Better Life With Steem || The Diary game || 5/1/2025

in hive-120823 •  last month 

হ্যালো গায়েজ,,,

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,

1000153538.jpg

বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। প্রতিদিন এর মত দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে এসেছি আজকে ডাইরি গেম নিয়ে।


প্রতিদিনের চেয়ে আসতে সকালটা শুরু হয় খুব আজব ভাবে। আর আজব ভাবে হওয়ার কারণ, হলো সাহেবের চাচাতো বোন সে সকাল ছয়টার সময় ফোন দিলো। ও সহজে তেমনটা সচরাচর ফোন দেয় না আজকে হঠাৎ করে এত সকালে ফোন দেখে অবাক হই বাড়িতে কিছু হয়েছে কিনা।

1000153518.jpg

তারপর ফোন রিসিভ করে শুনি শুধু ও কান্না করছে কিন্তু কিসের জন্য তা বলছে না, বলছে তোমরা ঠিক আছো কিনা। তারপরে কিছুক্ষণ পরে জানতে পারি ও নাকি খুব ভয়ানক একটা স্বপ্ন দেখেছে আমাদের নিয়ে তাই এত সকালে ফোন দিয়ে জানতে চাইলো আমরা ঠিক আছি কিনা।

এরপর কি করবো উঠে ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে শুয়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। তারপর সকালের নাস্তা বানাতে চলে যাই, আজকে সকালে নাস্তাটা তাড়াতাড়ি হওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি করতে পারি। আমার নাস্তা বানানো হয়ে গেলে তারপর তাদের বাবা ছেলেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দি। মুখ হাত ধুয়ে তারা নাস্তা খেতে লাগলো।

1000153525.jpg

সকালের নাস্তা খাওয়া হলে এরপর দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি। চটপট করে রান্না গুলো বসিয়ে দিলাম। আগে ভাত রান্না হয়ে গেলে তারপর তরকারি রান্না বসিয়ে দিই। এদিকে ছেলে আবার করেছে আরেক কান্ড ফ্লোরে প্রস্রাব করে সেই প্রস্তাবে আবার পিচলিয়ে পরেছে মাথায় প্রচন্ড ব্যথা পেল। এদিকে আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই ন্যাকড়া দিয়ে মুচতেও পারিনি।

1000153528.jpg

আমার একটু গাফিলতির কারণে ছেলে আজকে অনেক ব্যথা পেল। তারপর মাথায় পানি দিয়ে কিছুক্ষণ সান্তনা করে রেখে আমি বাথরুমে দিকে চলে গেলাম। সাহেবের কিছু কাপড়চোপড় ছিল ওগুলো ধুতে গেলাম। এদিকে যে আবার চুলায় তরকারি বসিয়ে গেছি সেটা মাথায় ছিল না এসে দেখি তরকারির পাতিল পুড়ে গেছে।

1000153532.jpg

তারপরের জলদি করে আর একটা পাতিলে উঠিয়ে রান্না করে নিলাম কিন্তু তেমন একটা স্বাদ রইল না আজকে তরকারিটাই। এরপরে রান্নাবান্নার কাজ শেষ করে ছেলেকে গোসল করিয়ে আমার গোসলটা সেরে নিলাম।

গা গোসল শেষ করে তারপর যোহরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আজকের দুপুরে খাবার খেয়ে মা ছেলে ঘুম যায়নি, আমার মায়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার কারণে ঘুমাবার সময় পাইনি তারপরে আর ঘুমায়নি। কিছুক্ষণ পরে আসরের আজান দিল নামাজটা পড়ে নিলাম।

1000153537.jpg

এরপর সন্ধ্যা নেমে আসলো মাগরিবের আজান দেওয়ার নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে ছেলেকে সন্ধ্যা বেলা একটা ডিম পোচ করে দিলাম ছেলে খেতে লাগলো এদিকে আমি পোস্ট দেখতে বসে পড়ি। এরপরে পোস্ট লেখা শেষ করে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম মেয়েও খেয়ে ঘুম পড়ে গেল। আমি আর বসে থাকি নি, এশার নামাজ পড়ে সে ছেলে মেয়ের সাথে শুয়ে পড়ি। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।দুলাভাইয়ের ছোট বোন সকাল বেলায় ফোন দিয়েছে, ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছে যে আপনাদের কোন বিপদ হয়েছে কিনা গতকালকে রাত্রে সে খারাপ স্বপ্ন দেখছে। এ কথাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ভাইয়ের প্রতি বোনের ভালোবাসা, আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটি বিষয় জানতে পারলাম। ভাইগ্না ব্যথা পেয়েছে শুনে অনেক খারাপ লাগলো। বাচ্চাদের প্রতি সবসময় নজর রাখতে হয়, আপনার সারাদিনের কার্যকলাপ নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তাঁর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।

Loading...

গ্রামের মানুষ এমনই ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলেই সাথে থাকা প্রতিটা মানুষের খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করে আপনার চাচাতো ননদ ঠিক তাই করেছে আসলে হয়তোবা সে আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসে তাই আপনার খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করেছে।

সকালটা একটু আজব ভাবে তো শুরু হলেও আপনার দিনটা কিন্তু খুব সুন্দর ভাবেই কেটে গিয়েছে আসলে বর্তমান সময়ে ছোট বাচ্চারা ব্যথা পেলে অনেক বেশি কান্না করে কিন্তু আপনি আপনার ছেলেকে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি কেননা আপনার হাজবেন্ডের জামা কাপড় ধোয়ার কাজ ছিল আপনার কাছে ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।