Better Life With Steem || The Diary game || 7/6/2024

in hive-120823 •  26 days ago 
1000093952.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,, আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে খুব ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি আবারো একটি নতুন সূর্যের আলো দেখতে পেয়ে।পৃথিবীর সব প্রাণী হল মরণশীল, মানুষ কখন জন্মগ্রহণ করবে সেটা বলা যায়। কিন্তু কে কখন মৃত্যুবরণ করবে সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারেনা। তাই প্রত্যেক দিন সকালে দিনের আলো দেখে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। চলুন এবার আমার গতকালকের সারাদিনের কার্যকর দিনলিপি গুলো শুরু করা যাক।


1000093419.jpg

গতকালকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে, এক গ্লাস পানির সাথে দুই বিস্কুট খেয়ে নিলাম। এরপর গেলাম রান্নাঘরে বাসি কিছু থালা-বাসন ধুয়ে এবং কিছু কাজ করি। এদিকে দেখি ছেলে দুইদিন ধরে ওর বাবার সাথে নিজের হাতে দাঁত ব্রাশ করে। এর আগে আমি করে দিতাম কিন্তু দুইদিন ধরে নিজের হাতেই দাঁত ব্রাশ করছে। তারা মুখ ধুয়ে আসার পর তাদেরকে চা রুটি খেতে দিয়ে, তারপর আমি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে চলে গেলাম দুপুরে রান্নার আয়োজনে।

1000093494.jpg

গতকালকে দুপুরে কি কি রান্না করবো তার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম।আর দুপুরে রান্নাটা খুব তাড়াতাড়ি বসিয়ে দিয়েছিলাম কারণ কোন কাজ ছিল না।রান্নাবান্না কাজগুলো সব শেষ করে এসেছি তারপর ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি তখন সাড়ে এগারোটা বেজেছে। রান্না শেষ হওয়া মাত্রই ফ্যানের নিচে এসে অনেকক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিই।

1000093585.jpg

তারপরে একে একে করে সবাই গোসল করে আসার পর এরপর আমি গোসল করতে যাই। গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়েই ছেলেকে দুপুরের ভাত খাওয়াতে বসি। ওকে খাওয়াতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়, তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করি।

দুপুরে খাবার খেয়ে সবাই শুয়ে রইলাম এবং মোবাইল ব্যবহার করতে লাগলাম। তারপর শুনি দরজায় কে যেন নক করল দরজা খুলে দেখি সাহেবের দুটো বন্ধু এসেছে,তারা বাসায় ঢুকে তিন বন্ধু মিলে কিছুক্ষণ কথা বলে আবার তিন বন্ধু মিলে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। তারা যাওয়ার পর আমি আসরের নামাজ পড়ে নিলাম।

গতকালকে বাহিরের আবহাওয়াটা খুব মেঘলা অন্ধকার ছিল এবং বৃষ্টি পড়ে গিয়েছিল বুঝতে পারছিলাম না আসরের নামাজ পড়তে ছিলাম নাকি মাগরিবের। আসরের নামাজ পড়তে শুরু করি এর মাঝে হঠাৎ করে প্রচুর বৃষ্টি নামা শুরু করল। নামাজ পড়ে বাহির থেকে কাপড় গুলো এনে রাখি, অনেক কাপড়চোপড় ভিজেও গিয়েছিল বৃষ্টি পড়ার কারণে।

1000093829.jpg

এরপর মাগরিবের আজান দিল ওযু নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে তারপর রান্নাঘরে গিয়ে ছেলে মেয়ের জন্য ভাজাপোড়া নাস্তা বানিয়ে দি। আর নাস্তাটা বানিয়েছি আলু পাউরুটি ও ডিম দিয়ে।ওদেরকে খাবারটা বানিয়ে দিয়ে তারপর আমি তরকারি গরম করে রাখি।

ওরা খেতেছিল আমি তরকারি গরম করে তারপর পোস্ট লেখতে বসে পড়ি। পোস্ট লিখতে ছিলাম এরই মাঝে আমার ছোট বোন ফোন দিলে তারপর ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। ওর সাথে কথা বলা শেষ করে বাকি পোস্ট লেখাটা শেষ করি। পোস্টটা লেখা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাওয়াতে বসি। ওকে খাওয়া শেষ করে আমরা রাতে খাবার খেতে লেট করিনি, রাতের খাবার খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ বাসার ভিতরে হাঁটাহাঁটি করে শুয়ে পরি।। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে যায়।সবার সুস্থতা কামনা করে,, বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সুন্দর একটি যেন লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশে এখন মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে আর কখনো হবে। যাই হোক বৃষ্টি মাখা সন্ধা ধরে শেষ হলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম।

পটল রান্না আমার কেমন পছন্দ নয় তবে ভেন্ডি ভাজি আমার কাছে খুবই প্রিয়।

আপনার সারাদিনই সংসারের বিভিন্ন কাজের পিছনে দিয়ে থাকেন। সকালের রান্না, দুপুরের রান্না সব কিছুই করতে হয়। তারপর বাচ্চাদের খাওয়ানো, যেটা খুব কষ্টের একটা কাজ বলে মনে হয়। সন্ধ্যার সময় আবার ভাজা পোড়া নাস্তা বানিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...

আপনার সারাদিনে কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের সংসারের কাজের কোন শেষ হয় না। আপনি সারাদিন ভালই রান্নাবান্না করেছেন। আপনি ভেন্ডি রান্না করেছেন ।আমি ভেন্ডি খেতে ভীষণ ভালোবাসি। সন্ধ্যাবেলায় আলু পাউরুটি ডিম দিয়ে ভাজাপোড়া নাস্তা বানিয়েছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আমাদের প্রত্যেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যাইহোক, আপনার বিগত পোস্টেও পরেছি আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খেয়ে থাকেন। আসলে সকালবেলা খালি পেটে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে রাতে ঘুমানোর আপত্তি মেয়ে মানুষদের কাজের কোন শেষ নেই। বাহ! সন্ধ্যার পর অনেক সুন্দর ভাজাপোড়া বানিয়েছেন।

সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

বাসায় কোন কাজ না থাকার কারণে রান্নাবান্নার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আপনার সাহেব তার বন্ধুদের কে নিয়ে বাসায় এসেছে এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে, আবার বেরিয়ে পড়েছে। আপনি আলু ডিম এবং পাউরুটি দিয়ে আপনার ছেলে মেয়েদের জন্য ভাজাপোড়া তৈরি করেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে ছোট বড় সবাই ভাজাপোড়া অনেক বেশি পছন্দ করে, খেতেও বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।