Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন,,। আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ আছি। লেখা শুরু করার আগেই আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ, তিনি আমার দিন গুলো সুন্দর ভাবে কাটানো তৌফিক দিয়েছে এবং আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। তাই অনেক ভালো লাগছে,,।
ইদানিং একটু ব্যস্ত দিন পার করছি, কারণ শাশুড়ি আম্মা বাসায় এসেছে তার উপরে আবার আজ আমার দেবর ও এসেছিল সব মিলিয়ে একটু কাজের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার দিন, তবে সবাই একসাথে থাকলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা ও কাজ করে,, প্রতিদিনের মতো আজও খুব ভরে ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারণ,গত রাতে ভেবে রেখেছি আজ সারাদিন অনেক কাজ করতে হবে।
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে, মনে পড়ল আমার শ্বাশুড়ি আম্মা গ্রামের বাড়ি থেকে আসার সময় একটা কাঁচা ফুট নিয়ে এসেছিল, যদিও এই সময় টা তে ফুট পাওয়া যায় না। তবে, অ সিজনের ফল গুলো কিন্তুু খেতে একটু আগ্রহ কাজ করে সবার ক্ষেত্রে।
তাই আমিও এই ফলটা কে দেখে একটু পাকানোর জন্য আমার আলমারি তে রেখে দিয়ে ছিলাম একটা কাপড় পেঁচিয়ে, কথা টা খানিক টা হাস্যকর এত জায়গা থাকতে আলমারি কেন।।সত্যি কথা বলতে আমার বাসায় এমন কোন একটা জায়গা ছিল না,যে খানে রেখে দিলে এটা বেশি গরম থাকবে তাই আলমারিতে রেখে দিয়েছিলাম। তাই আজ নামাজ শেষ করতেই মনে পড়ল এবং কাছে গিয়েই দেখি এত সুন্দর ঘ্রাণ আর তাই ক্যামেরা বন্দি করে রেখে দিলাম আপনাদের জন্য।
এরপরে, সকালের নাস্তা হিসেবে এটা কে খেয়েছিলাম সাথে ছিলো চা বিস্কুট, পাউরুটি ও ডিম সিদ্ধ। সকালের নাস্তা টা শাশুড়ি আম্মা এবং আমি ঝটপট করে নিয়েছিলাম। নাস্তা শেষে আর বসে থাকি না কারণ, দুপুরের আগে আমার দেবর আসবে আমাদের বাসায় সেজন্য কাজে লেগে পড়ি। প্রথমে আমি প্রত্যেক টা রুম সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নিলাম। অন্যদিকে আমার শাশুড়ি আম্মা সবজি এবং রান্না জন্য সব কিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলো।।
তিনি আমার কাজে বেশ সাহায্য করে, তাই সে বাসায় আসার পর থেকে আমি রান্না না করে খানিক টা বেঁচে গেছি,,,যদিও কয়েক দিনের জন্য তবে এই কয়টা দিন যে তিনি আমাকে রান্না করে খাওয়ার তাতে এই আমি আলহামদুলিল্লাহ, বলি।
এর পরে শাশুড়ি আম্মা দুপুরের রান্না করলেন গরুর মাংস, মুরগির মাংস, ইলিশ মাছ দিয়ে ফুলকপি, সাথে ছিলো ছোট মাছের চচ্চড়ি।তিনি রান্নাবান্না শেষ করলেন আমি অন্যদিকে আমার মেয়ে কে গোসল করিয়ে দিলাম এবং দেবরের জন্য হালকা নাস্তা তৈরি করলাম।
নাস্তা তৈরি করা শেষ হওয়া সাথে সাথেই আমার দেবর আসলো এবং তাকে আপ্যায়ন করলাম হলকা নাস্তা দিয়ে। অন্যদিকে শাশুড়ি আম্মার রান্না শেষ। এর মাঝে আমার হাজব্যান্ড ফোন দিয়েছে। কারণ,আমি দুই দিন আগে আলত করানোর জন্য কাগজ জমা দিয়েছিলাম।
এবং যে ডাক্তার দিয়ে করাবো উনি আজকেই বসবে, এ কথা শুনে আমার শাশুড়ি আম্মা বললো আমাকে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য আর আমিও সবকিছু ফেলে রেখে চলে গেলাম। যদিও রান্নাবান্না শেষ তাই ঠান্ডা মাথায় মেয়ে কে রেখে ডাক্তারের কাছে চলে যাই ।।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রথমে আমি এই ডাক্তার দেখালাম এরপরে আলতা করলাম, রিপোর্ট সব কিছু ভালো ছিল তবে। আমি যতোটুকু পরিমাণে খাবার খাই তার থেকে আরও বেশি পরিমাণে খাবার খেতে হবে, আর এটাই কেন জানি পারি না। তবে কি আর করার নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে তো করতেই হবে, এরপরে ওষুধ নিয়ে বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে প্রথমে গোসল টা শেষ করে নিলাম, এরপরে জোহরের নামাজ আদায় করলাম, এবং নামাজ শেষ হতে আমার হাজব্যান্ড আসলো, তাই সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খানিক টা সময় একটু ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম ,কারন
নিজেকে ভীষণ ক্লান্ত মনে হয়েছিলো,যদিও শরীর টা একটু অসুস্থ তার পরে আমার বাসায় মেহমান রান্নাবান্নার আয়োজনে, এর মাঝে আবার নিজেকে ডাক্তার দেখানো ভীষণ ব্যস্ততার মাঝে কেটেছে আজকের কিছু সময়। তবুও দিন শেষে মনে হয়েছে সবাই একসাথে থাকলে মনটাও ভালো লাগে।
আজ বেশিদূর যাব না এখানেই শেষ করবো,কারণ লেখা মত কোন এনার্জি পাচ্ছি না। তো সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য, এবং সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
সংসারে কেউ আসলে কাজের পরিমাণ বেড়ে যায়। আপনাদের বাসায় আপনার শাশুড়ি মা আর দেওর এসেছেন। তবে ফুটি খেতে আমিও পছন্দ করি কিন্তু অসময়ে ফুটি দেখে আমিও একটু অবাক হলাম। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit