নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকালকে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার কারণে কিছুতেই পোস্ট লিখতে পারেনি। পোস্ট লেখার পরিস্থিতিতেই ছিলাম না। আজকেও কোনরকমে এই একটু আগে ফাঁকা হলাম। তাই ভাবলাম এখনই লিখে ফেলি। নাহলে আমি যদি আজকে এখনই বিছানায় বসে পড়ি। আমি নিঃসন্দেহে ঘুমিয়ে পড়বো। আর সেটা টেরও পাব না। যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি মেহেন্দির ডিজাইন।
পিংকি দিদিকে @pinki.chak আমি বেশ অনেক বছর ধরে চিনি। দিদি র সাথে আমার প্রায় আট নয় বছরের পরিচিতি। ইলেভেন টুয়েলভে দিদি আমাকে একটু গাইড করার জন্য আসতো। তবে আমাদের মধ্যে এমনই একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে ,ও আমার বন্ধুর মত হয়ে গিয়েছিল। ছোটবেলায় মানে ইলেভেন টুয়েলভে পড়তে ওকে কতবার যে মেহেন্দি পরিয়েছি, তার ঠিক নেই তবে কখনো ভাবেনি ওর রেজিস্ট্রি পারপাসে মেহেন্দি টাও আমাকে পরিয়ে দিতে হবে। সম্পর্কগুলো এরকম সুন্দর থাকলেই খুবই ভালো লাগে।
দেখতে দেখতে এতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে, মোটামুটি সাত-আট বছর। তারপরেও ওর সাথে সম্পর্কটা আমার একই রকম রয়ে গেছে । ও অনেক বড় হয়ে গেছে, আমিও অনেক বড় হয়ে গিয়েছি। তার পরেও আমাদের মধ্যে সম্পর্ক একই রকম আছে। ছোটবেলায় পড়তে বসে কত গল্প আড্ডা দিতাম ,আর অফ টাইমে ওকে মেহেন্দি পরিয়ে দিতাম। সমস্ত কথা এখন খুব মনে পড়ে যায়। এইতো ১৬ তারিখে অর্থাৎ গতকাল ওর এংগেজমেন্ট হল। দিদি আমার থেকে এক বছরের সিনিয়র ।আমি যে স্কুলে পড়তাম, সেই স্কুলে দিদি আমার থেকে উপরের ক্লাসে পড়তো ।
সাধারণত দাদা দিদিদের সাথেও এক বছরের সিনিয়র হলে, তুই করে ডাকা আর বন্ধুত্বের একটা সম্পর্ক লেগে থাকে। আমার সাথেও ওর অবস্থা সেরকম ছিল। তবে আমি ওকে প্রথম থেকেই তুমি করে ডাকতাম ,তুই বলে ডাকতাম না। পিংকি দিদি পড়াশোনায় ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালো ।মাধ্যমিকে পিংকি দিদি ঘূর্ণি স্বর্ণময়ী স্কুলের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছিল। ও অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে ,অনেক পরিশ্রম করেছে ছোটবেলাতে। ওর পরিশ্রমকে আমি অনেক অনেক শ্রদ্ধা করি। তাই মুখ দিয়ে কখনো তুমি ছাড়া তুই বের হয়নি।
এই এক মাসও হবে না, ঈশানকে পড়ানোর জন্য আমি পিংকি দিদিকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম ,এর আগে অনেকবার রিকোয়েস্ট করেছি ,কিন্তু দিদির পুরো সিডিউল পরিপূর্ণ থাকতে বলে ,দিদি আমার রিকোয়েস্ট রাখতে পারত না ।তবে এবার অনেক আগে থেকেই আমি বলে রেখেছিলাম। তাই এবারে দিদি আমার ভাইকে পড়াতে পারছে। ব্যাপারটা হয়েছে কি, ঈশান কিছুতেই পড়াশোনার দিকে বেশি মন দিতে চায় না ।আর আমি জানতাম পিংকি দির পাল্লায় পড়ে ও অবশ্যই পড়াশোনা করবে। কারণ পিংকি দিদি খুব শক্ত এসব ব্যাপারে। আর তেমনই অনেক ভালো।
সেদিনকে রাতে পিংকি দি আমাকে বলেই রেখেছিল ওকে মেহেন্দি পরিয়ে দিতে ।ওর এনগেজমেন্টের জন্য। আমি সাথে সাথে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। আর মেহেন্দি পড়াতে আমার তো ভালোই লাগে। তাই ঈশানকে পড়ানোর পাশাপাশি গত পরশু আমি ওকে মেহেন্দি পরিয়ে দিচ্ছিলাম। এই সমস্ত ছবিগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে তুলে রেখেছিলাম। কিভাবে ধাপে ধাপে মেহেন্দি পরিয়েছি ,তা পরপর আমি দেখিয়েছি। তবে হাতের উলটো পিঠে কিভাবে মেহেন্দিটা ধাপে ধাপে পড়ালাম ,সেগুলোর ছবি তুলতে পারিনি ।কারণ একটু তাড়াহুড়ো বেধে গিয়েছিল, ওর দিক থেকেও আর আমার দিক থেকেও।
দুই হাতের মেহেন্দি করতে মোটামুটি এক ঘন্টা তো সময় লেগেছে ।মেহেন্দি করতে করতে আমি আর দিদি বলাবলি করছিলাম ,যে আমরা কত বড় হয়ে গিয়েছি। এবার এক এক করে আমাদের দুজনেরই বিয়ে হয়ে যাবে। ছোটবেলায় বিয়ে নিয়ে এত কথাই হতো না ।কথা হতো কোন ছেলেকে ভালো লাগলো ,কেমন লাগলো এসব নিয়ে। কিন্তু কোন সময় বিয়ে নিয়ে বেশি ভাবি নি ।ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল দেরি করে বিয়ে করবো। বিয়ের সময় চলে আসছে। দিদিরও পরের বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যাবে ,আবার আমারও হয়তো।
ছোটবেলাকার দিনগুলোর কথা মনে পড়লে, সত্যিই খুব হাসি পায়। আর সত্যিই মনে হয় তখনকার দিনগুলো অনেক ভাল ছিল ।তারপরেও আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা সময় প্রত্যেক রকম অ্যাডভেঞ্চার আসে। নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়। এখন যে সময় আমি দাঁড়িয়ে আছি, সে সময়টা চলে গেলে ভবিষ্যতের যখন সময়ে আমি থাকবো, তখন হয়ত এই একটা কথাই বলবো, যে আগের সময়টা ভালো ছিল ।আসলে সময় ভালো খারাপ বলে কিছু নেই, পুরনো কিছু স্মৃতি এতই মধুর হয়ে থাকে ,যেটা সব সময় অর্থাৎ আমাদের মৃত্যুর আগে অব্দি ভালোলাগা দিয়ে থাকে। সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে আমাদেরও ভালো লাগে।।
সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই @pinki.chak দিদি ভালো থাকুক অনেক সুস্থ থাকুক ।আমি তো মেহেন্দি পড়ানোর জন্য আছিই ,তবে নতুন জীবনে ও অনেক ভালোভাবে এগিয়ে যাক। সুস্থভাবে সমস্ত কিছু ওর সম্পূর্ণ হোক।। এটাই
সেই ছোটবেলার পরিচয় ৭ ৮ বছরের সম্পর্ক আজও সে আগের মতই রয়েছে, আগেও মেহেদি পড়ানো হয়েছে জানতে পারলাম এবং আজকেও লিখিত পোস্টে একটি বিশেষ দিনের মেহেদি ডিজাইন টিও আপনার হাতেই করা হয়েছে এটা আপনাদের দুজনেরই স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের দুজনের সম্পর্ক এবং অনুভূতিগুলো সম্পর্কে জানতে পারে, দিদির জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Best regards
You created exclusive and quality content
We wish you a happy new year 2025
Team 01 - Steemit Explorers Team
@damithudaya
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! আপনাকে ধন্যবাদ। শুনে খুব ভালো লাগলো, পিংকি দিদির সাথে আপনার ছোটবেলা থেকেই পরিচয় ছিল এবং ছোটবেলার বন্ধুও ছিল । আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটি বিষয় জানতে পারলাম পিংকি দিদির এংগেজমেন্ট হয়ে গেছে! এই বিষয়টা জেনে অনেক ভালই লাগছে, দিদির জন্য শুভকামনা রইল। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মেহেদীর ডিজাইন করতে পারেন। আজকের বিষয়বস্তুটি অনেক আনন্দ ছিল অনেক খুশির খবর ছিল। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আপনার জন্য,সবসময় দোয়া রইল দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার গল্পটি খুবই সুন্দর এবং হৃদয়গ্রাহী। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত যে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা সত্যিই অমূল্য। পিংকি দিদির সাথে আপনার সম্পর্কের গল্প খুবই অনন্য, এবং মেহেন্দি পরানোর স্মৃতি আপনাদের বন্ধুত্বকে আরও গভীর করেছে। আপনার অনুভূতিগুলো সত্যিই স্পর্শকাতর, এবং আপনি যে সব কিছু সামলাতে সাধ্যমত চেষ্টা করছেন, তা প্রশংসনীয়। পিংকি দিদির নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit