তাপমাত্রা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আজকে একটি আপনাদের সামনে তাপমাত্রা নিয়ে একটি কাহিনী বলবো ।কাহিনীটা গল্পের মত সবাই পুরোটা পড়বেন তাহলে মজা পাবেন।
একটি লোক সে দোকানে বিভিন্ন প্রকারের জিনিসপত্র মার্কেটিং করত। যেমন, সে ফার্মেসিতে ওষুধ দিত এরকম করে সে অনেক কিছুই নিয়ে যেত। কিন্তু লোকেরা তার থেকে নিত না। একদিনের ঘটনা সে কিছু টক জাতীয় জিনিস যাহাকে বলা হয় হুজমি। ওইটা নিয়ে সে একটি ফার্মেসিতে যায় গিয়ে বলে যে ,এখন তো অনেক তাপমাত্রা পড়েছে এটা নেন এটা অনেক বিক্রি হবে। তখন ফার্মেসির লোকটি বলে যে এখন এগুলো বিক্রি হচ্ছে না
। আপনি যে আগে দুই প্যাকেট দিয়েছিলেন ওইগুলো রয়েছে। তখন যে মার্কেটিং করে ওই লোকটি বলে যে, ভাই আপনি আরো নেন ।তখন অনেক জোরাজুরি করার পরে লোকে নেয় না। তার পরে মার্কেটিং এর লোকটি কে ফার্মিসের লোকে ধাক্কা দিয়ে বের করা যায়।
তো মার্কেটিংয়ে যে, লোক তার বস আসে। এসে দেখে ওই লোকটি সে গেঞ্জি আর শর্ট প্যান্ট পড়ে মার্কেটিং করতেছে ।তখন তার বস বলে এভাবে মার্কেটিং করলে হবে না ।তোমার তো পোশাকের ঠিক নাই। তারপরে বলে স্যার এই গরমে কিভাবে আমি মার্কেটিং করবো ?এর জন্য আমার প্যান্ট শার্ট সবকিছু খুলে রেখেছি। বলে স্যার আমি যখন প্যান্ট শার্ট পড়ে থাকি গরমের মধ্যে তখন আমার মুখ থেকে আরবি কথাবার্তা বের হতে থাকে মনে হয় না যে আমি বাংলাদেশী।
তারপরের দিন লোকটি একটি এসি মেরামতের দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ।তখন এসি দোকানের লোকটিকে বলে যে, পুরাতন এসি কত? তখন বলে যে একেক টার দাম এক এক রকম ।তখন বলে কম দামের মধ্যে নাই ।তখন দোকানদার বলে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে একটি আছে। তখন মার্কেটিং এর লোকটি বলে যে পাঁচ হাজার টাকা দেই আপনি আমাকে এই এসিটা দেন। তখন দোকানদার বলে আচ্ছা ঠিক আছে ।তারপর দোকানদারকে বলে এখনই আমার বাসায় এসিটা লাগিয়ে দিয়ে আসেন ।তারপর দোকানদার তার বাসায় গিয়ে এসিটা লাগিয়ে দিয়ে আসে।
একটা কথা বলে রাখি মার্কেটিং এর লোকটা সে একটি বাসাতে ভাড়া থাকতো। ওই বাসাতে তার সাথে আরো দুজন লোক থাকতো ।তো রাত্রে যখন সে এসি ছেড়ে ঘুমাতে ছিল তখন হঠাৎ করে এসি ব্লাস্ট হয়ে লোকটি মারা যায়। তার বন্ধুরা বলে এই লোকটি আমাদের অনেক জালাইছে ভালোই হয়েছে মরে গিয়ে ।তার নামে অনেক বাজে কথা বলতে থাকে। এদিকে মার্কেটিং এর লোকটা মরে ভূত হয়ে গেছে সে তাদের সব কথা শুনতে ছিল। যখন তার সম্পর্কে অনেক বাজে কথা বলতেছিলো তখন লোকটি তাদেরকে মারতে চাইতেছিল কিন্তু তাদের শরীরে লাগতেছিল না।
তো অবশেষে ভূতে তাদের শরীরে ফু দিলে তাদের শরীর অনেক ঠান্ডা অনুভব হয় বরফের মতন। তাদের শরীরে ঠান্ডা অনুভব হতো তো। এটা ভেবে ভয় পেয়ে তার বন্ধুরা ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে ওই বাসাতে যারাই বাসা ভাড়া নিতে আসতো তাদেরকেই তিনি এভাবে বাসা থেকে ভয় দেখিয়ে বের করে দিতেন ।একদিন ওই বাসার নতুন ভাড়াটিয়া আসে আসার পরে তাদের সাথে একটি মেয়ে আসে মেয়েটিকে ভুতের অনেক ভালো লাগে এজন্য তাকে ভয় দেখায় না।
