Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,তবে মন কিছুটা খারাপ ,,,এক সপ্তার জন্য আমার শাশুড়ি আম্মা আমার বাসায় এসেছিলো আজ তাকে বিদায় জানাতে হয়েছে,আর সেই কারণেই মন মরা হয়ে বসে আছি।
কিন্তুু কিছুই করা যাবে না যখন যে পরিবেশ পরিস্থিতি তখন সেই টা কে এই মানে নিতে হবে, তাই আমিও মনকে কিছুটা বোঝানোর চেষ্টা করছি, আমাদের জীবনে অনেক ধরনের মানুষ আছে জন্ম বাবা-মা দেয়,তাদের তুলনায় কিছু সাথেই চলে না। কিন্তুু এরপরেও কিছু কিছু ব্যক্তি থাকে, যারা আপনার ভিতর টা তে এমন ভাবে থাকবে, যেটার কথা আপনার একবার হলেও মনে করতে হবে।
আজ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে সকালে রান্নাটা শেষ করেছি, আজ শাশুড়ি আম্মা দেশের বাড়িতে চলে যাবে তাই খুব দ্রুত সকালে রান্না টা শেষ করেছি। এরপরে সকালের নাস্তা করেছি সবাই মিলে একসাথে, তবে আমি সকালের নাস্তা করেছিলাম দুই টা ডিম এবং এক গ্লাস দুধ দিয়ে , ডাক্তারের কথা অনুযায়ী।
এরপরে শাশুড়ি আম্মা যাওয়ার জন্য তাকে সব কিছু গুছিয়ে দিলাম, সকালে বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম আমার শ্বশুরের জন্য তাও সুন্দর ভাবে দিলাম। যাতে বাসায় গিয়ে থাকে আর রান্না করতে না হয় আজকের জন্য, কারণ জার্নি করার পরে শরীর এমনিতে এই অনেক ক্লান্ত লাগে তার উপরে আবার রান্না এটা আমার কাছে খুব কঠিন মনে হয়।
এরপরে তাকে বিদায় জানালাম, আমার এখনো গেট পাস হয়নি, তাই আমি আর গেটের বাইরে যেতে পারলাম না গেটের ভিতর থেকে থাকে বিদায় জানাই,আমরা বলি মা আর শাশুড়ি কখনো এক হয় না, তবে সত্যি তার জন্য আমার খারাপ লাগাটা একদম গভীর থেকে, তিনি এই এক সপ্তাহে আমার অনেক সেবা করেছে জানিনা আমি কতটুকু করেছি তার জন্য তবে চেষ্টা করেছি।
তারা কে এগিয়ে দিতে যে মনে হয়েছিলো আমিও তার সাথে দেশের বাড়িতে চলে যাই, সত্যি কথা বলতে আমার এরকম চার দেয়ালের মাঝে ভালো লাগে না। এরপরে তাকে আমার হাজব্যান্ড বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গেল। ওখানে গিয়ে এই গাড়িতে তুলে দিবে।
এরপরে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাসায় চলে আসি, বাসায় এসে তো আমার মেয়ের কান্নাকাটি শুরু, কারণ তার বায়না ছিলো তার আপার সাথে মানে দাদী সাথে তিনি বাড়িতে যাবে। এই কান্না থামাতেও আমার ভীষণ কষ্ট হয়েছে,,আর ওর এমন কান্না দেখে আমার সত্যি খুব খারাপ লাগছিলো,কিন্তুু কিছুই করার ছিল না।
এরপরে ওকে অনেক খাবার দিলাম কিন্তুু সে খাবার খাবে না, কিছুই করতে চায়না, তাই আমি একটা ফল কাটলাম এবং সাজিয়ে ওর সামনে দিলাম, কিন্তুু ফলটা একটু ছুঁয়েও দেখেনি তাই আমি বসে বসে খেয়ে নিলাম। দুপুর বেলা মেয়েকে নিয়ে সময় কেটে গেল রান্না করি নি কারণ, রান্না করতে আমার একদমই ইচ্ছা করছিল না।
এরপর মেয়েকে বুঝিয়ে দুপুরের গোসল করিয়ে দিলাম, আমিও করে নিলাম। আজান হলো জোহরের তাই নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ পড়ে শাশুড়ি আম্মাকে একটা কল করলাম এবং শুনলাম তিনি খুব সুন্দর ভাবে পৌঁছে গিয়েছে।হাজবেন্ড ও নামাজে গিয়েছিলো সে নামাজ পড়ে আসলো তাই আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম, সকালের খাবার টা এই গরম করে খেয়ে নিয়েছি।
এরপরে একটু শুয়ে বসে রেস্ট নিয়ে কাটিয়ে ছিলাম কিছুটা সময়। এই করতে করতে বিকাল হয়ে গিয়েছিলো,তবে সারাদিন টা এই মন খারাপের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। সেই সাথে আমার না পাগলামি ওকে দেখে ওর কান্না দেখে আরো বেশি খারাপ লাগছিলো,,।
তবুও দিন শেষে আপনাদের মাঝে বসেছি, কিছুটা ভালো লাগবে দেখে মনের কথাগুলো শেয়ার করতে পেরে। তো সবাই পরিবারের জন্য দোয়া করবেন এবং সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।
আপনি একদম ঠিক বলছেন জার্নি করার পর রান্না করতে একদম ভালো লাগেনা ঠিক কাজ করছেন শাশুড়ি আম্মার জন্য বিরানী রান্না সাজিয়ে দিয়েছেন। যাতে করে বাসায় গিয়ে রান্না চিন্তা না করতে হয়।
যাইহোক আপনার আজকের পরে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit