"নমস্কার বন্ধুরা!"
আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আমি এক ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক.......
যে মেয়েটা চা ছাড়া একটি মুহূর্তও কল্পনা করতে পারে না, সেই মেয়েটা একদিন পছন্দের চা ছেড়ে দেয়। মেয়েটা নিজের মতো করে থাকতে ভালোবাসে। সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে থাকা শর্তেও। সেই মেয়েটি কোন একদিন সবার থেকে দূরে চলে যায়। নিজেকে একটি ছোট্ট ঘরের কোনে গুটিয়ে নেয়। যে মেয়েটির কাছে তার বন্ধুবান্ধবরা অনেক দামি,আবার সেই মেয়েটির কাছে একদিন তার সেই বন্ধুবান্ধবরা পর হয়ে যায়।
আর বন্ধুরা যে তাকে ছেড়ে চলে যায় এমনটি ও নয়, সে আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নেই। অন্যদিকে যে ছেলেটা সবথেকে বেশি রাগী, যার কথার উপর পরিবারের কেউ কোনো কথা বলতে পারেনা, সেই ছেলেটিই আবার অন্য কারোর কাছে শান্ত। অন্য কারো রাগ ভাঙাতে সারাক্ষণ মুখিয়ে থাকে। সেই ছেলেটির রাগ কোন এক মায়াবীনির কাছে তুচ্ছ।
ভালোবাসা সুন্দর যদি মানুষকি সঠিক হয় তবে। সঠিক মানুষকে ভালোবাসতে পারলে জীবনে সুখের কোন ঘাটতি থাকে না। ভালোবাসা ভয়ংকর সুন্দর শুধু ভালোবাসার মানুষটি সঠিক হতে হবে। সঠিক মানুষের ভালোবাসা আবার সবাই পায় না। যারা তাদের জীবনে সঠিক মানুষের ভালোবাসা পায় তাদের জীবন সত্যিই অনেক সুন্দর।
রাজা বাদরাগী স্বভাবের ছেলে হলেও টুকির অভিমান হলে রাজা পাগলের মত হয়ে যায় টুকির অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য। টুকিকে তার পরিবারের সকলেই রাজাকে বিয়ে করতে মানা করেছিলো। কিন্তু টুকির রাজার প্রতি বিশ্বাস ছিল যে, রাজা টুকিকে ভালো রাখার জন্য সব কিছু করতে পারবে।
কোন মেয়ে আজ পর্যন্ত কোন ছেলের স্বভাব বদলাতে পারিনি। কিন্তু সেই ছেলেটিই আবার তার পছন্দের মানুষের জন্য নিজেকে বদলে ফেলে। টুকির নিজের ভালোবাসার মানুষের প্রতি আস্থা ছিল যে, রাজা টুকির জন্য নিজেকে পরিবর্তন করবে। এবং রাজা তা করেছিলোও।
রাজা যে শুধু নিজেকে পরিবর্তন করেছিল এমনটা নয়, রাজা টুকির পরিবারের সবার তার প্রতি যে ধারনা ছিল সেটি ও সে মিথ্যা প্রমাণ করেছিলো। রাজা টুকির মার সাথে যেদিন প্রথম দেখা করেছিলো, সেদিন টুকির মাকে রাজা বলেছিলো যদি টুকিকে তার সাথে বিয়ে দিতে তারা রাজি না হয় তবে রাজার তরফ থেকে কোন সমস্যায় টুকির পরিবারকে পড়তে হবে না।
রাজা এবং টুকি তাদের পরিবারের অমতে গিয়ে কোনদিনই কিছু করতে চাইনি। রাজা এবং টুকি তাদের দুজনের চেষ্টার মাধ্যমে তাদের পরিবারকে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছিলো। টুকির পরিবারের সকল সদস্য প্রথমে অমত পোষণ করলেও পরে সবাই টুকির খুশির কথা ভেবে তাদের দুজনের বিয়ে দেয়।
সত্যিই বর্তমানে টুকি খুব সুখে শান্তিতে সংসার করছে।টুকির শশুর শাশুড়ি টুকিকে নিজের মেয়ের মতো করে ভালোবাসে। রাজা সত্যিই টুকিকে অনেক ভালোবাসে এবং সে টুকিকে অনেক সুখেও রেখেছে। আমাদের ভালোবাসার মানুষটি যদি সঠিক হয় তাহলে জীবনের চলার পথটাও অনেক সহজ হয়ে যায় এবং জীবনটা অনেক সুখে শান্তিতে কাটে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মেয়েরা খুবই মায়াবতী হয়ে থাকে যার প্রতি একবার মায়া জন্ম নেয় তাকে ছেড়ে যাওয়াটা মেয়েদের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায় তবে ছেলেদের ভালোবাসা খুব সহজে বোঝা যায় না কারন ছেলেরা তাদের ভালোবাসা কিভাবে প্রকাশ করে সেটা আমরা নিজেরাও জানিনা তবে ভালোবাসার জন্য অবশ্যই মন মানসিকতার প্রয়োজন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভালবাসার মানুষ যদি মনের মত হয় তাহলে সেখানে ভালোবাসা টিকে থাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেমন টুকি এবং রাজার ভালোবাসা প্রথম অবস্থায় কেউ মেনে না নিলেও পরবর্তীতে তাদের চেষ্টায় তাদের ভালোবাসা পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছে।
একটা কথা কি জানেন তো ভালোবাসা সুন্দর যদি সেখানে মনের মত মানুষ পাওয়া যায় আপনি আপনার মানুষকে বা আপনার ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে চলে যাবেন পরিবারের কথা অনুযায়ী অন্য কাউকে বিয়ে করবেন সেখানে কিন্তু আপনি কখনোই সুখী থাকতে পারবেন না তাই যত চেষ্টা যত কষ্ট হোক না কেন অবশ্যই পরিবারের মানুষকে মানিয়ে নিন নিজের ভালোবাসার মানুষকে আপন করে নেবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালোবাসার কথা যতটা বলা সহজ ঠিক ততোটাই কঠিন একটা মানুষকে সত্যি কারের ভলোবাসতে। একজন ব্যক্তি যদি কাউকে সত্যি কারের ভালোবাসে তবে সে ব্যক্তি কখনো সেই ভালোবাসার মায়া থেকে নিজেকে বের করতে পারে না।
ভালো থাকবেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit