সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করা মূর্খের শামিল।

in hive-120823 •  2 years ago 

হ্যালো পাঠক বন্ধুরা!

শুভ সন্ধ্যা, সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন ব্লগে। নিশ্চয়ই সকলে ভালো আছেন এবং দুর্দান্ত সময় অতিবাহিত করছেন। আমি সর্বদা নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি আমার লেখনীর মাধ্যমে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব "সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করা মূর্খের শামিল"এই আর্টিকেলটি।

pexels-raydar-341970.jpgsource

আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে তার আপন মহিমায় সৃষ্টি করেছেন এবং এই সুন্দর পৃথিবীতে শুধুমাত্র তার ইবাদাত বন্দেগির জন্যই প্রেরণ করেছেন। কিন্তু ভিন্ন জাতি বর্ণের মানুষ আমরা এই পৃথিবীতে বাস করি। জাতি হিসেবে আমাদের গায়ের রং এর সাথে আমেরিকার মানুষের গায়ের রংয়ের পার্থক্য আছে। আমরা অনেক সময় মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে তার ভেতরের মনুষ্যত্বকে প্রাধান্য দেয় না এটা সবচেয়ে একটা বড় বোকামি।

আমাদের গায়ের রং বা আমাদের চেহারা এটা আমাদের নিজস্ব কারোর হাত নয়। আমরা নিজেরা নিজেদেরকে সৃষ্টি করিনি তাই গায়ের রং বা বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কখনো অহংকার করা ঠিক নয়। আমরা আমাদের সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই সমাজে যাদের গায়ের রং ফর্সা তারা নিজেদেরকে নিয়ে অনেক বেশি গর্ববোধ করে, তাদের তুলনায় যাদের গায়ের রং শ্যামলা বা কালো তাদেরকে ছোট চোখে দেখে। এটা আমাদের সমাজে পরিচালিত এখনো পর্যন্ত বিদ্যমান।কারণ মানুষ মুখে যতই বড় বড় বুলি বলে থাকে কাজের বেলায় তার সম্পূর্ণটা বিপরীত আমরা লক্ষ্য করি।

সমাজে কালো মেয়েদের সেভাবে গণ্য করা হয় না। সব সময় ছোট চোখে দেখা হয়। মনে হয় যেন সে তার নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে তার নিজের গায়ের রং কে কালো করেছে। সৌন্দর্য মানুষের ভিতরে কখনো চিরস্থায়ী বিরাজমান নয়। আজ আমরা যে সৌন্দর্য নিয়ে বড়াই করি এই সৌন্দর্য বয়সের ভারে একদিন মলিন হয়ে যাবে। কারণ পৃথিবীতে অনেক বিশ্ব সুন্দরী এসেছেন কিন্তু তাদের সৌন্দর্য একটা সময় সময়ের বিবর্তনে মলিন হয়ে গেছে এটাই স্বাভাবিক কারণ আপনার যখন বয়স বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার কাছ থেকে আপনার সৌন্দর্য চলে যাবে আপনার আগের মতো আর চেহারার লাবণ্যতা থাকবে না তাই আমাদের এই ক্ষণিকের সৌন্দর্য নিয়ে কখনো অহংকার করা উচিত নয় যারা এই ক্ষণিকের গায়ের রং বা সৌন্দর্য নিয়ে নিজেদেরকে অনেক বড় ভাবে তাদের মত মূর্খ আর কেউ নেই বলে আমি মনে করি।

pexels-pixabay-34540.jpgsource

কখনো কারোর বাইরের সৌন্দর্য দিয়ে বিচার করা উচিত নয় কারণ বাইরের সৌন্দর্যের ক্ষয় আছে কিন্তু ভেতরের সৌন্দর্য শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য। যারা মানুষের রূপ না দেখে তার গুণকে বিচার করে তারাই আসল বুদ্ধিমান।

তো বন্ধুরা আমরা কখনোই আমাদের সৌন্দর্য নিয়ে বড়াই করব না। যে যেমন সেটাই হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের গায়ের রং যেমনই হোক না কেন সেটাকে প্রাধান্য না দিয়ে তার মনুষ্যত্বকে প্রাধান্য দেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি। আপনার সৌন্দর্য আপনাকে ছেড়ে একদিন চলে যাবে কিন্তু আপনার মনুষ্যত্ব বা আপনার গুণ কখনো আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে না। তাই চেহারার বাড়ায় না করে নিজের মনুষ্যত্বকে সুন্দর করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সকলের।

সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে আমাদের সমাজের সিস্টেম এমন ভাবে তৈরি হয়েছে সবাই এখানে সৌন্দর্যের কদর করে। সুন্দর হলেই যে মানুষটা সুন্দর হবে তা কিন্তু নয়। অহংকার ধ্বংসের মূল এ কথা জেনেও মানুষ কত কিছু নিয়ে অহংকার করে।

একটা কথা কি জানেন তো,,, বর্তমান সমাজের সৌন্দর্যের মূল্য অনেক বেশি। একটা মেয়ে যখন আমরা দেখতে যাই তখন সবচাইতে বেশি যে জিনিসটার উপর গুরুত্ব দেয়। সেটা হচ্ছে সৌন্দর্য। মেয়েটা যদি সুন্দর হয়। আমরা অনায়াসে চুপ করে যাই হ্যাঁ আমাদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে। কিন্তু মেয়েটা যদি একটু কালো হয়। তাহলেই আমাদের মধ্যে,, নানা ধরনের প্রশ্নের আবির্ভাব ঘটে।

আপনি একদমই ঠিক বলেছেন,, সৌন্দর্য নিয়ে কখনো বড়াই করা উচিত নয়। কারণ আজকে আপনি যেমন আছেন। পাঁচ বছর কিংবা ১০ বছর পরে আপনি একই রকম থাকবেন। তার কোন নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারেন না। কখনো কি আপনার সেই সুন্দর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন। কখনো কি আপনার বাবার যৌবনের উজ্জ্বল চেহারার কথা কল্পনা করেছেন। তাহলে হয়তো বা যারা সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করে। তারা কখনোই অহংকার করত না।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

সৌন্দর্য নিয়ে বড়াই করা আসলেই মূর্খতার সামিল । কারণ সৌন্দর্য খুব সাময়িক একটা জিনিস।
এই বাজে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে আমাদেরকে । এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে
লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভালো থাকবেন।