বাবার সাথে কেনাকাটা

in hive-120823 •  3 months ago 

নমষ্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।আজ আবারও চলে এলাম আপনাদের সাথে কিছু মুহুর্ত শেয়ার করতে।
আজ সকাল থেকেই খুব বের হতে ইচ্ছা হচ্ছিল । মাকে সকাল বেলা থেকে জেদ করছিলাম বের হওয়ার জন্য। মা এর আজ বাড়িতে সেরকম কাজ ছিল না। রান্না শেষ , তারপর কাজও ছিল না কোনো। ভাই স্কুলে গিয়েছিল। দিব্যি বার হওয়া যেত মা মেয়েতে। কিন্তু মা বার হলোনা।

20240701_191257.jpg

দুপুরে তাই বাবার সাথে জেদ ধরলাম। মাও একটু আমার হাত থেকে রক্ষা পেল। তাই বাবার ওপর আমার জেদ টা একটু ভালো ভাবেই চাপিয়ে দিল। বলল হ্যাঁ ঈশাকে নিয়ে একটু বিকেলে বের হও।

বাবার এদিকে খুব প্রেসার কিছুদিন হলো। আমাদের কারখানায় মূর্তি তৈরীর প্রেসার খুব থাকে। ১৫ জন মিলেও ঠেকানো যায়না। তাই সময়ে কারিগর বেশি নিতে হয়। এখন যেমন মন্দারমনির একটি রিসর্টের লাইফ সাইজ অনেক কয়েকটা মূর্তির কাজ চলছে। এর সাথে রুদ্রপ্রয়াগে জিংক করবেট মিউজিয়ামের কাজ চলছে। আর সাথে আরও অনেক হাফ বাস্ট মূর্তির কাজ হচ্ছে।

20240701_191254.jpg

বাবার তো চোখে মুখে অন্ধকার পুরো। ডেলিভারি সব ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে। তাই বাবা কোনভাবেই অন্যদিকে মন দেবার বা ঘুরতে যাবার সময় পাচ্ছে না। আমিও একদিন ধরে যে কটা কাজ বলেছি বাবাকে, একটাও করে উঠতে পারেনি ।শুধু মাত্র কারখানায় এত প্রেসার থাকার কারণে।

কিন্তু আজ বিকেল থেকে যেভাবে আমি জেদ করা শুরু করেছিলাম ,বাবাকে তো যেতেই হত। তার ওপর মা আবার বাবাকে বলেছে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসলে মার্কেটে সোনার দোকানে আমার কিছু কাজও ছিল যেটা বাবা ছাড়া সম্ভব ছিল না।

20240701_191315.jpg

সোনার জুয়েলারি জাতীয় কেনাকাটা ব্যাপারে যদিও মা অনেক মাহির ।কিন্তু বাবার মতামতও খুব প্রয়োজনীয়। তাই আমাকে বাবার সাথে সে দোকানে যেতে হতই।তাই আজই যাওয়া হলো। দুই জন মিলে বেশ রাগারাগি করতে করতেই সোনার দোকান গেলাম। তার পর বাবা বেশ কৌতূহলের সাথে আমাকে হেল্প করেছে জুয়েলারি চুস করতে।

20240701_195917.jpg

যাইহোক তারপর ভেজ মোমো খেলাম । আমি মোমোতে ঝাল কম নিই। কারণ মোমোর গ্রিন সসে খুব ঝাল হয়। বাবা তো খাওয়ার আগে খুব বলল ঝাল নরমাল দিয়েই খাবে। কিন্তু দুই তিনটে মোমো মুখে দিতেই বাবার কান লাল হয়ে গেল। আমি প্রথমেই বাবাকে বারণ করেছিলাম কিন্তু বাবা শোনেনি, তাই আমি বেশ মজা নিচ্ছিলাম।। তারপর গরম গরম সুপ খাওয়া হলো।

এরপর বাবা আর আমি একটা জামা কাপড়ের দোকানে গিয়েছিলাম গিফট কিনতে। একটা সুন্দর শাড়ি আর শার্ট কিনলাম। আর তারপর বাড়ি আসলাম আটটা নাগাদ । সেই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বেরিয়ে বেশ দেরি হল।

20240701_200148.jpg

বাবা মেয়েতে বিকেল থেকে ভালোই ঘুরলাম।বেশ মজা হলো। আসলে বাবা কাজে এত ব্যস্ত থাকে তাই ঘুরতে বেরোলে একাই বার হই ,না হলে মায়ের সাথে, বাবার সাথে এরকম মার্কেট করতে বেরোনো খুবই কম হয়। আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে সন্তান যখন একটি জিনিস আবদার করে তখন সে জিনিসটা বাবারা যত কষ্টই হোক না কেন সেটা এনে দেয়। আপনার বাবার সাথে আপনি রাগারাগি করেছেন তারপরও আপনার বাবা সেই জিনিসটা আপনাকে নিয়ে দিয়েছে এটা চেয়ে আর বেশি কি চান সবচেয়ে বেশি খুশি তো এটাই।

যাইহোক আজকে আপনার কেনাকাটা রেখছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

বাবারা তো এমনই হয়। সন্তানের কোনো আবদার অপূর্ণ রাখতে পারে না। আপনাদের বাবা মেয়ের ভালোবাসা, খুনসুটি দেখে আমার বাবার কথাও মনে পড়ে গেল। বাবা মেয়ে দুইজনেই ভালো থাকুন এই কামনাই করি।

যাক বাবার উপর জেদটা কাজে লেগেছে অবশেষে বাবার সাথে বেরিয়ে পড়েন মার্কেটে।। যেহেতু বাবা ব্যস্ত থাকে তারপরও আপনাকে নিয়ে বের হয়েছে শুনে ভালো লেগেছে।। স্বর্ণের দোকানে একা নেওয়া যায় ভালো আর বাবা যেহেতু আছে নিশ্চয়ই আপনাকে ভালো কিছুই হবে।।

শুনে ভালোই লাগলো তোমার বাবা তোমাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে বেরিয়েছিল। আসলে তোমার বাবা তো কাজের চাপে সময় পান না। কিন্তু কি কিনেছো সেটা কিন্তু আমার দেখা হয়নি। যাই হোক বাইরে ঘুরতে বেরিয়ে আশা করি তোমার মনটাও খুব ভালো হয়েছে।