"আঙ্কেল প্রবাসী চলে যাবে সেজন্য পরিবারের সবাই একত্রে মিলিত হওয়ার জন্য ছোটখাটো আয়োজন"

in hive-120823 •  13 days ago  (edited)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে এক ভিন্ন বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি বিষয়টি হলো আঙ্কেল প্রবাসী চলে যাবে সেজন্য পরিবারের সবাই একত্রে মিলিত হওয়ার জন্য ছোটখাটো আয়োজন।

আমার ছোট আন্টি হাসবেন্ড ইতালি প্রবাসী, দুই মাসের জন্য এসেছিল বাড়িতে আগামী ১৪ তারিখ তার দুই মাস পূর্ণ হবে ১৫ তারিখ তাকে ইতালিতে থাকতে হবে। বাড়িতে আসার পর থেকেই আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়ানোর শেষ।

IMG20241104171324.jpg

তাই সকলকে আবার একসাথে দেখার জন্য নিজের বাড়িতেই ছোটখাটো পরিবারের জন্য একটি আয়োজন করেন দুদিন আগে থেকেই সবাইকে জানিয়ে দেই কেননা সবাই নিজ নিজ সংসার নিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থল নিয়ে ব্যস্ত আছেন আম্মুরা তিন বোন আম্মু সবচেয়ে বড় তার চেয়ে ছোট জন প্রাইমারিতে স্কুলের শিক্ষক তার চেয়ে ছোট জন গৃহিণী।

তাই দুদিন আগে থেকেই আম্মুকে বলে দেয় কেননা আম্মুর চারদিক দেখাশোনা করা লাগে কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে কোথায় কি ঝামেলা হচ্ছে ব্যর্থতা নিয়ে একদমই যেতে পারে না তাই প্রথমে আব্বুকে জানাই আব্বু অনুমতি দেয় কিন্তু আম্মুর ব্যস্ততার সময় বের করে নিয়ে বলে যে যাওয়ার একদমই সময় নাই।

IMG20241104171317.jpg

যেদিন অনুষ্ঠান সেদিন রাত্রে আমাকে কল দিয়েছিল কিন্তু আমি বাহিরে ডাক্তার দেখানো জন্য ভালো করে ফোনে কথা বলতে পারি নাই তাই সকালে ফোন দেই কথা বলে দাওয়াত দেই।

কিছুদিন ধরে আম্মুর ফোনটা নষ্ট তাই আম্মুর সাথে যোগাযোগ করতে পারে নাই আমারও আব্বুর মাধ্যমেই যোগাযোগ করে। সে জন্য আম্মুকে সরাসরি বলতে পারে নাই তাই আমাকে বলতে বলে।

বিষয়গুলো আম্মুর সাথে বলি এবং আম্মু সাথে সাথেই ছোট আন্টির কাছে ফোন দেই সমস্ত ভাষায় জিজ্ঞেস করে কখন দাওয়াত কিভাবে ইত্যাদি। আম্মুর প্রশ্ন লাস্টে হয় মেজো আন্টি আসবে কিনা আসলে তাহলে যাবে না হলে যাবে না উনি আবার স্কুল নিয়ে ব্যস্ত তাই সেদিন হাফ স্কুল পড়িয়ে সরাসরি এখানে চলে যাবে।

আম্মুর সাথেই নেই কথা বলে সাথে সাথে আম্মু রাজী হয়ে যায় তাই একটু তাড়াতাড়ি কাজগুলো শেষ করে আসরের আযান এরপর আমরা দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেই বড় বোন বলে কথা খালি হাতে তো একদমই যাওয়া যায় না কিছু মিষ্টি বিস্কিট ঠান্ডা , ও ছোট মানুষের জন্য চিপস নিয়ে হাসির ব্যাপার এই যে সকল মানুষ এই দাওয়াত খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে দাওয়াতের স্থান চলে যায় কিন্তু আমরা দাওয়াত খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ওই দাওয়াত স্থান যায় কেন আমাদের সময়ের প্রচুর অভাব।

pexels-photo-1099680.jpeg

Link :

ওখানে গিয়ে সকলেই তো অবাক একটু হাসি তামাশা করতে থাকে আম্মু সকলকে দেখে খুবই খুশি হয় যাই খুশিটা মুখের হাসিটা টাকা দিয়েও কেনা যায় না । বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করে খাওয়া দাওয়া করে দেড় ঘন্টা মতোন থেকে।

আমাদের নানু আন্টি আঙ্কেল সবাই থাকতে বলে আজকে সবাই রাত্রে থাকবে কিন্তু আমাদের থাকা একদমই যাবে না কেননা সকালবেলা উঠেই প্রচুর কাজ করতে হয় সমস্ত কাজ আব্বু আর কর্মচারীরা করতে পারবেনা অনেক সময় লেগে যাবে তার সাথে আব্বুর রাগারাগি করবে সে জন্যই বলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই ছোট আন্টি বাড়ির কাছে বন জঙ্গলে ভর্তি একটু ভয়ে ভয়ে লাগে তাই সাথে আঙ্কেল বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

রাস্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি কেননা সামনেই একটা বড় কোম্পানি আছে কাপড়ের সমস্ত কর্মচারী ছুটি হয়ে যাবে সেজন্য গাড়িগুলো সকল এখানেই চলে যাচ্ছে পাঁচ মিনিটের মতন দাঁড়িয়ে থেকে একটি গাড়ি পায় তা দিয়ে আমরা বাড়িতে চলে আসি।

আজকে এখানেই লেখা সমাপ্ত ঘোষণা করছি সকালে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।।

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

নিজের পরিবার রেখে প্রবাসে জীবনযাপন করা যে কতটা কষ্টকর সেটা একজন প্রবাসী ভালো জানে। একজন প্রবাসী এত কষ্ট সহ্য করে শুধুমাত্র প্রিয় মানুষগুলোকে ভালো রাখার জন্য। আর তাই তো সবাইকে ছেড়ে যাওয়ার আগে সকলের সাথে কিছু মুহুর্ত পার করলে তাদের মনও ভালো হয়। আপনার ছোট আন্টির হাসবেন্ড ইতালিতে যাবেন কয়েকদিন পরই তাই সবাই মিলে একসাথে কিছু সময় পার করেছেন। হয়ত আগামী কয়েকটা বছর তার পাশাপাশি বসে আর গল্প করতে পারবেন না তার সাথে।

বিদেশ থেকে যখন একটি প্রবাসী নিজের জন্মভূমিতে যায় তখন তার ঘোরাফেরার কোন শেষ থাকে না। কারণ কতো বছর তার আপন জন মানুষরে দেখে নাই আত্মীয়-স্বজনদের পায় নাই সবার বাড়ি একটু হলেও যেতে হয়। এবং যখন আবার চলে আসে তারা সব তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কিছু কথা বা তাদের সাথে দেখা করে চলে আসে যাই হোক সেই মুহূর্তটি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

নিজের পরিবার রেখে দূর প্রবাসে যাওয়ার সময় টা অনেক কষ্টের তবে আমি যখন মালয়েশিয়াতে আসছিলাম তখন আমার একটু কষ্ট লাগে নাই তখন মাথায় চিন্তা ছিল অনেক টাকা ইনকাম করব আর বয়স তখন কম ছিল এজন্য কিছু মনে হয় নাই তবে এখন মাঝেমধ্যে অনেক কষ্ট লাগে পরিবার ছাড়া।