কেমন আছেন সকলে? এই গরমে আমি তো পুরো সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আবার কবে বৃষ্টি পাব, তা জানিনা তবে। বৃষ্টি যে এবারে কম ,তা এতদিন আমরা সবাই বুঝে গেছি।
বেশ কিছুদিন আগে বাড়ির কাছে একটি পার্কে গিয়েছিলাম। ভাবলাম সেটা নিয়ে আজকে শেয়ার করি। যতই গরম হোক না কেন আমি ঘুরতে ভালোবাসি। তাই যখনই সুযোগ পাই ঘুরতে বেরিয়ে যাই। সাথে কেউ থাকতে না থাকুক, আমি একাই ঘুরতে পারবো। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার সময় আমার সাথে সঙ্গী অবশ্যই থাকে। কারণ আমার পরিচিত সবাই ঘুরতে ভালোবাসে, না ভালবাসলে জোর করেই নিয়ে যাই । সেটা শুধু আমার মা এর সাথে সম্ভব হয়না ।
সেদিনও প্রচন্ড গরম। তাই ভাবলাম বিকেল বেলার নাগাদ বেরোবো ।বিকেলবেলায় একটু হাওয়া দেয়। তাই তখন বেরোনো যায়। সকাল থেকে যেভাবে রোদের তাপ থাকে আমি তো ঘর থেকে বের হতে পারি না। কুনো ব্যাঙের মতো ঘরের মধ্যেই বসে থাকতে হয় আমাকে।
এই পার্কটা আমাদের বাড়ি থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে হবে। টোটো করে যেতে মোটামুটি ওরকম টাইম লাগে। সেদিন বিকেল বেলায় ঈশানের কোন পড়া ছিল না। তাই ভাইও জেদ করল ঘুরতে যাবে। আমি ,মৌসুমী বৌদি, ঈশান এবং মৌসুমী বৌদির বোন সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের পাড়ার মোড়ের মাথা থেকে টোটো নিলাম। জায়গাটার নাম কদমতলা ঘাট। ওই ঘাটে পৌঁছেও গেলাম ১০ মিনিটের মধ্যে।
কদমতলা ঘাট এই জায়গাটিতে কৃষ্ণনগরের সমস্ত পুজোর মূর্তি বা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যপূর্ণ জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা ধুমধাম করে বিসর্জন এই ঘাটেই সম্পূর্ণ হয়। এই ঘাটে যে নদী বয়ে যাচ্ছে, সেই নদী হল জলঙ্গী নদী। যা নবদ্বীপের গঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। তাই এই নদীর জল আমাদের কাছে গঙ্গার সমতুল্য।
কৃষ্ণনগরে এরকম প্রচুর ঘাট রয়েছে কারণ এই নদী কৃষ্ণনগরের পাশ দিয়ে বিস্তৃত। তাও এই কদমতলা ঘাটের পরিচয় সকলেই জানে। ঘাট ভীষণ সুন্দর। ঠাকুর নামানো অর্থাৎ বিসর্জন দেওয়ার জন্য ঘাটের রাস্তাটা সুন্দর করে দেওয়া হয়েছে। একটা ঢাল উঠে যায় তারপরে ঘাটের দিকে জল বরাবর নেমে যায়। যাতে ঠাকুর তুলতে এবং নামাতে সুবিধা হয়, তাই জন্য এই কাজ করে দেওয়া ।
আর ঘাটের পাশেই রয়েছে পার্ক। এই পার্কটি দু বছরের মত হবে , তৈরি হয়েছে। গাছপালা দিয়ে এবং সাথে ছোট একটা ক্যাফের মত করে অর্থাৎ ওপেন ক্যাফে করা হয়েছে ।বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা এবং বসার জায়গা প্রচুর রয়েছে। এর সাথে একটি দুর্গার মূর্তিও রয়েছে।
পার্ক করার পর থেকে ঘাটের ধারে আরো সুন্দর হয়ে গিয়েছে। বিকেলের পর এখানে গিয়ে বসলে বেশ হাওয়া দেয়। সাথেই ওপেন ক্যাফে থেকে যা খুশি কিনে খাওয়া যায়। সমস্ত রকমই ক্যাফেতে পাওয়া যায়। আমি এর আগে অনেকবার গিয়েছিলাম।কিন্তু সন্ধ্যার দিকে যাওয়া হয়নি।
আমার তো খুব ভালো লাগলো গিয়ে। আমি ,বৌদি ছবি তুলেছি অনেক। ওদিকে ঈশান আর মৌসুমী বৌদির বোন রিমি স্লিপ দোলনা চরছিল। ওদের খুব মজা লেগেছিল। ওদের সাথে আরো অনেক বাচ্চারা ছিল। তাই ওদের আরো ভালো লাগছিল। খুব গরম পড়ছিল ।তাই আমি আর বৌদি একটি কোল্ড্রিংস খেয়েছি।
ওখানে প্রায় ৪৫ মিনিট মতো থাকার পর আমরা আবার মার্কেটে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করতে, তারপর বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম। এত সুন্দর পার্কের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও ভালো লাগলো। আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব। আজ এখানেই শেষ করলাম।
গরমের সময় ঘোরাঘুরি করে যতটা মজা পাওয়া যায়। তার চাইতে বেশি মজা পাওয়া যায় শীতের সময়। তবে যারা ঘুরতে ভালোবাসে, তারা গরম কিংবা শীত কোন কিছুই মানতে রাজি নয়। যেমনটা আপনার মত। আপনাদের বাড়ির পাশেই পার্ক। সেখানে আপনার ঘুরতে গিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে, পার্কের ভেতরে অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অত্যান্ত গরমে সকলেরই অবস্থা ভালো নেই।তবে এতো গরমেও আপনি ঘুরাঘুরিতে অনিহা করেন না।এটা আপনার ভ্রমণপিপাসু মনের বহিঃপ্রকাশ। আসলে আমাদের সকলেরই ঘুরাঘুরি করা প্রয়োজন। এতে শরীর ও মন ভালো থাকে।আপনি বাসার পাশে একটা পার্ক আছে।কদম তলা পার্ক।সেখানে যেতে আপনার ১০ মিনিট লাগে।আপনার তোলা ছবিগুলো অসাধারণ ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সামনে এতো সুন্দর একটা দিন শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গরমের মধ্য বিকেলবেলা ঘুরতে গেলে অনেকটা ভালো লাগে কিন্তু সকালবেলা ঘুরতে গেলে নিজেদের অবস্থা অনেকটা খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক আপনার আজকের পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি ঘুরতে অনেক ভালোবাসেন। আসলে ঘুরতে আমরা সবাই ভালোবাসি এবং আমিও ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি।
এই গরমের জন্য আপনি ভেবেছিলেন বিকেলবেলা আপনি কোথাও ঘুরতে যাবেন এবং যাওয়ার সময় আপনার সাথে কেউ না যেতে চাইলে আপনি জোর করে তাদেরকে নিয়ে যান কিন্তু আপনার আম্মাকে আপনি নিয়ে যেতে পারেননি কখনো।
যাইহোক আজকে আপনার ভাইয়ের অল্প পড়া ছিল তাই সেও আপনার সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল তাই আপনি মৌসুমী বৌদি ও তার বোন এবং আপনার ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit