অসুস্থতা

in hive-120823 •  yesterday 

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। বিগত কিছুদিন ধরে প্রবল ব্যস্ত আছি। তার মধ্য থেকেও পোস্ট করতে হচ্ছে। বাকি সমস্ত রকম কাজ করতে হচ্ছে। এবার যেটা সবথেকে বড় ব্যাপার দাঁড়িয়ে গেছে যে আমি ঠিক ভাবে মন মত পোস্ট করতে পারছি না। যা যা পোস্ট করছি সব কিছুই। আগে থেকে লেখা ছিল। কিন্তু আজকের লেখাটা আগে থেকে লিখে রাখেনি বলে, এই এত রাত হয়ে গেল।

20250101_163953.jpg

আসলে এই প্লাটফর্মে প্রত্যেকদিন লিখতে লিখতে এমন একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একদিন না লিখলে সত্যিই প্রচণ্ড পরিমাণে আফসোস হয়। কিন্তু কখনো কখনো এতটাই চাপ হয়ে যায় যে লেখার মতন সময় হয়ে ওঠেনা। তার ওপর আমার শরীরটাও পেরে ওঠে না। এই যেমন ধরুন আজকে সন্ধ্যাবেলা থেকে প্রায় টানা দু তিন ঘন্টা ঘুমোচ্ছিলাম। সকাল থেকেই শরীরটা খারাপ লাগছে। কেমন যেন মাথা ঘুরে উঠছে। সকাল বেলায় যখন উঠলাম। শরীর ঠিক ছিল না বলে স্নান করে নিয়েছিলাম।

মা বলে স্নান করলে শরীরটা একটু ভালো লাগে। এই শীতের সকালে এত তাড়াতাড়ি স্নান করা আমার অভ্যাস নেই। মোটামুটি সকালবেলায় দশটা কিংবা সাড়ে নটা নাগাদ আমি স্নান করি। তারপরে কাজে বেরিয়ে যাই। কিন্তু আজকে সে জায়গায় আমি সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠেই স্নান করতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর স্নান করার পরে কিছুক্ষণ ফ্রেশ লাগল। কিন্তু একটু পর যেই না ছাদে উঠেছি কাপড় মেলতে। সাথে ভিজে চুলটাও শুকিয়ে নিতে। তখনই শরীরটা খারাপ করতে লাগলো।

শীতকালের দিন আমার সব সময় অনেক পছন্দের। কিন্তু আজকের সকাল থেকে শরীরটা এত খারাপ লেগেছে যে আমি আজকে সারাদিন ঠিক ভাবে চলতে পারিনি। শরীর ভালো না থাকলে কোন কাজ ঠিকভাবে করা হয় না। কোন কাজে এনার্জি পাওয়া যায় না। এমনকি সবকিছুই কেমন যেন অন্ধকার হয়ে যায়। আমি সকাল থেকেই ভাবছিলাম যদি দু তিন ঘন্টা একটু ঘুমাতে পারতাম তাহলে হয়তো শরীরটা ভালো লাগতো। কিন্তু সকাল থেকে প্রচন্ড কাজের চাপে সেই ঘুম সম্ভব হয়নি।

20250104_113732.jpg

অবশেষে যখন সন্ধ্যা বেলায় একটু বসে ছিলাম। তখনই ঘুমটা চলে এসেছে। আর এবং সে একদম কুম্ভকর্ণের ঘুম। চারিপাশে কি হয়েছে ওই কয়েক ঘণ্টা আমি বুঝতে পারিনি। কে কখন ঘরে ঢুকেছে বেরিয়েছে? তাও আমি টের পাইনি। অন্য সময় অবেলায় ঘুমলে কোন না কোন আওয়াজ হলেই আমি ঘুম থেকে উঠে পড়ি। মানে ঘুম তখন পাতলা থাকে। কিন্তু আজকে সেটা হয়নি। এটাই বুঝতে পেরেছি শরীরটা কত দুর্বল হয়ে আছে।

এর সাথেই আজকে বাড়িতে একাদশী। মা বাবা একাদশী পালন করে। আমি আর ভাই ভাত খাই। রান্না করে নিই নিজেদের মত। আজকে সকাল বেলায় আমি আর ঈশান একসাথে খাওয়া দাওয়া করে উঠলাম। তারপর তো ঈশান স্কুলে চলে গেল। দুপুরবেলায় আমি মা বাবার সাথে একাদশীর খাবার খেয়ে। প্রত্যেক একাদশীতে মা সাবুর পোলাও করে। সাথে ফল থাকে। দুপুরবেলায় ওই দিয়েই খাওয়া হয়েছে। আসলে একা একা আমার খেতে ভাল লাগেনা। তাই মা বাবা এসব খাচ্ছিল বলে আমিও ওদের সাথে খেলাম।

1000189020.jpg

তার ওপর আজকে আমার একটা প্রোগ্রাম ছিল। সকাল বেলায় যখন শরীরটা খারাপ করছে তখনই ডিসিশন নিয়েছিলাম প্রোগ্রামটা ক্যান্সেল করব। আজকে আমাদের কৃষ্ণনগরের পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে আমার রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার কথা ছিল। এই প্ল্যান বহুত দিন আগে থেকেই। কিন্তু সকাল বেলায় যখন বুঝতে পারলাম সাথে সাথে কমিটিদের মানা করে দিলাম।। তাড়াতাড়ি সিডিউলটাকে ঠিক করে নিল ওরা।

মোটামুটি তিন চার দিন ঠিকঠাক রেস্ট পেলে আশা করি আবার সুস্থ হয়ে যাব। তবে কেন এরকম হচ্ছে নিজেও জানিনা। আজকে একদম লেখার সময় ছিল না বলে, আজকের পুরো কথাগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।। গতকাল তাও ভালভাবে লিখতে পেরেছি। যাইহোক আগামীকাল ভালো একটা লেখা নিয়ে হাজির হব। আজকের মত আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এখানেই শেষ করছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এত কাজের প্রেসারে থাকলে,শরীর কিভাবে ঠিক থাকে একটি মানুষের। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনি অসুস্থ। এই শীতকালে অধিকাংশ মানুষের সমস্যা হয়ে থাকে, এইজন্য আমাদের সবার উচিত, শীতকালে সবসময় নিয়মিত কাজ গুলো সম্পন্ন করা! যেমন সঠিক সময় গোসল করা, নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখা ইত্যাদি। আপনার জন্য দোয়া করি, সৃষ্টিকর্তা যেন অতি দ্রুত ভাবে আপনাকে সুস্থতা দান করে।

Loading...
Loading...