নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল ভীষণ ব্যস্ততা থাকায়, সাথে আমার শরীরটা ভালো ছিল না ,তাই আমি আপনাদের সাথে কোন কিছুই শেয়ার করতে পারিনি। তাই আজকে ভাবলাম সকাল সকাল কিছু নিয়ে লিখি।
কিছুদিন আগেই জামাইষষ্ঠী গেল ।জামাইষষ্ঠী নিয়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম অনেক কিছু ।জামাইষষ্ঠী কিভাবে পালন করা হয় এবং কেনই বা পালন করা হয়, তা নিয়ে অনেক তথ্য আপনাদের জানিয়েছি।আমার বাবার শ্বশুরবাড়ি যেহেতু অনেকটাই দূর অর্থাৎ আমি আমার মামার বাড়ির কথা বলছি। সেই জন্য জামাই ষষ্ঠী পালন করতে যাওয়া হয় না । তাই বাবার মনটাও খারাপ ছিল।
এদিকে আমার এক জেঠু ,আসলে তিনি আমার বাবার বন্ধু । কৃষ্ণনগরের উনিও আরেকজন বিখ্যাত মৃৎশিল্পী । নাম সুবীর পাল ।ছোটবেলা থেকে আমার বাবা ,জেঠু সব একসাথে মানুষ হয়েছে ।আর তারপরে সবকিছুই একসাথে।
তাই জেঠু আমার রক্তের সম্পর্ক না হলেও নিজের জেঠুর মতনই হয়ে গেছে। সেই জেঠু শশুর বাড়ি যেতে পারে না । যবে থেকে শাশুড়ি মারা গেছে,আমি শুনেছি ওনার বিয়ের কয়েক বছরের পরেই শাশুড়ি মারা যায় ।তাই জামাইষষ্ঠী হয়তো দুই তিন বার পালন করতে পেরেছে ।তাই এই নিয়ে মনে তো তারও কষ্ট রয়েছে।
তাই এবার আমি, আমার মা এবং ওই বাড়ির জেঠিমা, দিদি সবাই ঠিক করেছিলাম বাবা জেঠুর জন্য আমরা অন্য কিছু ব্যবস্থা করব। আমি এর আগেও পোস্টে বলেছিলাম জামাইষষ্ঠীর দিন যেহেতু শ্বশুরবাড়ি যেতে পারেনি কেও ।তাই বাইরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া ও একটু আনন্দ করার প্ল্যান করা হয়। এবারও প্ল্যান করা হয়েছিল ।
কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম ষষ্ঠীর দিনকে নিরামিষ যেহেতু ,তার পরের দিনকে যাব। কিন্তু বৃহস্পতিবার থাকায় সেটা হলো না। তাই শুক্রবার প্ল্যান করলাম। শুক্রবারের দুপুরবেলায় প্ল্যান করা ছিল ।আর শুক্রবারে দুপুরবেলা অব্দি জামাইষষ্ঠীর থালি এভেলেবেল ছিল ,আমরা যে রেস্টুরেন্টে যাব সেই রেস্টুরেন্টে।
কিন্তু বাবার এবং জেঠুর কাজের জন্য ওরা এত ব্যস্ত হয়ে গেল দুপুরে যাওয়া হলো না ।তাই রাতেই ঠিক করা হলো। আমাদের কৃষ্ণনগরের খুব বিখ্যাত একটি রেস্টুরেন্টের নাম মাদার্স হাট।সেখানকার মালিকও বাবা জেঠুর বন্ধু হয়। তাই সেখানেই আমরা বেশিরভাগ যাই। ওখানে অ্যাম্বিয়নস ভীষণ ভালো। সাথে খাবারও ভীষণ ভালো।
মাদারস হাট আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরেই অবস্থিত ।প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর হবে। কিন্তু মেইন রোডের পাশে এমনভাবেই রেস্টুরেন্ট বিস্তৃত হয়ে রয়েছে। তার পাশে আবার পেট্রোল পাম্প। তাই জন্য রেস্টুরেন্টটা ভীষণ ভালো চলে। যখনই যাব সারা রেস্টুরেন্ট ভর্তি হয়ে থাকে।
আমরা সন্ধ্যেবেলায় রেডি হয়ে নিলাম ।তারপরে একটা গাড়িতেই আমরা সবাই মিলে গেলাম। আমরা জেঠুদের গাড়ি করে গিয়েছিলাম ।জেঠু ভালো ড্রাইভ করতে পারে। তাই ওদের গাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। আমার বাবার গাড়িতে গেলে আবার অন্য আরেকজনকে নিতে হতো। কারন আমার বাবা সেরকম ভালো ড্রাইভ করতে পারে না।
পৌঁছে যখন গিয়েছি ।তখন অলমোস্ট সাড়ে নটা বাজে, ঢুকে দেখি প্রচুর গাড়ি পার্কিংয়ে ।তখনই বুঝতে পারলাম আজকে প্রচুর ভিড় হয়েছে। ঢোকার পরে প্রথমে রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে দেখা হল। মালিকের নাম অরিন্দম গড়াই ।আর পেট্রোল পাম্প, যেটা পাশে রয়েছে সে পেট্রোল পাম্পেরও নাম গড়াই পেট্রোল পাম্প।
কাকুর সাথে দেখা করে আমরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে যখন গেলাম তখন দেখি প্রচুর ভিড় হয়েছে। তাও আমাদের সিট জোগাড় করে দিল ওখানকার মালিক। উনি আমার বাবা এবং জেঠুকে ভীষণ পরিমাণে শ্রদ্ধা করেন এবং পূজো কিংবা কোন অকেশনালি এই রেস্টুরেন্টে ভিড় হলেও আমাদের জন্য ঠিক সিট জোগাড় করে দেন।
পুজোর সময় আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে গেলেও তাই ।আমার সমস্যা হয় না। গাড়ির যখন পার্কিং করছিল তখন আমি আর দিদি পাশেই একটি জুয়েলারি দোকানে কানের দুল দেখছিলাম ।ওখানে অনেক ধরনের জিনিস বিক্রি হয়। যেমন মেয়েদের হস্তশিল্পের জিনিসপত্র ,হাতের কাজের নানা রকম জুয়েলারি, আরো অনেক কিছু।
সেখান থেকে আমি একটি কানের দুলও কিনলাম ।দিদি ও একটা কানের দুল নিলো। তারপর কয়েকটা ছবি তুললাম।যখন ঢুকলাম তখন দেখি পুরো রেস্টুরেন্ট ভর্তি ।চারিদিকে লোক আর লোক। আমরা গিয়েই অর্ডার করে দিলাম ,কারণ আমাদের প্রচন্ড খিদে পেয়েছিল।
বাকি কথা আমি আপনাদের সাথে পরেদিন শেয়ার করব আজকে এখানেই শেষ করছি।
খুব ভালো করে ছিলে, বাবাকে আর জেঠুকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছ। ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আসলে আমার অনেকদিন যাওয়া হয়নি। তোমার কানের দুল দুটো খুব সুন্দর লাগছে। আমরা যেখানেই যাই সেখানেই ছবি তো আগে তুলতেই হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জামাইষষ্ঠী আপনারা খুব সুন্দর ভাবেই পালন করে থাকেন। তবে যেহেতু কেউই শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারিনি। তাই আপনারা বাহিরে গিয়ে এই আনন্দটা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। রেস্টুরেন্টের মধ্যে অনেক বেশি ভিড় হয়ে থাকে, সাধারণত সন্ধ্যার পরে। যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগে। তবে আপনারা খুব দ্রুত অর্ডার করে ফেলেছেন বেশ ভালো কাজ করেছেন। তা না হলে হয়তোবা অনেকটা সময় আপনাদেরকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। আপনার কেনা কানের দুলটা সত্যিই অসাধারণ। ধন্যবাদ জামাই ষষ্ঠী পালন করতে না পেরে, অন্যভাবে আনন্দটা এত সুন্দর ভাবে সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে পরিবারের মানুষদের জন্য স্পেশাল কিছু করতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে।হয়তো আপনার বাবা এবং জ্যেঠু আপনার এই কাজের জন্য অনেক খুশি হয়েছেন।যাই হোক দিনের বেলা সময় হয়ে না উঠলে আপনারা রাতের বেলা যান এবং খুব সুন্দরভাবে খাওয়া করেন।এরপর বাইরে বের হয়ে কানের দুল কিনেন।আপনার তোলা সকল ছবি অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটা দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Oh yes! We support ANY quality post and good comment
ANYWHERE and at ANYTIME
Curated by : @patjewell
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit