বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। |
---|
আজকে পোস্টটা মূলত ভালোবাসা নিয়ে। এখন ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা সন্তান মা-বাবা নয় এটা সব জায়গাতেই, চলে। তাই এমন একটি জিনিস আমার প্রতিদিন প্রতিনিয়তই করে থাকি ! এমনই একটি আজকের পোষ্টের বিষয়বস্তু হলো: নিজের কাজগুলোকে ভালোবাসুক জীবন বদলে যাবে।
আমরা যখন বুঝতে শিখি তখন কিছু কিছু মানুষ ভাবে নিজের চাহিদাটা স্বপ্নটা নিজেই পূরণ করার চেষ্টা করে আরো কিছু কিছু মানুষ পরিবারের অভাব অনটন দেখে অল্প বয়সেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই ।কেউ বা পড়াশুনার পাশাপাশি বা পড়াশোনা শেষ করে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই। আপনাদের কাছে একটি বিষয়ে প্রশ্ন ,আমরা যারা কাজ করি ওই কাজটাকে কতটুকু ভালোবাসি ??
কোন কাজই অসম্মানজনক হয় না সব কাজেই সম্মানজনক। প্রশ্ন উত্তর বেশিরভাগ লোক বা মানুষ দিয়ে দিবে আমি জীবন বা জীবিকার বা পরিবারে তাগিদে কাজ করে থাকি।
কোন কোম্পানিতে বা অফিসে বা অন্য কোথাও একই ডিপার্টমেন্টে একই জায়গায় কাজ করে, প্রথম প্রথম কয়েক মাস ভালোই লাগবে কোন বোরিং লাগবে না বছর খানেক যাওয়ার পর অনেকটা হতাশায় পড়ে যাবে, ভুল ভ্রান্তি হওয়া শুরু করবে, এমন কি ক্ষতি ও হতে পারে।
আমরা যারা বাহিরে কাজ করি একটি নির্দিষ্ট সময়ের কাজে শুরু হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাজটা শেষ করতেও হয়, যদি আপনি কাজটি ভালোবাসেন করেন তাহলে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজটি শেষ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আর যদি কাজটি ভালবেসে না করেন তাহলে ওই কাজের মধ্যে ভুল হবে ৯৯শতাংশ।
আমরা যারা বাহিরে কাজ করি তারা অনেক মানুষই কাজটাকে নিজের করে ভাবতে পারি না তাই আমরা অনেকটাই পিছনে পড়ে থাকি, কাজটা যে ভালোবেসে করে কোনদিন ফেলে রাখে না আর যে কাজটাকে কাজ মনে করে সে কাজ সবসময়ই ফেলে রাখে কালকের জন্য।
আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ছোট গল্প এই পোষ্টের মাধ্যমেই তুলে ধরছি: ডিপ্লোমা শেষ করে, সাথে সাথে ভালো একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যাই, নতুন জায়গা নতুন কোম্পানি নতুন অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই চলছিল কয়েক মাস পর আমার খুব খারাপ লাগে কাজ করতে মন চায় না শুধু বসে থাকতে মনে চাই বিশেষ করে সময় কাটে না।
রিপোর্টগুলো সময় মতোন জমা দিতে পারি নাই সেজন্য বকা খাওয়া লাগে, তা দেখে একদিন ওই কোম্পানির জিএম স্যার রিপোর্ট নিয়ে ঘন্টাখানেকের মতন জ্ঞান দেয়। প্রথমে শুনতে বিরক্ত কর লাগছিল। তারপর আস্তে আস্তে যখন মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলাম, কথাগুলো একদমই সত্যিই ভালোর জন্যই আমাকে বলতে ছিল।
সব কথা থেকে একটি কথাই আমার ভালো লেগেছিল সেটি হলো তুমি একদিন কাজটাকে নিজের করে ভালোবেসে করে দেখ। তারপরে এসে আমাকে বলো তোমার কাজ করতে কি রকম লাগে। জিএম স্যার এর পরের দিন আমি কাজগুলো করি অনেকটাই ভালোভাবে নিজের মতো করে, তখন ভালো সময়ও কাটতে ছিল কাজগুলো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছিল ভুল ত্রুটি খুব কম হচ্ছিল। সেদিন আমার খুব ভালো লেগেছিল প্রথম দিন চাকরিতে জয়েন করার মতো।
এরপর থেকে আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি যেসব কাজ করি বা ভবিষ্যত করব সৃষ্টিকর্তার দোয়াই ছোট হোক বা বড় হোক সব কাজই আমি ভালোবেসে নিজের মনে করে করব।
আজকে পোস্ট এ পর্যন্তই সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন ।
আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। নিজের কাজকে ভালোবাসার গুরুত্ব যে কতখানি, তা আপনি বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার শেয়ার করা গল্পটি আমাদের শেখায় যে, কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব শুধু কর্মক্ষমতা বাড়ায় না, বরং জীবনে সন্তুষ্টি এনে দেয়।
আপনার জিএম স্যারের পরামর্শ এবং আপনার নিজস্ব প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। কাজকে নিজের করে নিলে তার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ভালোবাসা অটুট থাকে। ভবিষ্যতে এমন আরো সুন্দর চিন্তা ও অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করবেন আশা করি।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আল্লাহ আপনাকে আরও উন্নতির পথ দেখান। আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit