- আসসালামু আলাইকুম, আমি আশাবাদী সবাই ভালো আছেন।আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। আমাদের জীবন একটা নদীর মত কখন কোন স্রতে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা বোঝার খুব মুশকিল,,,,কখনো ভালো, কখনো মন্দ এসব কিছুর মাঝেই আমাদের এই ছোট্ট জীবন।
বেশ কিছুদিন ধরেই মনটা বড্ড ছটফট করছিল বাড়ি যাওয়ার জন্য, যেমন টা আমার গত পোস্টগুলো তে পড়লে বুঝতে পারবেন। আমরা যদি কিছু মন থেকে চাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের ঠিকই দিয়ে থাকেন, আজ দুপুর বেলা হাসবেন্ড একটু দেরি করে বাসায় ফিরলো,বলা যায় বিকাল তখন। সেই সাথে অনেক কিছু নিয়ে এসেছে ফল এবং অনেক বেশি করে রেশন ও তুলেছে। আমি জানতে চাইলাম এত কিছু কেন?
তিনি আমাকে এক কথায় উত্তর দিয়ে চমকে দিলেন, বলল আগামীকাল কে আমরা সবাই বাড়ি যাচ্ছি। আমি হঠাৎ এমন একটা কথা শুনতে পাবো সত্যি আমি স্বপ্নেও ভাবি নি। মনে মনে যে কি আনন্দ লাগছিল তা হয়তো এভাবে লিখে ভাষা দিয়ে বোঝানো অসম্ভব। বললাম কালকে কেন চলো এখনই যাই রাত হলে সমস্যা নাই।
আমার হাজব্যান্ড বলল পাগল,আমি একা থাকলে যেতে পারতাম কিন্তু তুমি এবং আমার মেয়ে দুই জনকে নিয়ে এভাবে রাত করে যাওয়া ঠিক হবে না,, তাছাড়া আমাদের ব্যাগ এবং বাসা কোনটাই গোছানো নেই। এরপরে কি সবকিছু ফেলে রেখে আমি ঠান্ডা মাথায় বাড়িতে আসার জন্য ব্যাগগুলো গুছিয়ে রাখলাম।
এবং কিছু কিছু কাজ ছিল যেগুলো গুছিয়ে রাখলাম, কারণ আমি ১৫ দিনের মত বাড়িতে থাকব আর আমার হাজব্যান্ড এক সপ্তাহের ছুটিতে যাচ্ছে তাই,, তাকে বাসায় ফিরে যেতে একটু কষ্ট কম করতে হয় সেজন্যই আমার এত ব্যবস্থা। কোন ভাবে রাতটা শেষ করি, সত্যি কথা বলতে আনন্দে রাতে ঘুমটাও ঠিকভাবে হয়নি।
আজ সকাল বেলা একদম ফজরের আযান শুনে আমি এবং আমার হাজব্যান্ড ঘুম থেকে উঠেছি সেই সাথে আমার মেয়েও উঠেছে ও কখনোই এত ভোরে ওঠেনা কিন্তু আজ ওর ভিতরে একটা আনন্দ কাজ করছে। এরপর আমরা দুই জন ফজরের নামাজ আদায় করে খুব দ্রুততার সাথে রেডি হয়ে নিলাম।
বাসা থেকে হালকা নাস্তা করেছিলাম, এরপর আমরা চলে আসি একদম কাউন্টারের কাছে, এখানে এসে প্রথমে আমরা টিকিট টা কেটে নেই, যদিও আমরা চেয়েছিলাম সাতটার গাড়িতে আসতে তবে,, তার হয়নি আটটার গাড়িতে টিকিট কাটতে হয়েছে,, কারণ আমি চেয়েছি সামনের সিটে বসে আসার জন্য, আর সেই কারণেই একটা ঘন্টা দেরি করা।
এরপরে আমরা গাড়িতে উঠে বসি, আমার আম্মুর সাথে কথা বললাম, ভেবেছিলাম আমার বাবার বাড়িতে আগে যাব, কিন্তু যেহেতু হাজবেন্ডের সাথে যাচ্ছি,তাই শ্বশুরবাড়িতে আগে যেতে হচ্ছে,,,,তাই কিছুই করার নেই , তবে খুব একটা খারাপ লাগছে বলবো না। গাড়িটা খুব সুন্দর ভাবে চলতেছিলো,এবং খুব দ্রুতই পদ্মা সেতুর কাছাকাছি চলে আসলাম।