তো একদিন ভূত দেখে ওই মেয়েটি রান্না করতেছে। ভূত পিছনে দাঁড়িয়ে বলে আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগছে ।তখন মেয়েটি ঘুরে ভূতকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। তারপর বাড়ির লোকেরা তাকে বলে অজ্ঞান কেন হয়ে গিয়েছিলে। তখন মেয়েটি বলে আমি ভূত দেখেছি। তখন বাড়ির লোকের বলে কাজ না করার ধান্দা। তারপর আরেকদিন ওই ভূত আসে এবং বলে যে তুমি আমাকে ভয় পেয়ো না তারপরও সে ভয় পায়।
এরকম ভয় পায় দেখে ভূতটি তার সর্দারের কাছে যায় এবং বলে যে আমি মানুষ থেকে মেয়েটিকে ভালোবাসি । আমি তার সাথে আমি প্রেম করতে চাই। তখন ওই ভূতের সরদার মেয়েটির কাছে যায়এবং তাকে ফ্রিজ করে দেয় ।এবং তাকে বলে যে সে লোকটি অনেক ভালো আর তুমি যদি তার সাথে প্রেম না করো তাহলে তোমাকে তোমার রক্ত চুষে খেয়ে মেরে ফেলবো। তারপরে পরের দিন যখন মেয়ের কাছে আসে তখন মেয়েটি সব বলে যে তাকে ভয় দেখানো হয়েছে। তারপর এটা দেখে অনেক রাগ করে।
একদিন মেয়েটি তার বাড়ির লোকজনদেরকে খাবার দিতে ছিল। হঠাৎ করে বাড়ির মালিক খাবার খেয়ে বলে এগুলো কি রান্না করেছিস কোন কিছু ভাল হয় নাই ।মেয়েকে অনেক গালাগালি করতে ছিল তখন ভূতে ওই বাড়ির মালিকের উপরে ফু দেয় সবার উপরে সবার শরীর অনেক ঠান্ডা হয়ে যায়। তো এটা আবার ওই মেয়েটি বুঝতে পারে যে এটা ভুতে করতে ছিল এ কারণে প্রেমে পড়ে যায় মেয়েটি।
এভাবে তাদের চলতাছিল ।হঠাৎ করে মেয়েটিকে নিয়ে ভূত উধাও হয়ে যায়। তখন মেয়েটির বাড়ির মালিক বাড়িতে পুলিশ নিয়ে আসে এবং তাদের তাদেরকে বলে যে মেয়েটিকে খুঁজে পাচ্ছে না। তখন মেয়েটির ছবি চায় । পুলিশের কাছে মেয়েটির আইডি কার্ডের ছবি দেয় তখন পুলিশ দেখে বলে এই মেয়েটি তো দুই বছর আগে মারা গিয়েছে। তখন বাড়ির মালিক বলে সে আমাদের বাসায় কাজ করত। তখন পুলিশ বলে আপনাদের কাছে কোন সিসিটিভি ফুটেজ আছে সেটা দেখান। তারপর বাড়ির মালিক সিসিটিভি ফুটেজ আনে ।সেখানে দেখে যে কোন মেয়ে নেই বিডিওর মধ্যে। তারা কথা বলতেছে কিন্তু কার সাথে কথা বলতেছে এটা দেখা যাচ্ছে না। তখন তারা বলে যে মেয়েটি ভূত ছিল। অবশেষে মেয়েটিও ছেলেটিকে বলে আমিও আপনার মত ভূত ।আর গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যায়।
তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে তখন আমাদের কোন কিছুই করতে ভালো লাগেনা, তাপমাত্রা যখন কম থাকে তখন অনেক কিছুই ভালো লাগে, তাপমাত্রা নিয়ে আপনার শেয়ার করা গল্পটা খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আমাদের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। কালকে বৃষ্টি হওয়ার পর আমাদের এখানে তাপমাত্রা প্রায় স্বাভাবিক। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সত্যিই আমাদের খুব কষ্ট হয়। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিন দিন তাপমাত্রার পরিমাণ এত বেড়ে যাচ্ছে মানুষ আর পেরে উঠছে না। মানুষকে অতিষ্ট করে তুলছে। এখন বৃষ্টি হবার কথা ।কিন্তু বৃষ্টি হবার কোন নাম নেই। আপনার পোস্টে তাপমাত্রা সম্বন্ধে পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit