অল্প উপকরণ দিয়ে, বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা করার রেসিপি,,।

in hive-120823 •  last month 

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage.png
Photo edited by canva

আসসালামু আলাইকুম,,,।

প্রথমে বলছি আমি ভালো আছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করছি ভালো আর যদি খারাপ থাকেন, তাহলে আমার এই মজাদার রেসিপি টা দেখার পরে আর আপনারা খারাপ থাকবেন না,,,আশা করছি।

ইদানিং হয়েছে কি, কোন কিছুই খেতে মন চায় না,, একটা অরুচি ভাব হয়েছে,, ডাক্তার বলছে বেশি বেশি মাছ, মাংস,ও ডিম খেতে কিন্তুু আমাকে শুধু ভর্তায় টানে,তাছাড়া এই ভর্তা টা তৈরি করতেও কিন্তুু আমি তো খুবই অল্প উপকরণ ব্যবহার করেছি,, যাতে করে বাসায় থাকা অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে।

তাই আজ এমন এক অসাধারণ একটা ভর্তা তৈরি করেছি। যেটা দিয়ে আপনি অনায়াসে দুই থেকে তিন প্লেট ভাত খেতে পারবেন,,।এক কথায় এটার ঘ্রানে আপনার পেট ভরে যাবে,, কি যে স্বাদ,,👌 সেই স্বাদ হয়েছে,,,।

তো চলুন, রেসিপি টা শুরু করা যাক।
নাম্বারউপকরণপরিমাণ
1বেগুন১ টা
2কাঁচা মরিচ৬ টা
3পিঁয়াজ১ টা
4তেল১চামচ
5লবণপরিমাণ মতন

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথম ধাপ :

প্রথমে আমি একটা বেগুন কে অর্ধেক করে নিয়েছি,কারণ একটা বেগুন ভর্তা করলে বেশি হয়ে যেতো কারন, বেগুন টা অনেক বড় ছিলো আপনারা চাইলে আপনাদের মত করে নিতে পারেন। অর্ধেক করার পরে আমি বেগুন টা কে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage.pngPhoto edited by canva

দ্বিতীয় ধাপ :

এরপরে বেগুনের গায়ে এক চামচ পরিমাণ তেল মাখিয়ে নিয়েছি। এবং বেগুন টা কে তিনটা ভাগে কেটে নিয়েছি, যেমন টা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পুরোপুরি ভাবে কাটি নি।মূলত ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য এমন টা কাটা।

তৃতীয় ধাপ :

এরপরে আমি বেগুনের কাটা জায়গায় মরিচ গুলো কে খুব ভালোভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছি, যাতে করে মরিচ গুলো সিদ্ধ হয়ে যায়।এরপরে আমি একটা ফ্রাই প্যানে বেগুন টা কে রেখে ঢেকে দিয়ে দিয়েছি।।

চতুর্থ ধাপ :

এরপরে একদম অল্প আচে, ১০ মিনিটের মত রেখে দিলাম।১০ মিনিট পরে ঢাকনা উঠিয়ে দেখলাম এটা পুরোপুরি ভাবে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে,,।এরপরে নামিয়ে নিয়ে বেগুনের খোসা গুলো ছাড়িয়ে নিলাম।

পঞ্চম ধাপ :

বেগুনের খোসা ছাড়ানো শেষে, আমি সিদ্ধ হওয়া কাঁচা মরিচ,পিয়াজ কুচি এবং পরিমাণ মতো লবণ দিলাম। ও এই গুলো কে আমি হাতের সাহায্যে খুব সুন্দর ভাবে মাখিয়ে নিলাম। আপনারা কেউ চাইলে শুকনা মরিচ দিতে পারেন তবে, আমার গ্যাসের অনেক সমস্যা আছে। যার কারণে আমি কাঁচা পেঁয়াজ টা ব্যবহার করেছি,কারণ কাঁচা পেঁয়াজ গ্যাসের জন্য অনেক উপকারী,, আপনারা চাইলে পেঁয়াজ টা হালকা ভেজে নিতে পারেন।

ষষ্ঠ ধাপ :

মাখিয়ে রাখা পেঁয়াজ মরিচের ভিতরে আমি বেগুন টা কে দিয়ে ভালোভাবে হাতের সাহায্যে ভর্তা করে নিলাম। আর সেই সাথেই আমার রেডি হয়ে গেল এক অসাধারণ মজাদার পোড়া বেগুনের ভর্তার করার রেসিপি।

আর তাহলে অপেক্ষা কিসের গরম ভাত নিয়ে বসে পড়লাম, এই টা স্বাদ গ্রহণ করার জন্য,, দেখতে এই পাচ্ছেন কত টা লোভনীয় হয়েছে, আর আমি কি বলবো মুখে দিয়ে তো মনে হচ্ছিলো অমৃত খাচ্ছি।সাথে আমার মেয়েও ছিলো,ও ভর্তা খেতে পছন্দ করে না তবে আজ আমার এই ভর্তা খেয়ে তারও নাকি ভালো লেগেছে,,,। যদিও সে ঝাল খেতে পারে না তবে যতটুকু খেয়েছে এবং ও যেটা এই বলেছে তাতেই খুশি।।

এবার রইলাম আপনাদের অপেক্ষায় কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই অবগত রয়েছি। এই অবস্থায় খাবারের ক্ষেত্রে এইরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় যেটা আমার বোনের ক্ষেত্রে ও আমি দেখেছিলাম। কিন্তু সব দিক বিবেচনা করে খাবার তো খেতেই হবে।

কারণ আপনার সুস্বাস্থ্যের ওপর এখন অনেক কিছুই নির্ভর করছে আপু। সর্বোপরি ডাক্তারের কথা মতো নিজেকে পরিচালিত করতে হবে। বর্তমান খাবারের পুষ্টিগুণের যে অবস্থা তাতে ডাক্তারের পরামর্শের বাইরে চলা একদমই সঠিক হবে না।

বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা আপনি যেভাবে করেছেন নিশ্চয়ই সুস্বাদুই হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ও আপনার লেখা পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। যে কোনো মূল্যে নিজের দিকে আরো সচেতন থাকবেন আপু। আপনাকে সুস্থ্য থাকতেই হবে । ঈশ্বর আপনার সহায় হোন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা রন্ধন প্রণালী আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

প্রথমে ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য,,।
আপনার কথাটা কিন্তু ভালই লেগেছে বর্তমানে খাবারের পুষ্টিগুণের যে অবস্থা তাতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একটা দিন কাটানো অসম্ভব।।
খারাপ লাগার মাঝে দিয়েও যে নিজে কে দিয়ে কিছুটা সময় দিতে পারছি এ প্ল্যাটফর্মে ,,,, তাতে কিছু হলেও ভালো লাগছে,, দোয়া করবেন।।।

Loading...

সবার মুখে এই একটাই কথা শুনি মুখে রুচি না থাকলেও বেগুন পোড়া মাখিয়ে খেতে ভালো লাগে। আমার ঠাকুমা বেগুন পোড়া খেতে ভীষণ ভালোবাসতো৷ প্রায়শই বাড়িতে বেগুন পুড়িয়ে মাখিয়ে খেতেন।

তবে কেন জানি আমার খেতে ইচ্ছা করে না, তাই এর স্বাদ কেমন সেটা জানি না। তবে আপনার তৈরি বেগুন পোড়া খেতে বেশ ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।

তাই নাকি আপনি খেতে পছন্দ করেন না,,, তবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রত্যেকটা খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার সেটা কেমন সেটাকে টেস্ট করে দেখার।।
না হলে তো খাবারের মজাই বুঝবেন না যদিও এই বোঝাটা আমি এখন বুঝতেছি,, আগে যখন সব ধরনের খাবার খেতে চাইতাম না।। কিন্তু এখন বুঝতেছি সবকিছু একটু টেস্ট করে দেখা উচিত।।। তাই আমি চাইবো আপনি একটু এরকম ভর্তা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।।