নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো
আছেন।
গতদিনের মতো আজকেও আমি নতুন একটি লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক...
তুমি কি থাকবে আমার সাথে নাকি শুধুই অভিনয় করেছিলে থাকার। রুম্পার বলা কথাটা শুনে তামিম কোনো কথাই বলতে পারলো না। শুধু নিস্পলক তাকিয়ে ছিল রুম্পার দিকে। রুম্পা কথা গুলো বলার সময় একটি বারও তামিমের দিকে তাকাইনি।
রুম্পার সামনে স্থির বয়ে চলা নদীর দিকে তাকিয়ে খুবই অবলীলায় তামিমকে কথা গুলো বলে দিল।সেদিন তামিমের চোখের দিকে যদি রুম্পা একটি বার তাকিয়ে দেখতো তাহলে হয়তো আজ তারা দুজন দুজনকে হারিয়ে ফেলতো না।
তামিম আর রুম্পার সম্পর্কটা খুব দীর্ঘদিনের নয়।তবে খুবই গভীর। তামিমের স্বভাবটা একটু চাপা। সে সব মেয়েদের সাথে অবলীলায় মিশতে পারতো না। তার মনের কথা সে সবাইকে বলতে পারতো না। তার সামনের মানুষটাকে সে কতটা ভালোবাসে এটা সে বোঝাতে পারে না।সে জানে না কিভাবে ভালোবাসি বলতে হয়। তামিম স্বল্পভাষার কিন্তু তার চোখ দুটি স্বল্পভাষার ছিল নয়। তার চোখ দুটো এমন অনেক কথাই বলে দেয় যা সে কোনো দিন হয়তো নিজের মুখেও বলতে পারবে না।
কিন্তু রুম্পা সে তো চায় তামিম যেন তাকে সব মুখে বলে।রুম্পা চায়, তামিম তাকে অনুভব করাক যে তামিম তাকে কতোটা চায়। কিন্তু তামিম তা করে উঠতে পারে না। এই ব্যাপারে তাদের দুইজনের ভিতর রোজ মনোমালিন্য হয়ে থাকে। তামিম সর্বদা চেষ্টা করে রুম্পাকে বোঝতে। মাঝে মাঝে সফলতা আসে। কিন্তু বেশিভাগ সময়টাতেই রুম্পা মানিয়ে নেয়, মেনে নেয় না।
ভালাবাসা যদি এমন হয় যে সুন্দর শব্দ দিয়ে বন্দী,ভারি ভাষার অলংকার,তাহলে আমার চাই না! তা আমার হতে হলে প্রকাশ করার দরকার নেই,সেটা অনুভব করার জন্য আমার একটা মন আছে কি না।
তামিম কি কোনো দিনও পারত রুম্পাকে বোঝাতে! মনে হয় না। যদি পারতো তাহলে হয়তো সেদিন রুম্পা তামিমকে ছেড়ে চলে যেতে না। সে দিন রুম্পার চলে যাওয়ার দিকে তমিম নিস্পলক চেয়েছিল। তীব্র ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রুম্পাকে পিছু ডাকতে পারে নি। ডাকতো ও বা কি করে এবার তো রুম্প চেয়েছিলো থেকে যেতে কিন্তু তামিম আর চাইনি। তামিম নাকি রুম্পা? কার দোষ ছিল এটা সঠিক বলাটা মুশকিল।
কিন্তু রুম্পা তামিমের বিচ্ছেদটা হওয়ার পর তিনটি গল্প তৈরি হয়েছিল। একটি গল্প যা তামিম বুঝিয়েছিল আর একটি গল্প যেটা রুম্পা বুঝিয়েছিল। আরও একটা গল্প তৈরি হয়েছিল যেটা হয়তো তারা দুজনেই বুঝতে পারতো যদি আর একটু সময় নিয়ে তারা কথা বলতো। তাদের বিচ্ছেদটা হওয়ার পর রুম্পার আর একটি বার তামিমের কথা মাথায় আনার অবকাশ হয়নি।সে তার সব কিছু নিয়ে ভালোই আছে।
কিন্তু তামিম!সে তো এখনো রুম্পার শেষ দিন বলা কথা গুলো, রুম্পার বলার ভঙ্গিটা, রুম্পার অবলীলায় তামিমকে ছেড়ে চলে যওয়া, এগুলো কিছুই ভুলতে পারে নি। তামিম আজও প্রত্যেক রাতে ছাদে যায়, সেই পুরোনো চেয়ার খানাতে বসে।কিন্তু এখন আগের মতো ফোনের সেই যান্ত্রিক রিংটোনটা আর বাজে না।
এখন আর তামিমের রাতে ঘুম আসে না কারণ সেই মায়াভরা কন্ঠে কেউ "শুভ রাত্রি প্রিয় " বলে না। তামিম বিচ্ছেদ এর পর একা একা থাকে।তার আর কাউকেই বোঝানোর কিছু নেই।
শেষ পর্যন্ত সে তার প্রিয়তমাকে বলতে পারেনি সে তাকে কতোটা..................!!