আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। যাইহোক অনেকদিন গ্যাপ দেওয়ার পর, প্রায় পাঁচ দিন তো হয়ে গেল ।নরমাল কোনো মানুষ কে যদি পাঁচ দিন গ্যাপ দেয় ,তাহলে আমি শুনেছি তাকে ইনএক্টিভ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাগ্যবশত আমি হইনি।আর আমার সামনে পরীক্ষা পরের সপ্তাহের শুক্রবার। তো আমি পড়াশোনায় আপাতেতো ব্যস্ত হয়ে আছি ।আমার দিদি ও আমাকে কিছু বলছে না। কারণ সে জানে যে আমার সামনে পরীক্ষা ।আমি আজকে গোকুর ছবি আঁকার জন্য স্কেচ খাতা নিয়েছিলাম এবং তার আউটলাইন করে সেটিকে রেখে দিয়েছিলাম।
তারপর মনে পড়ল এই স্কেচটা যেটা পরীক্ষার অনেক দিন আগে করেছিলাম ,সেটাকে রং করে ছেড়ে দি ,তাও পেন্সিল রং ।কারণ আপনারা তো জানেনই যে আমার ব্রাশ পেন আছে। কিন্তু ব্রাশ পেনে অতটা কালার থাকেনা, যতটা আমার কালার পেন্সিলে আছে। তাই আমি বেশিরভাগ ড্রয়িং রং পেন্সিল দিয়েই করি।
আমি পরবর্তী কালে ভেবে রেখে দিয়েছি যে ,আমার যখন আবার বাড়িতে আসবে তখন একজনের কাছ থেকে আমি মার্কার পেন অর্থাৎ যেগুলি একটি কালো ব্যাগের মধ্যে অনেক পরিমানে থাকে এইগুলোর পিস পাওয়া যায়। যেমন ৮০ পিস ১৮০ পিস ২০০ পিস লাস্টে ৩২০ পিস আছে। তো আমি ভেবে রেখেছি হয় ২০০ পিস না হলে ৩২০ পিসটাই কিনব ।না হলে আমার ড্রইংটি ঠিক সম্পূর্ণ হবে না ।
৩২০ মানে অনেক গুলি রং ।ফলে আমার কালারের চিন্তা করতে হবে না। যাইহোক আপনাদের তো বলেছিলাম যে আমি একদিন না একদিন গোকুর ড্রয়িং আঁকবো, তাই আমি আজকে গোকুর ড্রয়িং ছাড়ছি। পরবর্তীকালে আরেকটি ক্যারেক্টার বাকি আছে, সেটি আঁকবো।
লিংক
যাইহোক আমি এই ছবি আঁকার ওপর একটা ভিডিও তৈরি করেছি। সেটাকে আমি এডিটিং করে আমার চ্যানেলে অর্থাৎ ইউটিউবে ছেড়েছি। ওপরে লিংক দিয়ে দিলাম।এবার ছবি আঁকায় ফিরে আসি।**
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আমি মুখের আউটলাইনটি এঁকে নিচ্ছি।
দ্বিতীয় ধাপ
দ্বিতীয় ধাপের আমি ওর বডি এবং হাত এবং ছাতি এবং সিক্স প্যাকটা একে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
তৃতীয় ধাপে আমি তার প্যান্ট এবং পা গুলো একে নিচ্ছি আর পাশের আগুনগুলি একে নিচ্ছি।
চতুর্থ ধাপ
এবারে আমি রং করা শুরু করলাম। প্রথমেই আমি স্কিনের কালার করছি। রং পেন্সিল দিয়ে। তারপর রিস্ট ব্যান্ডের কালার করেছি।
পঞ্চম ধাপ
এবার গোকুর কস্টিউম এর কালার করবো। এজন্য আমি আকাশী আর কমলা ব্যবহার করেছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের দিকের আগুন গুলো করে নিচ্ছি।। প্রথমে কালো মার্কার দিয়ে ভরাট করছি। তারপরে আগুনের রং অর্থাৎ হলুদ রং করলাম। সাথে আকাশি রং করলাম।
ফাইনাল
তাই এতদিন পর আমি পোস্ট করছি আর এই ছবিটা একে আমি খুব খুশি হয়েছি কারণ এই ছবিটা আঁকার পর আমার নিজেরও খুব ছবিটাকে দেখতে ভালো লাগছে।
@jisnu.ishan সেই কবে থেকে অধির আগ্রহে গালে হাত দিয়ে এক্ জায়গায় চুপ করে বসে ছিলাম!
আজকে আমি নিজের মৌনতা ভঙ্গ করে চলে এসেছি এখানে মন্তব্য করতে, কারণ আমিও ভয়ে ছিলাম যদি একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়!! আমার কি হবে? হাজার হোক বয় ফ্রেন্ডের একটা লেখা পড়তে না পারলে কার ভালো লাগে? সেটা অন্য বিষয় আমি এক্ নম্বর গার্ল ফ্রেড নই, তাতে আমার অসুবিধা নেই, আমি এরকম একটি নামী শিল্পীর দ্বিতীয় গার্ল ফ্রেন্ড হতে রাজি।
আজকে আমার প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে, আর যে যাই বলুক আমি তো তোমার আঁকার ভীষণ ভক্ত।
তাইবলে পড়াশুনার ক্ষত করে বলবো না সবসময় আঁকতেই হবে, অন্যান্য বিষয়, যেমন স্কুলের ভালো মন্দ দিক, কোন সাবজেক্ট পড়তে ভালো লাগে, কোনটা নয়!
এরপর নিজের প্রিয় খাবার, নিজের প্রিয় বন্ধু সবকিছু নিয়ে লিখতে পারো, সময় কম লাগবে এবং সপ্তাহে লেখায় এত গ্যাপ হবে না।
এছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজো সবে গেলো, কিভাবে তুমি সেই সময় কাটিয়েছো সেসব নিয়েও লিখতে পারো।
বড় হয়ে কি হবার স্বপ্ন দেখো সেগুলো নিয়ে লিখতে পারো, তোমার সবচাইতে কোন বিষয় অনলাইনে, টেলিভিশনে দেখতে ভালো লাগে!
এরকম বহু বিষয় নিয়ে লিখে, নিজের সম্পর্কে অন্যদের অবগত করতে পারো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নতুন গার্লফ্রেন্ড হিসেবে আপনি যে পরামর্শ দিয়েছেন সেটা আমার ভালো লেগেছে কেননা ছবি অঙ্কন করা তারপর সেগুলো রং করে ডিজাইন করা অনেক সময়েই ব্যাপার।
যাইহোক গার্লফ্রেন্ড হওয়ার এই বিষয়টা পড়ে মনে পড়ে গেল বাংলাদেশ ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। এই তো কিছুদিন আগে দুই নারী একই সাথে উপস্থিত হয়েছে এক ছেলের বাসায় বিয়ের দাবিতে। ছেলেটা নাকি দুজনের সাথে প্রেম করছে। মেয়ে দুইটা নাছোড়বান্দা বিয়ে না করে ছেলের বাসা ত্যাগ করবে না । এক পর্যায়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলো তোমরা কি দুইজন একই সাথে এই ছেলেকে বিয়ে করবে তারা বলল হা করব সমস্যা নাই। পরের দিন সংবাদে শুনতে পেলাম একই সাথে দুই মেয়েকে বিয়ে করল সেই ছেলেটা। যাইহোক এটা একটা বাংলাদেশের ঘটনা তবে আপনি আমাদের গার্জিয়ান হিসেবে সব সময় যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা সত্যিই অতুলনীয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তুমি এদিকে অধীর আগ্রহে বসে আছো, আর আমিও অনেক মিস করছি। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কিভাবে সব ম্যানেজ করব। কারণ বাড়িতে সবাই পড়া পড়া করছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@jisnu.ishan এই বিরহ কি সহ্য হয়? আর আমার যে ছবিটা দিয়েছি সেটা কবে এঁকে দেবে কে জানে?
বাড়িতে সবাই তোমার ভালো চায়, তাই হয়তো পরীক্ষা বলে একটু পড়া পড়া করছে।
তবে, পড়াশুনার ফাঁকে আমি জানি তুমি চাইলেই সবটা ঠিক ম্যানেজ করতে পারবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ কি দারুন আরো একটি অংকন করা ছবি দেখার সুযোগ হলো, অনেকদিন পর আজকে ছবি আকার সুযোগ পেয়েছেন কেননা সামনে আপনার পরীক্ষা আর সেখানেই বেশি মনোযোগ দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু হতে হলে অবশ্যই পড়াশোনা দিকেও নজর দিতে হবে আমি আশা করি পরীক্ষা শেষ হলে আবারও আপনার আঁকা ছবিগুলো দেখতে পাবো ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গোকু র ড্রয়িং খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাইহোক তুমি পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। আমার তো মনে হয় দুষ্টামিটা একটু কম করে ছবি আঁকাতে আর পড়াশোনাতে মন দিলে ভালোই হয়। দিন দিন কত ভালো ছবি আঁকা শিখে যাচ্ছ। আমি তো ভাবছি আমি তোমার কাছে ছবি আঁকা শুরু করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit