প্রবাসী জীবন সত্যি এক কষ্ট দায়ক জীবন,, এই জীবনে কষ্টের কোনো শেষ নেই।

in hive-120823 •  14 days ago 

প্রবাসী জীবন সত্যি এক কষ্ট দায়ক জীবন এই জীবনে কষ্টের কোনো শেষ নেই। সারাদিন ডিউটি করে এসে নিজেদের কার্যক্রম গুলো চালিয়ে যেতে হয়। তবুও কাজের কোন শেষ থাকে না। টুকটাক ভাবে কাজ বেরিয়ে যাই কোনো এক ভাবে। তেমনি আজকে কাজ শেষে কিছু কাজের কথা শেয়ার করব বলে হাজির হয়েছি।

1000059087.jpg

হয়তোবা কাল আমি এখান থেকে আবারো চলে যাবো কোনো একটি জায়গায়। সব চেয়ে বেশি কষ্ট হয় যখন এক বার এখানে তো অন্য সময় অন্য জায়গায়। এই যে জায়গা পরিবর্তন করা সত্যিই একটা কষ্টের ব্যাপার। যাই হোক তবুও কিছু করার থাকবে না আমার যেতেই হবে কাল ভাইদের ছেড়ে। এই কয় দিন ভাইদের কাছে ছিলাম সত্যি একটু ভালো লাগার অনুভূতি ছিলো।

1000059081.jpg

কিন্তু সেই ভালো লাগাটা আর হয়তো বা বেশি দিন থাকলো না। যাই হোক যেহেতু আমরা দুই জন কালকে চলে যাবো একটু সকাল টানে। তাই আজকে বাজার ও খুব বেশি করা হয়নি আমাদের। এবং আজকে বাজার করতে যেতে আমার একদম ইচ্ছা করছিল না। আমাদের সাথে আরও একটি মানুষ থাকে তাকে বাজার করতে পাঠিয়ে দিয়ে ছিলাম।

1000059085.jpg

আমি আজকে রুমে বসে ছিলাম বসে থাকা বলতে ঝাল পেঁয়াজ এই গুলো কাটাকুটি করছিলাম। চলে গেলেও রান্না তো করতে হবে। এটা তো আর থেমে থাকবে না কারণ খাওয়া-দাওয়া তো করতে হবে। যাই হোক কিছু সময় পরে দেখলাম সেই ভাইটি বাজার নিয়ে চলে এসেছে। তার মধ্য আমার ঝাল পেঁয়াজ সব কিছু কাটা রেডি।

1000059074.jpg

ভাইটি এক ধরনের মাছ নিয়ে আসে মালয়েশিয়ার মাছ নামটি তার ইকান কালু। যাহোক এই মাছটি আমি এর আগে দেখেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। এবং কেনো জানি আজকে মাছ খেতে আমার একদম ইচ্ছা করছিল না। আমি কিন্তু সব সময় মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে আজকে এই মাছটা দেখে কেনো মনের মধ্য খেতে ইচ্ছা জাগছে না।

1000059078.jpg

যাই হোক আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম এবং সেই ভাইটি মাছ কাটাকুটি করছিল। তখন ভাইটির ওখানে গিয়ে কয়েকটি ছবি আমি ধারণ করেছিলাম। এবং দেখতে দেখতে আকাশ থেকে বৃষ্টি চলে আসে। আমরা যেহেতু পাহাড়ের ওপরে থাকি। তাই দিনে দুই এক বার বৃষ্টি হয়ে থাকে আমাদের এখানে।

1000059084.jpg

যাই হোক ভাইটি বৃষ্টি অবস্থায় মাছ কাটছিল এবং আমি রুমে চলে এসে ছিলাম আবার বৃষ্টি থেমে যাই। তখন বাহিরে এসে আমি নিজেও কয়েকটি সেলফি ধারণ করেছিলাম। যেগুলো আমি আমার পোষ্টের মধ্যে শেয়ার করেছি। খাওয়া দাওয়া করতে হলে অবশ্যই আমাদের রান্না করতে হবে। তাই আমি দেরি না করে ভাইটি মাছ কেটে নিয়ে আসার পর পরই রান্না বসিয়ে দিয়েছিলাম।

এবং খেয়াল করে দেখলাম আমার বড় ভাই মাংস রান্না করছে। এবং আমার আরও একটি ভাই মাংস খেতে চাচ্ছে না । তাই তাকে বললাম তাহলে আপনি মাছ নিয়েন আমি মাংস নিবো। রাতে তরকারি সব এক জায়গায় করে ভাগাভাগি করে খেয়ে নিয়ে ছিলাম। খাওয়া দাওয়া করে আজকে তিন ভাই এক সাথে বসে রাত্রে একটু কথা বলছিলাম।

যেহেতু কালকে চলে যাবো তাই আজকে ভাই ভাই মনের কথা অনেক কিছু শেয়ার করি। এবং শেয়ার করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। অবশেষে লেখার জন্য বসে গেলাম লেখা শেষ করে ঘুমাতে যেতে হবে। কারণ কালকে আবার চলে যেতে হবে এখান থেকে। এবং প্রতি দিন যেমন সময় ঘুম থেকে উঠি ঠিক সেই সময় ঘুম থেকে উঠে নিজের জিনিস গুলো গুছিয়ে নিতে হবে। থেকে যাবে শুধু মায়া কারণ ভাইদের কাছে থাকার শান্তিটাই আলাদা।

1000045708.png

1000046882.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

@baizid123

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...

প্রবাস জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই যেন এক নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন অভিজ্ঞতা! আপনাদের ব্যস্ততা, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে চলা, ভাইদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যিই আবেগপূর্ণ। বিদায়ের আগে রাতের আড্ডা, রান্না ভাগাভাগি, আর মনের কথা শেয়ার সবকিছুই যেন এক অমূল্য স্মৃতি হয়ে থাকবে। এই জীবনে কষ্ট থাকলেও ভাইদের ভালোবাসা আর মুহূর্তগুলোই তো শক্তি জোগায়! ভবিষ্যতের পথচলা শুভ হোক।

আসলে যেহেতু ভাইদের কাছ থেকে চলে আসবো তাই রাতে তিন ভাই এক হয়ে অনেক গল্প অনেক আড্ডা দিয়েছিলাম। এবং তাদের কাছে গিয়ে যে আমি অনেক দিন ছিলাম তাও না। অনেক অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কাছ থেকে আবার চলে আসতে হয় আমার । এবং এটা থেকে একটু খারাপ লাগা কাজ করেছিল তবুও কিছু করার ছিল না। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

প্রবাস জীবনের কষ্ট ভাই প্রবাসী ছাড়া কেউ বোঝে না যেন টাকার মেশিন তারা কারণ টাকা ছাড়া তাদেরকে কেউই খোঁজে না আপনাদের জীবনটা কতটা কষ্টের সেটা আমরা একটু হলেও অনুধাবন করতে পারি আপনার এখান থেকে চলে যাবেন এটা নিয়ে আসার অনেক খারাপ লাগতেছে।

আসলে একটা জায়গায় থাকতে থাকতে তার প্রতি ভালোবাসা ভালোলাগা সবকিছুই লেগে যায় তারপর যখন হঠাৎ করে সেখান থেকে চলে যেতে হয় তখন আরো বেশি খারাপ লাগে আপনার এই ভাই মাছ কিনে নিয়ে এসেছে আসলে এটা আমাদের গ্রামের ছোট মাছ বলা হয়ে থাকে এটা খেতে কিন্তু মজা আছে যদি আপনি টমেটো পেঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে রান্না করেন।

ওখানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাই আপনি আবার রুমে গিয়েছিলেন বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর আবার রুম থেকে এসে কয়েকটা সেলফি তুলে নিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ প্রবাস জীবন নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

যাইহোক এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো যে আপনার গ্রামে এই মাছটি ছোট মাছ বলা হয়ে থাকে কিন্তু সত্য কথা বলতে আমি এই মাছটি আগে কখনো বাংলাদেশে দেখেনি। এবং এটা এখানের নদীর মাছ এবং এটা খেতে মজা লাগে তবে এই মাছটা আমি এখনো খাইনি। আমার ভাইয়েরা খাইছে তাই তাদের কাছ থেকে শুনেছি।

যাইহোক আমি ওখানে পাহাড়ি এলাকার মধ্যে ছিলাম তাই সেখানে প্রতিদিন বৃষ্টি হয়। এবং বৃষ্টির সময় আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু বাহিরে একটি কিছু হয়ে গেলে তো অনেক সমস্যা তাই তাড়াতাড়ি রুমে চলে যায়। এবং বৃষ্টির শেষ হয়ে গেলে আমি সেখান থেকে এসে কয়েকটি নিজের ছবি ধারণ করেছিলাম যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।

এই মাছ আমি খেয়েছিলাম আরো দুই বছর আগে যখন আমার খালাম্মা কুমিল্লা থেকে এসেছিল উনি আমার জন্য নদীর ছোট মাছ নিয়ে এসেছিল কারন আমি ছোট মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি আর ছোট মাছ আপনি টমেটো কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ এবং ভালো করে ধ ধনিয়া পাতা দিয়ে রান্না করলে খেতে কিন্তু অনেক বেশি মজা লাগে।

বৃষ্টির কারণে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে জ্বর আসতে পারে ঠান্ডা লাগতে পারে তাই আপনি তাড়াতাড়ি করে রুমে চলে গিয়ে ভালো কাজ করেছেন আর বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলে আপনি নিজে যেমন ভিজে যাবেন আপনার মোবাইলটাও ভিজে যাবে ধন্যবাদ।

এটি সত্যিই অনেক বেশি কষ্টদায়ক যে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করা।। আবার কাজ শেষে এসে বাসায় রান্নাবান্না করা এটা আরো বেশি যন্ত্রণাদায়ক বিশেষ করে একজন ছেলে মানুষের জন্য।।

দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন শুধুমাত্র ভালো থাকার জন্য।। কিন্তু এই ভালো থাকার জন্য কত যে পরিশ্রম করতে হচ্ছে সেটা শুধু আপনারাই বুঝতেছেন।। দোয়া করি সকল কষ্ট একদিন দূর হবে ইনশাআল্লাহ।।