আজ আমার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাটানো কিছু মুহূর্ত।

in hive-120823 •  11 days ago  (edited)

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage (6).png
Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজও সংসারিক কাজকর্ম সেই সাথে নিজের ভালোলাগা, মন্দ লাগা, সেই সাথে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কিভাবে কেটেছে আমার সেই গল্পই শেয়ার করবো, তো চলুন শুরু থেকে শুরু করছি।

সারাটা রাত একটা দুশ্চিন্তার কারণে আমার ঘুম হয়নি, বেশ কয়বার ওঠানামা করার পরে ফজরের আযানের সময় বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েছি। এরপরে কিছুটা সময় দোয়া দরুদ পড়তে ছিলাম , গতকাল রাতে রুটি তৈরি করে রেখেছিলাম কারণ ইদানিং সকাল বেলা পানি এত বেশি ঠান্ডা থাকে ট্যাপ যেন ধরতে ইচ্ছা করে না,,

তবু কিছু করার নেই খেতে হলে তো কাজ করতেই হবে , তবে কাজ কিছুটা কমিয়ে রাখলে স্বস্তি পাওয়া যায়, তাই সকাল বেলা রুটিগুলো হালকা ভেজে নিলাম সেই সাথে ডিম ভাজি করেছিলাম। এরপরে হাজবেন্ড অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হলো,তাই তার সাথে বসে আমরা সকালের নাস্তা করে নিলাম।

এরপরে তাকে বিদায় দিলাম, আর আমি মেয়েকে একটু পড়ানোর জন্য বসে ছিলাম, সে সাথে আমিও একটা বই নিয়ে বসেছিলাম। খানিক টা সময় পড়ানো শেষ করতে আমার ছোট খালা শাশুড়ি ফোন দিয়েছিলো,তার মেয়ের বিয়ে সেই অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিলো, তারা থাকে ইসিবি চত্বর আমার শাশুড়ির জামাই সেনাবাহিনী তে আছেন, সে সূত্রে তারা ক্যান্টনমেন্টে থাকে, এবং তার পাশেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।।।

আমাদের এখান থেকে খুব একটা দূরে নয় আবার কাছেও নয়, এরপরে তার দাওয়াত গ্রহণ করলাম তবে আমি যেতে পারব না সেটা ও জানিয়ে দিলাম।কারণ আমার এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কোথায় গিয়েও শান্তি পাবো না, হয়তো বা আমার হাজবেন্ড মেয়েকে নিয়ে যাবে,,।

এরপর তার সাথে কথা বলা শেষ করতে, কলিংবেলের শব্দ হলো খুলে দেখি হাজবেন্ড এসেছে বাজার নিয়ে অফিসে যাওয়ার আগে তিনি সকাল বেলায় বাজার টা করে দিয়ে গেলো,যেহেতু ভিতর থেকে বাজার করা হয়েছে তাই খুব অল্প সময়ে আসতে পেরেছে, এরপরে কি আর করার ওঠে সবকিছু গুছিয়ে রাখলাম।

সেই সাথে দুপুরে রান্নার জন্য সবজি গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম, এরপরে আর দেরি না করে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম কারণ, ইদানিং দুপুর বেলা গ্যাস খুবই কম থাকে, এতই কম থাকে যে একটা তরকারি রান্না করতে গেলে এক ঘন্টা ফুরিয়ে যায়। তাই আগে আগে রান্না করে নেওয়া ভালো।

রান্নাবান্না শেষ করে মেয়েকে নিয়ে নিচে চলে গেলাম। কারণ দুই দিন ধরে ময়লা জমেছে গোসলের আগে ময়লা গুলো ফেলে না দিলে, আবার ময়লা ফেলার জন্য যেতে হবে পরবর্তীতে, তাই ময়লা গুলো ফেলে দিয়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করলাম, বাহিরে একটু একটু রোদের দেখা মিলছিলো,আর হালকা রোদে মাঝে হাঁটতে কিন্তুু বেশ ভালো লাগে,,,।

এর মাঝে এক ভাবের সাথে দেখা সেও তার ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে রোদে হাঁটতে এসেছে, আর আমার মেয়ে ছোট্ট বাবুটা কে দেখে হাঁটার জন্য চলে গেল, এরপরে আমরা সবাই মিলে বেশ খানিক টা সময় হাটাহাটি করছিলাম। এর মাঝেই জোহরের আযান হলো তাই দেরি না করে বাসায় চলে আসি।

বাসায় এসে হালকা গরম পানি দিয়ে আমি এবং আমার মেয়ে গোসল টা সেরে নিলাম,গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করলাম খানিক টা ঘর গুছিয়ে নিলাম,,এরপর মেয়ে দুপুরে খাবার খেলো হাজবেন্ড আসলো তাকে নিয়ে আমিও দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেশ খানিক টা সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম,আর বিশ্রাম নিতে নিতে একটু খানি খবর দেখছিলাম আমেরিকার অগ্নিকাণ্ডের , আর এর মাঝে আসরের আযান হলো তাই উঠে গিয়ে না আমার নামাজ করে নিলাম।

এরপরে খানিক টা সময় ফোন হাতে নিয়ে সকাল থেকে এই বিকাল পর্যন্ত কি কি করেছি তাই আপনাদের জন্য খানিক টা লেখালেখি করছিলাম, যাইহোক আজ আর বেশি দূরে যাবো না, এখানেই বিদায় নিবো সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgaQoCtGeKVqRDUGfrmTXsfxHraVeGpEUQ6HjQHG9igTSfqGMVa6WEJmNoG7kyP96MeJqwySjh1g.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার দৈনন্দিন এর কর্মকাণ্ড আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য প্রথমে জানাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টের মাধ্যমিক জানতে পারলাম আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র গ্রন্থটা পড়েছেন। আমিও বেশ কয়েকবার এই বইটা পড়েছি। অনেক সুন্দর একটা বই। রবীন্দ্রনাথ এই বইটায় তার প্রবাস যাপনের বিবরণ খুব ভালোভাবে বিবরণ করেছেন।

ভালো থাকবেন আপু। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

এটা আমার অনার্স তৃতীয় বছরের একটা সাবজেক্টের বই তবে এরকম বই পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রবাস যাপনের বিবরণ এত সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছে যেটা পড়তে থাকলে যেন শেষ করতে ইচ্ছা হয় না।।

যদিও আমি সম্পূর্ণ পড়ে শেষ করি নি এখনও তবে যতদূর পড়েছি বেশ ভালো লাগছে।। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য

আপনি আপনার দিনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত ভাগ করেছেন সকালে দুশ্চিন্তার কারণে ঘুম হয়নি, তারপর হালকা নাস্তা তৈরি করা, মেয়েকে পড়ানো, এবং বাইরে রোদে হাঁটার সময়টা খুবই আরামদায়ক ছিল। হাজবেন্ড বাজার করে এনে সাহায্য করেছেন, আর দুপুরের রান্না শেষ করে কিছু বিশ্রাম নিয়েছেন। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর মাঝে দিনটি শান্তিপূর্ণ ছিল। আপনার এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো অনেকেরই ভালো লাগবে।

Loading...

আমাদের প্রতিদিনের দৈনন্দিন জীবনে কাজের শেষ থাকেনা ।তাতে আবার সত্যি এত ঠান্ডা পড়ছে তা বলার নয়। আপনার সারাদিনটা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কেটে যায়। সারাদিনের ব্যস্ততা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দুশ্চিন্তা থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা সেটা ঘুম হোক বা অন্য কিছু।। রাতে দুশ্চিন্তা থাকায় কোনটা ভালোভাবে করতে পারেননি আবার সকালে উঠে নাস্তা তৈরি করেছেন।।

ভাই তো দেখতে পাচ্ছি, অনেকগুলো বাজার একসাথে করে নিয়ে এসেছে আসলে বাজার একসাথে নিয়ে আসলে সুবিধা হয়।।। শীতের সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে মন চায় না যদি গরম পানি হয় তখন বেশ ভালো লাগে।।