বাহিরে থেকে মোটর সাইকেল করে কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তার কিছু মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। সাথে আছে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা। তাইতো আজ আবারো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হতে পেরেছি। আজকে আমি শেয়ার করব মটর সাইকেলে করে। কিছু খাদ্য নিয়ে এসেছিল আমাদের এখানে তার কিছু মুহূর্ত।

তার আগে বলে রাখি আজকে আমাদের কাজ ছিলো অনেক কম। এক কথা বলতে গেলে আজকে কাজে না গেলেও আমাদের চলতো। তবুও দুই দিন বসেছিলাম তাই আজকে কাজে গিয়েছিলাম। কারণ বিদেশ বাড়ি এক দিন কাজ না করলে আসলে আমাদের লস হয়ে যায়। তার পাশা পাশি প্রতি দিন আমাদের ৩০ থেকে ৪০ রিঙ্গিত করে খরচ হয়। কারণ কাজ না থাকলেও খাওয়া দাওয়া তো করতে হবে। তার পাশা পাশি নিজেদের একটি পকেট খরচ আছে।

তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজের সাইডে গিয়ে কিছুটা সময় ঘুরে ফিরে আবার রুমে চলে আসি। যেহেতু কাজ করছি কি না করছি সেটা বড় কথা নয়। কাজের মধ্যে মোবাইল বের করে মোবাইল দেখা নিষেধ আমাদের। বসে থাকতে থাকতে দশটা বেজে যায় তখন আমাদের রেস টাইম হয়ে যায়। মামুন ভাই এবং আরেকটি ভাই উপরে ছিলো তারা বসে। মামুন ভাইয়েরা দশটার সময় নিচে চলে আসে।

মামুন ভাইয়ের সাথে যে ভাইটি ছিলো সে আমাকে বলছিল আমাদের এখানে আরেকটি ক্যান্টিন তৈরি করেছে সেখানে গিয়ে একটু ঠান্ডা খেয়ে আসার কথা। ক্যান্টিন তৈরি করার পর থেকে আমরা কখনো সেখানে যায়নি। তাই আজকে সেখানে ঠান্ডা খেতে যাবো বলে আমরা বেরিয়ে ছিলাম। যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম মোটর সাইকেল করে কিছু খাদ্য নিয়ে এসেছে।

আমাদের এখানে ক্যান্টিন অবশ্যই আছে কিন্তু তেলে ভাজা কোনো জিনিস তৈরি হয় না। এবং ইন্দোনেশিয়ার বা ইন্ডিয়ার মানুষেরা যদি ক্যান্টিন চালাতো তাহলে অবশ্যই তেলে ভাজা জিনিস তৈরি হতো। বাংলাদেশের মানুষেরা এই ক্যান্টিন চালায় বলে এখানে তেলে ভাজা কোন জিনিস বিক্রি হয় না। ‌ আমার সাথে যে ভাইটি ছিলো সে তেলে ভাজ জিনিস অনেক বেশি পছন্দ করে। আমিও যে পছন্দ করি না তা কিন্তু নয়। কিন্তু আমার শরীরটি খুব বেশি ভালো না বলে আমি এখন খাচ্ছি না।

ধীরে ধীরে আমরা মোটর সাইকেলের কাছে গেলাম সেখানে গিয়ে একটি কাঁচি দিলো আমাদের কাছে। যার যেমন মন চায় ঠিক তেমন খাদ্য এখান থেকে কেটে নিতে হবে একটি রশি দিয়ে বাঁধা আছে। আমার সাথে যে ভাইটি ছিলো সে সেখান থেকে কিছু তেলে ভাজা জিনিস নিয়েছিল এবং একটি আম কাটা নিয়েছিল। আমাকে বলছিল সেখান থেকে কিছু খাওয়ার জন্য কিন্তু আমি মানা করেছিলাম।

পরবর্তীতে আম দেখে কেমন জানি একটি খেতে মন চাইলো তাই সেখান থেকে এক পিস আম নিয়ে খেতে ছিলাম। এবং ক্যান্টিনে চলে গেলাম যাওয়ার সময় আম খাওয়া শেষ হয়ে যায়। ক্যান্টিনে গিয়ে ঠান্ডা অর্ডার দিয়ে আমরা ঠান্ডা খেতে ছিলাম। ঠান্ডা খাওয়ার সময় আমরা একটি ছবি সেখান থেকে ধারণ করি। এবং রেস টাইম শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা সেখান থেকে আবার চলে আসি কাজের জায়গায়।

এভাবে আজকের দিনটা কিছুটা পার করি এবং পাঁচটা পর্যন্ত আমরা কোনো ভাবে দিন পার করে কাজে জায়গা থেকে চলে আসি। এসে আবার নিজেদের রান্নার কাজ তো আছে সব কাজ না হলেও রান্নার কাজ অবশ্যই আমাদের করতে হবে। ক্যান্টিনে গিয়ে আবার নিজেদের বাজার ঘাট করে নিজেরা ফ্রেশ হয়ে রান্নার জন্য চলে গেলাম। আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন

@baizid123