পদ্মায় অনেকটা পরিমাণে চর জমেছে, গাড়ি এত দ্রুত চলছিল যে সঠিকভাবে ছবি তোলার উপায় নেই তবু চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য। আমরা উঠেছিলাম আটটার গাড়িতে এবং দীর্ঘ চার ঘন্টা পরে আমরা আমাদের বাজারে এসে নেমে পড়ি,,, এবং এখান থেকে একটা অটো নিয়ে সোজা আমার শ্বশুর বাড়ির সামনে আসি,,,।
এরপরে সবার সাথে কুশল বিনিময় শেষ করি,সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে দেখতে পেয়েও শান্তি লাগলো, এরপর হাতমুখ ধুয়ে শাশুড়ি আম্মার হাতে রান্না করা সব মজার মজার খাবার খেলাম,,খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলাম,,,
এর মাঝে আমার শাশুড়ি আম্ম এক গ্লাস গরম দুধ খেতে দিলো, যেটা খেতে খেতে আপনাদের জন্য পোস্ট লেখা সম্পন্ন করলাম। যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন,, আল্লাহ হাফেজ।।
ঠিক বলেছেন ,সৃষ্টিকর্তার কাছে মন থেকে কিছু চাইলে তা পূরণ হয়।আপনার বেলায় ও তাই ঘটেছে। আপনার হাসবেন্ড ঠিক বলেছে. রাতের বেলা দূরের পথে যাতায়াত করা ঠিক না যে কোন মুহূর্তে কোন সমস্যা হতে পারে।
যাইহোক ,অনেকদিন পর আপনার আপন মানুষগুলোকে কাছে পেয়েছেন। সকলের সাথে আপনার দিনগুলো যেন খুব সুন্দর ভাবে কাটে এই কামনা করি ।ভাল থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আমরা যতই কোয়ার্টারে থাকি না কেন বা শহরে থাকি না কেন আমাদের গ্রামের বাড়ির জন্য মন টানে।
যেহেতু আপনি অনেক দিন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তাই ওদেরকে ছেড়ে আপনার ঢাকা শহরে থাকতে কষ্ট হচ্ছে ।এই বাড়ি যাওয়ার আনন্দটা আপনাকে অনেক খুশি এনে দিয়েছে ।
আপনার এই জার্নিটা শুভ হোক ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you 💝
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টটা পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। বাড়ি ফিরে যাওয়ার যে আনন্দটা আপনি বর্ণনা করেছেন, সেটা সত্যিই অনেকেই আমার মত অনুভব করতে পারে।
কখনো কখনো জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই অনেক বেশি স্মরণীয় হয়ে যায়, বিশেষত যখন পরিবারের সাথেই সময় কাটানো হয়।
ফজরের সময় থেকে শুরু করে, টিকিট কাটার ঘটনা, পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়ার সময়ের স্মৃতিগুলো খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছানোর পরের আনন্দের মুহূর্তগুলোও খুবই মিষ্টি। শাশুড়ি আম্মার হাতে রান্না করা খাবার খাওয়ার পরের সেই শান্তি, বিশ্রাম নেওয়ার সময়গুলো খুবই প্রিয়। আশা করি, আপনি ১৫ দিন যেভাবে পরিবারে কাটাবেন, সেগুলো আরো অনেক সুখময় হয়ে উঠবে।গ্রামে যেহেতু অনেক বেশি শীত তাই সব সময় নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit