ভাইরাল স্টরি
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।সবাই কেমন আছেন আশা করি সকলে ভাল আছেন ।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার রহমতে আমিও ভাল আছি। আজকে আমি একটি বর্তমান জামানায় অনেক ট্রেন্ডিং যাহাকে বলা হয় ভাইরাল এই সম্পর্কে একটি কথা বলব।
source |
---|
তো এক গ্রামের চেয়ারম্যান এর ছেলে একটি গরিব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করে। তো চেয়ারম্যানের ছেলে যখন তার গরিব শ্বশুর বাড়িতে যায় তখন গিয়ে সে বলে যে, এটা খাবে সেটা খাবে মানে চেয়ারম্যান বাড়িতে যেমন সে খাবার দাবার খায় ঐরকম সে এখানেও তার শশুরের কাছে চাইতেছে ।কিন্তু শ্বশুর তো গরিব মানুষ তিনি কিভাবে এত কিছু আয়োজন করবে ।তারপরও শ্বশুর অনেক কষ্টের সবকিছু আয়োজন করে।
সকালবেলায় জামাই ঘুম থেকে উঠেই বলে যে, আমাকে একটি ডাব পেড়ে এনে দেন আমি ডাবের পানি দিয়ে মুখ দেবো। শশুর অনেক রাগান্বিত হন তারপরও অনেক কষ্টে সে একটি ডাব নিয়ে আসেন এবং সেই ডাবের পানি দিয়ে মেয়ের জামাই তার সকালবেলায় মুখ ধৌত করে নেয়। সকালবেলায় যখন তাকে রুটি এবং হাঁসের গোস্ত দিয়ে নাস্তা দেওয়া হয় তখন সে বলে আমি তো সকাল বেলায় গরুর গোস্ত দিয়ে নাস্তা করি ।আমি এটা খাব না শ্বশুর অনেক কষ্ট করে বাজার থেকে একটি হাঁস নিয়ে আসে শাশুড়ি অনেক কষ্ট করে রান্না করে কিন্তু জামাই এ কথা বলার কারণে তাদের মন একটু খারাপ হয় ।
মানে সবকিছুই জামাইয়ের উল্টো হয় এজন্য সে তার স্ত্রীকে রুমে নিয়ে অনেক মারধর করে ।এবং বলে আমি চাই নাই এজন্য গরিব বাড়িতে বিয়ে করতে কিন্তু আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম এজন্য বিয়ে করেছি। আজ আমার এটার শাস্তি পেতে হচ্ছে। তো চেয়ারম্যানের ছেলে যখন অনেক ধনী এজন্য সে তার শ্বশুর বাড়িটা চাইছিল পাকা করে দেয়ার জন্য। কিন্তু শ্বশুর বলে যে না পাকা করতে হবে না তো জামাইয়ের জন্য রাগ করে এবং তার স্ত্রীকে নিয়ে তার বাড়ি চলে যায়।
তো বাড়িতে গিয়ে মেয়ের শাশুড়ি অনেক নির্যাতন করেন অনেক কাজ করায় তার জামাই অনেক কষ্ট দেয় মারধর করে ।তো বাড়ির একজন লোক সে যখন মারে তখন সে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। তো যার ফলে পুলিশের কাছে এই ভিডিওটা যায় পুলিশ বাড়িতে আসে বাড়িতে এসে তাকে এরেস্ট করে নিয়া যায়। তখন তার স্ত্রী বলে যে আমার স্বামী আমাকে মারধর করে না আমরা সুখে আছি আপনি তাকে ছেড়ে দিন ।তারপর তার জামাই ভুল বুঝতে পেরে তার বউ এর কাছে ক্ষমা চায় তার শাশুড়ি ও তার কাছে ক্ষমা চায়। এবং সে গ্রামের মধ্যে অনেক ভাইরাল হয়ে যায় তো ,এর ফলে সে বুঝতে পারে যে সেও একজন মানুষ আমি একজন মানুষ তারপর আর নির্যাতন করা যাবে না তারপর সে আর কখনো তার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে না এবং তাদের সংসার ভালোভাবে চলতে থাকে।
এমন ঘটনা আমাদের সমাজে রীতিমতো অনেক ঘটছে। অনেক লোভী মানুষ রয়েছে যারা গরীব মানুষের বাড়িতে বিয়ে করে অনেক নির্যাতন করে থাকে।
যৌতুক নামক অভিশাপ সমাজে প্রচলিত একটা রীতি হয়ে গেছে।
আপনার লেখা গল্পে ভাইরাল হওয়ার পর মেয়েটি তার স্বামী নির্দোষ এমন দাবি করে। কিন্তু বিশ্বাস করুন ভাই বর্তমান সময়ে এমন স্ত্রী পাওয়া খুবই কঠিন।
যাই হোক তবুও ছেলেটা তার ভুল বুঝতে পেরেছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
There are many cases like this nowadays, manukkhas for dowry are very low quality work, and because of this many families don't survive, thanks for sharing this beautiful story with us.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit