নিজেকে একটু সময় দেওয়া,,,।

in hive-120823 •  27 days ago 

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage.png
Photo edited by canva

সময় আমাদের জীবন থেকে যে কত দ্রুত চলে যায় তা বোঝার উপায় নেই, যদি সাথে তাল মিলিয়ে সময় কে কাজে লাগানো না যায়।আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেক টা সময় পার করেছি আমি। তবে আজ মনে হলো হঠাৎ করে নিজেকে একটু সময় দেওয়া প্রয়োজন।

সব সময় চিন্তা ভাবনা করে কাজ করা যায় না, তাই যেহেতু মনে যখন পড়েছে তাই নিজেকে সময় দেয়ার জন্য একটু বেরিয়ে পড়লাম,,তবে নিজেকে সময় দেওয়া ঘরে বসেও যায়, নিজেকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা ঘরে বসেও সম্ভব তবে। আমার কাছে মনে হয় এরকম খোলা পরিবেশে,খোলা আকাশের নিচে বসে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখায় এবং নিজেকে নিয়ে ভাবনার বিষয়টা ও অন্যরকম আনন্দ কাজ করে,,।

আজ বিকেল বেলায় মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম তবে, কোথায় যাবো সেটা ভাবিনি ইচ্ছা আছে ভিতর দিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করবো,আমার কাছে পিলখানার সব জায়গা থেকে এই জায়গাটাই বেশি ভালো লাগে, তবে অন্য জায়গা গুলো খারাপ নয় কিন্তুু এই জায়গাটা আমার কাছে একটু বেশিই ভালো লাগে ঠান্ডা পরিবেশ এবং এখানে বাতাসটাও সব সময় থাকে,,,।

আর এখানে পাখির যে একটা ডাক ভিতর টা যেন নাড়া দিয়ে ওঠে, বাসা থেকে বেরিয়ে হেঁটে এসে আমি এখানে এসে বসেছি। আর আমার মেয়ে বসে থাকতে একদমই ভালো লাগেনা, তার ইচ্ছা সে সব জায়গা দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরে ঘুরে দেখবে।আমি বড় মানুষ তাই বাসা থেকে বের হলে মনে হয় যেন একটা বড় শ্বাস নিতে পারছি, যদিও বাসার ভেতরে দম বন্ধ হয়ে আসে না, তবুও বাসার আর বাহিরে দুটাই আলাদা জগৎ,আর তো ছোট মানুষ ওর কাছে মনে হয় খাঁচা থেকে বের হলো,,।

যাইহোক, প্রথমে একটু হাঁটাহাটি করলাম এরপরে এই জায়গাটা তে বসে নিজেকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করলাম। কত কি চিন্তা হাজারো প্রশ্ন মনের ভিতর দৌড়া,দৌড়ি করছিলো,জানিনা আমার মত আপনাদের মনে এরকম নিজেকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন জাগে কি না তবে, আমার কিন্তুু জাগে।

মাঝে মাঝে মনে হয়,জীবন থেকে তো অনেক টা বছর শেষ হয়ে গিয়েছে,আমি তো প্রায় দুই যুগ শেষ করেছি তবে, এত দীর্ঘ সময় আমি কি করেছি?? অনার্স টা ও কমপ্লিট হতে ও এখনো দুই বছর, আর পড়ালেখা টা শেষ করার পরেও কি আমি কিছু করতে পারবো?? হাজবেন্ড এখন পড়াচ্ছে যদি তখন কিছু না করতে দেয়?? আগামী বছর থেকে বাচ্চাকে স্কুলে দিতে হবে, আমি মা হিসাবে আমার মেয়ে কি সঠিক গাইড লাইন দিতে পারবো?? এর সাথে তো সংসারের হাজারো প্রশ্ন?? আগামী বছরের শেষে হাজবেন্ডের নতুন জায়গা তে পোস্টিং হবে তখনই বা আমি কি করবো তার সাথে যাব? নাকি আমার শ্বশুর বাড়িতে থাকবো?? কি করবো আমি?? এত এত প্রশ্ন মাথার মধ্যে দিয়ে ঘুরপাক করছিলো।।।

তখন মনে হলো, সৃষ্টিকর্তা যা করবেন আমাদের ভালোর জন্যই করবেন যখন যে জায়গা যে পরিবেশেই থাকি না কেন। যত কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হই না কেন, সৃষ্টিকর্তা তখন চাইলে হাজারো কঠিন বাঁধা সহজ করে দিতে পারেন। তাছাড়া প্রত্যেক টা নারী যদি পারে ঘরবাড়ি সন্তান, সংসার সবকিছু সামলাতে পারে তাহলে আমিও পারবো।

তাছাড়া,যখন থেকে বুঝতে শিখেছি নিজের মতো করে, তখন থেকেই আমার একটা ইচ্ছা কখনো নিজের জন্য,টাকা পয়সা, গাড়ি বাড়ি, করার বা সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই, এতটুকুই চাওয়া দিন শেষে জানো কাছের মানুষ গুলো কে নিয়ে ভালো থাকতে পারে এবং থাকতে পারি।।।আলহামদুলিল্লাহ, সে জায়গা থেকে আমি ভীষণ ভালো আছি।

যাইহোক, অনেক কথা বললাম নিজেকে নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করলাম খোলা আকাশের নিচে বসে বসে বাতাস খেলাম।এরই মাঝে আমি এবং আমার মেয়ে কয়েক টা ছবিও তুললাম। মা মেয়ে মিলে একটু গল্পসল্প করলাম। এরপরে আবার আমরা হেঁটে হেঁটে বাসায় চলে এসেছিলাম।

সব মিলিয়ে আমি আজ নিজেকে নিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটাতে পেরে ভীষণ আনন্দ উপভোগ করেছি। যদিও সঙ্গী ছাড়া এমন সুন্দর সময় কাটাতে খুব একটা ভালো লাগে না,,তবে মাঝে মধ্যে সঙ্গী ছাড়াও নিজে কে নিয়ে সময় কাটাবেন দেখবেন কোন অংশেই কম সুন্দর হয়না সময়টা। এখন বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

প্রত্যেকের উচিত নিজের জন্য সময় বের করা আমরা হয়তোবা সবসময় অন্যের কাজে ব্যস্ত থাকি তবে এর মাঝেও নিজেকে সময় দেওয়া খুবই জরুরী আপনি একদম ঠিক বলছেন ঘরে বসে নিজেকে সময় দেওয়া যায় নিয়ে ভাবা যায় খোলা আকাশের নিচে যে চিন্তা মাথায় আসবে এটা হয়তোবা ঘরের ভিতরে আসবেনা।

আপনার মত আমিও খোলা আকাশের নিচে বেড়াতে অনেক ভালোবাসি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন

ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটা রিপ্লাই করার জন্য। এবং জেনে ভালো লাগলো আপনিও একা আকাশের নিচে ভাবতে ভালোবাসেন।

এই জীবনে ব্যস্ততা কখনো কমে যাবে না কাজের চাপ কখনো কম হবে না। তবুও তার মধ্য থেকে নিজের জন্য কিছুটা ভালো সময় বের করা লাগবে আমাদের। কারণ একটি মানুষ ঘরের মধ্যেও কাজের উপরে থাকলেও মন এক জায়গায় থাকে না। কোথাও প্রতিদিন একটি জায়গায় কাজ করলেও মন খুব ভালো থাকে না। তাই এই ব্যস্ত জীবনের মধ্য থেকেও কিছুটা ভালো সময় বের করে ঘোরাফেরা করা উচিত আমাদের এবং মন সান্তনা দেওয়া উচিত এতে মন ভালো থাকে এবং কাজের প্রতি মন বসে যায়।