বেলা কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করেছেন। দুপুরে ঘুমিয়ে বেশ ভালো কাজ করেছেন, কেননা মোটামুটি ব্রেন ঠান্ডা থাকে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।