বরকত
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।সবাই কেমন আছেন আশা করি সকলে ভালো আছেন ।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি ।আজকে আমি একটি গল্প করবো সবাই মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
একটা ছেলে সে শহর থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে গ্রামে । সে একটি মেয়েকে ভালোবাসতো। ওই মেয়েটার বাড়িতে গাড়ি থামায় এবং মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে ।তারপর ছেলেটি গাড়ি থেকে বের হয় আসে ছেলেটি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং জিজ্ঞেস করে কেমন আছো? মেয়েটিকে ছেলেটি আগে থেকে ভালোবাসতো। মেয়েটির বাবা-মা বোন সবাই বের হয়ে আসে এবং তার সাথে কথাবার্তা বলে ।জিজ্ঞেস করে কেমন আছো? কখন আসছো তারপর। মেয়েটির বাড়িতে ছেলেটিকে যাইতে বলে কিন্তু ছেলেটি বলে মায়ের সাথে দেখা করি তারপর আপনাদের সাথে দেখা করব।
তারপর ছেলেটি বাড়িতে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর তার মার সাথে দেখা করে এবং বলে কতদিন যাবৎ তোমার হাতের রান্না খাই না ।আজকে তোমার হাতের রান্না করা ভাত খাব। তারপর তারা খাওয়া দাওয়া করে এবং বিকাল বেলায় ড্রাইভারকে নিয়ে এসে গ্রামের বের হয় ।হঠাৎ রাস্তার মধ্যে দুবাই থেকে একজন লোক আসে । আসার পথে দুবাইয়ের বন্ধুটি একটি পিছনে ছিল তাদের প্রাইভেটকার ছেলেটির প্রাইভেটকার কে অটো রিক্সা সাইট দিতে ছিল না। তখন ছেলেটি গাড়ি থেকে নেমে বলে যে গাড়ি সাইড দিচ্ছেন না কেন ?তখন তার বন্ধুটি আরবিতে কথাবার্তা বলা শুরু করে ।এবং ড্রাইভার বলে যে তাড়াতাড়ি রাস্তা ছাড়বেন আমার বসকে নিয়ে যাব। এভাবে তাদের কথাবার্তা চলে এক পর্যায়ে তাদের মাঝে অনেক ঝগড়া শুরু হয়ে যায় ।তারপর এক পর্যায়ে তাদের ঝগড়া শেষ হয়ে তারা গাড়ি নিয়ে দুইজন দুই দিকে চলে যায়।
তো দুবাইয়ের বন্ধু যখন মেয়েটির বাড়িতে যায় মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার জন্য অনেক ফল-ফলাদি নিয়ে যায়। অনেক কথাবার্তা বলে ।বলে যে তার দুবাইয়ে অনেক কিছু আছে এটা দেখে মেয়ের বাবা মেয়েটিকে তার কাছে মেয়েদের জন্য রাজি হয়ে যায়। তো ছেলেটা বিয়ের জন্য রাজি হয়।
তখন মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডের কাছে পরের দিন দেখা করার সময় বলে যে তার সাথে ওই ছেলেটির সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছে ।তখন ছেলেটি বলে আচ্ছা আমি তোমার আব্বুর কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাব আজকে। তারপর ছেলেটি তার আব্বুর সাথে দেখাও করে এবং অনেক কথাবার্তা বলে কিন্তু বিয়ের কথা বলতে পারেনা।
কয়দিন পর হঠাৎ করে যে বন্ধুটি দুবাই থেকে আসছিল সে ছিল একজন ধোকাবাজ ঢাকা থাকতো। মানুষের টাকা মেরে খাইতো ।তো বাড়ি থেকে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। তখন মেয়ের মা বাবা বলে যে আমরা বিয়ে না দিয়ে ভালো করেছি ।আজকে যদি তার কাছে আমাদের মেয়েকে বিয়ে দিতাম তাহলে আমাদের মান ইজ্জত সব নষ্ট হয়ে যেত ।মেয়েটি এই ছেলের কাছে বিয়ে দিব যে ছেলেটি ঢাকা থেকে আসছে তখনমেয়ের বাবা রাজি হয়েছে এবং তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
বিয়ে হওয়ার কয়দিন পরে যে ড্রাইভারকে ভাড়া করে নিয়েছিল ওইটা শুধু বলে যে তোমার টাকা দিয়ে দিব।গাড়ি ভাড়ার টাকা দিতে পারতেছিল না ।একদিন ড্রাইভার তাকে অনেক চিৎকার করে বলে আমার টাকা দেন না হয় আমি এলাকার সবাইকে জানিয়ে দিব যে আপনার গাড়ি এটা না। তারপর ছেলেথ মাকে সবকিছু ড্রাইভার বলে। তারপর ছেলের মা ছেলেকে বলে তুই এত বড় মিথ্যা কথা আমার কাছে কেন লুকিয়ে আছিস ।তারপর ছেলেটি তার মায়ের কাছে ক্ষমা চায় বলে যে, আমি যদি এই কাজটা না করতাম তাহলে আমি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারতাম না কারণ আমি তাকে অনেক ভালোবাসি।
তারপর ছেলেটি বুঝিয়ে শুনিয়ে ড্রাইভারকে ঢাকা শহরে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে মেয়েটিকে রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে একটি চিঠি লিখে যে, আমি এত ধনী মানুষ না ।আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমি আবার ঢাকা শহরে যাচ্ছি যেদিন আমি অনেক ধনী হতে পারব সেদিন আবার বাড়িতে আসবো। এ কথা লিখে মেয়েটিকে একটি চিঠি দেয়। যখন ছেলেটি বের হয়ে যাচ্ছে বাড়ি থেকে রাত্রি বেলায় তখন মেয়েটি বের হয়ে আসে এবং বলে কেন আমাকে বিয়ে করেছিলেন ?আমাকে ছেড়ে কেন চলে যাচ্ছেন? তখন মেয়েটি বলে আমি সবকিছু শুনেছি আমি সবকিছুই আপনার সম্পর্কে জানি তারপরও আমি আপনাকে ভালোবাসি। এ কথা বলাতে ছেলেটা অনেক খুশি হয় এবং মেয়েটি বলে আপনি শহরে যান অনেক টাকা পয়সা কামান এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আমি আপনার জন্য দোয়া করি আর এখানেই গল্পটি শেষ হয়ে যায়।
বরকতে এমন একটা জিনিস যেটা অল্প জিনিস কে বেশি করে দেয়। অর্থাৎ তারা যদি বরকত দেন তাহলে অল্পতে মন ভরে যায় । অল্প টাকাতে আমাদের সন্তুষ্টি আসবে যদি আল্লাহতালার বরকত থাকে। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit