বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। |
---|
আমি আপনাদের নতুন একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি আজকের বিষয় হলো ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি শপিং করা।
আপনারা সকলেই জানেন আমি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ আছি। ডাক্তারের কাছে শুধু দৌড়াদৌড়ি আছে আমার। অসুস্থ কোন পরিবর্তন হচ্ছে না, শুধু ডাক্তার দিয়ে কি ভালো হবে শরীরের অসুস্থ সৃষ্টিকর্তার মহান আল্লাহ তাআলার হাত থাকলে আর কিছুই লাগবে না।
যতই বড় বড় ডাক্তারের কাছে দৌড়ায় নাই কেন, তাও বিশ্বাস নিয়ে ময়মনসিংহের সবচেয়ে বড় ঢাকা থেকে আসেন ময়মনসিংহ একদিন বসেন সপ্তাহে, দুইদিন আগে থেকেই সিরিয়াল দেওয়া লাগে না হলে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ হয়ে উঠে নাই।
দুদিন আগে থেকে আমি সিরিয়াল দিয়ে রাখি, ডাক্তারের দেখানোর দিন সকালে ১১ঃ০০ টার সময় আমি আর আমার মামা বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। ডাক্তার হসপিটালে বসে পাঁচটার দিকে এত আগে যাওয়ার একটি কারণ আছে সেটা আপনার মূলত আগেই জেনে গেছেন শপিং করা
আমি বাড়িতে পুরাতন কাপড় পড়তে খুবই ভালোবাসি তাই আব্বু দেখে মনে করে আমার কাছে কাপড় নাই এজন্যই পুরাতন কাপড় পড়ি সবসময়। তাই কিছু টাকা দেয় ব্যাংক একাউন্ট থেকে আমার অ্যাকাউন্টে।
ওই টাকা দিয়ে মার্কেট করে আসো, আর না কিছু না বলেই টাকাগুলো দিয়ে অনেক খুশি হয় আম্মু বলে ওঠে তার তো কাপড় ভর্তি দাও কাপড় কিনার জন্য টাকা দেওয়া লাগবো কেন প্রতিমাসে কি কাপড় কেনা লাগে। যে কাপড় গুলো আছে সেগুলো করে আগে নষ্ট কর তারপর আবার কাপড় কিনবে।
আমি কথাগুলো শুনেই টাকা তোলার জন্য অ্যাকাউন্ট কার্ড নিয়ে ব্যাংকে চলে আসি হাজার দশ টাকা তুলে ময়মনসিংহ শোরুমে চলে আসি। মূলত বাহিরের কাপড় গুলো কিনলে আমার খুবই জঘন্য লাগে কিছুদিন পরেই রং চলে যাই ছোট ছোট পিম্পল উঠে পড়ে কাপড় অনেকটা লুজ হয়ে যায়,ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
ময়মনসিংহ শো রুম প্রায় অনেক থাকার পরেও আমার পছন্দের প্রিয় শো রুম থেকে কাপড় কিনার মজাটাই অন্যরকম হয়। যেটা পছন্দ হয় সেটা ট্রায়াল রুমে দেখে শুনে নিয়ে আসতে পড়ে কিন্তু রাস্তায় যেটা পছন্দ হবে সেটা কোন ট্রায়াল করার কোন ব্যবস্থা থাকে না বাড়িতে এসে অনেক বড় একটা ধরা খাই।
গুলো শপিং করার পর চারটা সতেরোর দিকে একটি রিকশা নিয়ে হসপিটালের নিচে চলে আসি এখনো ২০ মিনিট বাকি থাকায় দুপুরের বিরিয়ানি খেয়ে হসপিটালে উঠে পড়ি । এসে দেখি এখনো ডাক্তার আসে নাই তাই কিছুক্ষণ বসে মোবাইল পোস্ট লিখে সবার সামনে পোস্ট লিখতে আনইজি ফিল হয় তাই লিখা বন্ধ করে।
মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকি ডাক্তারের অপেক্ষায় ডাক্তার আসে আমি তৃতীয় নম্বর পেসেন্ট তাই প্রতিটা রোগীকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দিয়ে থাকে ডাক্তার। সময় হিসেবে ভালো আছে তার সাথে ভালোভাবে অনেক কথা বলা যায় নিজের সমস্যা গুলো শেয়ার করা যায়।
যার যত ভিজিট তার তত সময় বেশি যার যত কম তার সময়ও খুব কম ভিজিটের পরিমাণ নতুন রোগী ১৭০০ টাকা পুরাতন রোগী ১৫০০ টাকা। আমার সিরিয়াল আসলে ডাক্তার দেখিয়ে ডাক্তার আমাকে যা বলে তা শুনে আমি অবাক। অপারেশন লাগবে না ওষুধ খেয়ে ই এটা আস্তে আস্তে ছেড়ে দেবে।
ডাক্তার দেখানো শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই তখন প্রায় রাত দশটার কাছাকাছি বাড়িতে এসে পৌঁছাই দশটা একান্ন মিনিট।
সমাপ্ত করছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন
অসুস্থ শরীর নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করার কষ্টটা সেই বোঝে যে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটে যায় বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার ব্যবসা করার জন্যই মনে হয় চেম্বার খুলে বসে রয়েছে। রোগের ডাক্তার ভিজেট দিতে দিতে ই টাকা শেষ। আপনার জন্য দোয়া রইল আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যেন আপনার সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দান করেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit