বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,, আসসালামু আলাইকুম আমার সকল বন্ধুরা কেমন আছেন,, আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন,, এবং সর্বপ্রথম মাহে রমজান মাসের শুভেচ্ছা রইল আপনাদের সবার প্রতি।
আলহামদুলিল্লাহ একটি বছর পরে আমরা সবাই ফিরে পেলাম মাহে রমজান মাস,, এক বছর পরে ফিরে পেলাম মাহে রমজান মাস,,, এবং এই একটি বছরের মধ্য হয়তো বা আমাদের আপন জন মানুষ,, অনেকেই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে তাদের প্রতি দোয়া ও প্রার্থনা রইল।
এই একটি মাস আল্লাহর কাছে আমরা বেশি বেশি করে দোয়া রাখবো তাদের জন্য,, এবং নিজের সুস্থ ভাবে চলার জন্য,, এই একটি মাস রহমতের মাস এবং আল্লাহর কাছে দোয়া রাখলে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেই না।
আজকে প্রথম তারাবি আদায় করে এসে লেখার জন্য বসে গেলাম,, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এখানে যে মসজিদ আছে সেখানে মানুষের জায়গা ধরে নাই,, হয়তো বা দিন দিন সেখানে মানুষ কমে যাবে,, কারণ এই বাহিরে পরিশ্রম করে ত্রিশটি রোজা রাখা সম্ভব হবে না।
তবে অনেকেই চেষ্টা করবে এবং আমিও চেষ্টা করব যতটা সম্ভব রোজা রাখার জন্য,, আজকের সারা পৃথিবীর মুসলিম মানুষের কাছে অনেক আনন্দের একটি দিন,, তারা অনেক ইবাদত করবে আল্লাহর কাছে এবং প্রার্থনা করবে,, আল্লাহ তা'আলা তাদের মনের আশা পূরণ করুক এই কামনা করি।
যাইহোক বাংলাদেশে থাকতে এই রোজার মাসে কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো,, যে কথা গুলো আজকে নামাজ পড়ে এসে মনে পড়লো অনেক বেশি,, তাই তার কিছু কথা শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
সর্ব প্রথম তো আম্মার কথা অনেক বেশি মনে পড়ল,, কারণ তারাবির নামাজ আদায় করে এসে মায়ের হাতে খাওয়া-দাওয়া,, এবং সকালে আম্মা ইফতারি খাওয়ার জন্য ডাক দিতো,, এখন আর এই ডাকটি কেউ দেবে না,, কেউ জোর করে বলবে না আব্বু রোজা থাকো।
নামাজের সময় হয়ে আসলে কেউ বলবে না নামাজ আদায় করে আসো,, আজকে তো আম্মার কথা অনেক বেশি মনে পড়ছে,, তবু কিছু করার নেই তার জন্য দোয়া রাখা ছাড়া,, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেনো জান্নাত বাসী হয়,, এবং আপনারাও আমার আম্মার জন্য দোয়া রাখবেন রমজান মাসে এটাই আপনাদের কাছে চাওয়া।
আরো মনে পড়ে গেলো গ্রামের সকল মানুষের কথা চাচাতো ভাই চাচা দাদা সবাই,, এক সাথে নামাজ আদায় করতাম সেই কথা গুলো,, তারাও আজকে হয়তো বা নামাজ আদায় করেছে,, কিন্তু তাদের সাথে নামাজ আদায় করতে পারলে,, আরো অনেক বেশি ভালো লাগতো আমার।
কালকে ইফতারি করব সন্ধ্যা বেলা যদি আল্লাহ তায়ালা সুস্থ স্বাভাবিক রাখে রোজা রাখবো,, এই ইফতারি করতাম আমাদের মসজিদে,, যেখানে সবাই এক হয় ইফতারি করতাম,, কিন্তু এখন একা একা হয়তো বা রুমের মধ্যে ইফতারি করতে হবে,, এটা সত্যি একটি আমাদের জীবনে বড় স্মৃতি,, বাহিরে এসেছি বলে আজ বড় একা একা হয়ে আছি।
সারাদিন রোজা রাখার পরে নামাজ আদায় করে বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় আড্ডা,, কিন্তু এখন আর সেই সময়টা নাই,, তার পাশাপাশি সেই বন্ধু গুলো আমার পাশে আজ নাই,, এই সব কথা ভাবতে ভাবতে কেনো জানি নিজের চোখে পানি চলে আসলো নিজের অজান্তে।
তবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এই একটি মাস তিনি যেনো আমার সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে রাখে,, জানি না কতটা রোজা আমি থাকতে পারবো,, তবে চেষ্টা করব সব গুলো থাকার জন্য,, এবং আল্লাহর কাছে দোয়া রাখি আমার গ্রামের সকল মানুষেরা যেনো সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে থাকে।
যদি কখনো সম্ভব হয় তিনি যদি আমাকে কখনো বাঁচিয়ে রাখে,, ইনশাল্লাহ তাদের সাথে আবারো দেখা হবে,, তাদের সাথে এক হয়ে নামাজ আদায় করব,, এক হয়ে কিছুটা সময় পার করবো,, সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন,, এবং নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন,, এবং আপনার পরিবারকে সময় দিবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/MDbayez29442036/status/1895849838736232742?t=uQ5R4TkkmCZihEoNmWWGqg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit