আলহামদুলিল্লাহ আবার একটি নতুন, ভোরে আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। প্রতিদিনের তুলনায় আজ সকালে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি, উঠে হাত মুখ দিয়ে ওজু করে ফজরের নামাজ আদায় করি।
নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর যাই কিচেনে থালা-বাসন গুলো ধুতে,এদিকে সাহেব ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে বাসায় কি কি লাগবে বল আমি বাজারে যাবো। আমার যা যা লাগবে সেগুলো আমি তাকে বলে দিলাম এরপর সে বাজারে চলে গেল। বাজার করতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি বাজার করে চলে আসলো। আর সকালে নাস্তার জন্য ডিম এবং পাউরুটি নিয়ে আসলো ডিম টোস্ট বানিয়ে খাওয়ার জন্য,তারপর আমি তার কথা মতন ডিম টোস্ট বানিয়ে দিলাম তারা তিনজনে মিলে খেলো আমি আর ওগুলো খাইনি, পান্তা ভাত ছিলো ডিম ভেজে এবং দুইটি মরিচ পোড়া দিয়ে খেয়ে নিলাম।
সকালে খানা খেয়ে পেটটা ঠান্ডা করে কিছুক্ষণ পর দুপুরে রান্না কাজে লেগে গেলাম। সবকিছু কেটে কুটে গুছিয়ে তারপর রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করেছি কলমি শাক, চিংড়ি মাছ দিয়ে পটল আলু, আর কাঁঠালের বীচি ভর্তা আর পটলের ছোকলা ভর্তা, মেলা দিন হয়েছে কোন রকমের ভর্তা খাওয়া হয়নি, আর এমনিতে আমি ভর্তার প্রেমিক মানুষ।
তাই রান্নাবান্না সবকিছু শেষ করে ভর্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি,,ভর্তা বানিয়ে সবকিছু গুছিয়ে রেখে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে যাই। গোসল শেষে ছেলেকে জামা কাপড় পরিয়ে দিয়ে তারপর আমি জোহরের নামাজ পড়ি।
জোহরের নামাজ পড়ে এরপর আমি সাহেবকে কল দেই দুপুরে ভাত খেতে বাসায় আসার জন্য, তখন বাজে দুপুর আড়াইটা। ফোন দেওয়ার পর সে বলল এখন আসবো না কিছুক্ষণ পর আসবো তোমরা খেয়ে নাও, ফোন কেটে বেশিক্ষণ আর খেতে সময় নেইনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে দুপুরে খাওয়া খেয়ে নিলাম।।
দুপুরে খাবার শেষে আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিলাম এর মাঝে সাহেব এসে পড়লে এবং তার সাথে তার বন্ধুকে নিয়ে আসলো। তারপর আমি শোয়া থেকে উঠে তাদের দুপুরে খাবার খেতে দিলাম। তারা দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ গল্প করল আর বিশ্রাম নিলো আমিও তাদের গল্পের সাথে যোগ দিলাম। সর্বশেষে তারা বিশ্রাম ও গল্প করে চলে গেল তারপর আমি আসরের নামাজ পড়লাম। আসরের নামাজ পড়ে উঠেছি তারপরে দেখি প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি পড়ছে, তারপর আমি সঙ্গে সঙ্গে বাহিরে গিয়ে কাপড়চোপড় গুলো সাইড করে রাখি।
মাগরিবের আজান দিল, আজান শেষে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ পর ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যায় আম কেটে দিলাম। ওরা দুই ভাইবোনে খেতে লাগলো আর আমি এদিকে কিছু ঘর গোছানোর কাজ করি কালকে সকালে অন্য বাসায় যেতে হবে তার জন্য,,অল্প কিছু গুছিয়ে রেখে তারপর সঙ্গে সঙ্গে ফোন নিয়ে বসি পোস্ট লিখতে। আজকের পোস্ট লেখাটা একটু তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে কারণ নয়টার সময় সাপ্তাহিক টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন্ট করতে হবে।
সর্বশেষে পোস্টটা লিখে কমপ্লিট করে এশা নামাজ পড়ি। নামাজ পরে ছেলেকে সঙ্গে সঙ্গে ভাত খাওয়াতে বসিনি কারণ ওকে খাওয়াতে গেলে অনেকক্ষণ সময় লাগবে। তাই একেবারে ক্লাস সম্পূর্ণ করে তারপর ছেলেকে ও খাওয়াবো আর নিজেও খেয়ে নিবো। এরপর আর দেরি না করে নয়টা বাজলো এবং ক্লাসে জয়েন্ট করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।।
হরেক রকমের ভর্তা খেতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আর ভর্তা আমি খুবই পছন্দ করি। তবে কাঁঠালের ভর্তা আমি কেমন একটা পছন্দ করি না। তবে তৈরি করি সবাই মিলে খায়। পটল খেতে পারি না তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে একটু খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ পরিবারের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit