আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন সবাই ? আজ আমার লেখাটি একটু অন্যরকম হতে পারে । সত্যি বলতে, আজ লিখতে বসে আমি একটু ভয় পাচ্ছি। কারণটা সবার চোঁখের আড়ালেই থাক। যখন নিজের ভুল বা অপরাধ চোখে পড়ে, তখন কোনো কাজই মন থেকে করা যায় না। আজ আমার নিজেকে অনেক অপরাধী মনে হচ্ছে। যাদের ভালোবাসা আর বিশ্বাস পেয়েছি, তাদেরই বিশ্বাস ভেঙে আমি অপরাধী হয়েছি।নিজেই নিজের কাছে !
সোর্স
আমাদের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের ভুল বা অপরাধের কারণে প্রিয়জনেরা অনেক কষ্ট পেয়েছে বা পাচ্ছে । এটি নিজের কাছে এমন এক ধরনের যন্ত্রণা, যা প্রতিনিয়ত আমাদের ভেতরটাকে ক্ষত বিক্ষত করে , যতক্ষণ না আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেদের ভুল গুলো শোধরানোর চেষ্টা করি।
আমার জীবনের একটি বড় ভুলের কারণে আজ আমি ক্ষমা চাওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।কি ভাবে চাইবো যাদের কাছে আমি অপরাধী, তারা আমাকে এতটাই বিশ্বাস করতো যে, তাদের সেই বিশ্বাসকে অমর্যাদা করায় আজ আমি নিজেই নিজের কাছে অপরাধী হয়ে গেছি। তবে আমি জানি, ভুল সকলেই করে, কিন্তু সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আজ আমি মনে করি, ক্ষমা চাওয়া ছোট হওয়া নয়। বরং এটা সাহসিকতার পরিচয়, কারণ ভুল স্বীকার করে সংশোধন করা বড় কাজ। যাদের আমি কষ্ট দিয়েছি,অতি আপন জন তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া আমার জন্য অপরিহার্য। আমি চাই তারা আমাকে ক্ষমা করুক, যাতে আমি তাদের ভালোবাসার মর্যাদা রাখতে পারি।
সোর্স
অনেকেই ভাবে, ক্ষমা চাইলে হয়তো আমরা তাদের কাছে ছোট হয়ে যাই। কিন্তু বাস্তবে এটা একদমই ঠিক নয়। আমরা যখন সত্যি কার ভাবে ভুল স্বীকার করি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি, তখন সেটা আমাদের সম্পর্ককে আরো মজবুত করে তুলতে পারে । আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ক্ষমা চাওয়ার ফলে নিজের ভেতরেও এক ধরনের মানসিক শান্তি বয়ে আনে ।
আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এই ধরণের ভুল আর কখনোআমার দ্বারা হবে না। নিজের ভুলগুলোকে স্বীকার করে, তা শুধরানোর চেষ্টা করছি। প্রিয়জনদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার মতো সাহস অর্জন করেছি। কারণ তারা আমার সবচেয়ে আপনজন, যারা আমাকে সব সময় ভালোবাসা দিয়েছে, বিশ্বাস করেছে।
সোর্স
আমার অপরাধ যত বড়ই হোক না কেনো , আমি জানি, তারা আমাকে ক্ষমা করবে। আমি বিশ্বাস করি, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
বর্তমানে বিশ্বাস ধরে রাখা আর হাতের উপর আগুন রাখা একই রকম হয়ে গেছে। সবাই কেন জানি বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
বাস্তবতার অনেক কিছু তুলে ধরা হয়েছে আপনার লেখার মধ্যে।
যেমন ধরুন, আমরা অনেক সময় আমাদের রাগের বশে ক্রোধের বসে আমাদের প্রিয়জনদের কষ্ট দিয়ে ফেলি। পরক্ষণেই যখন সেটা আমাদের মনের মধ্যে ফীল হয় তখন আমরা খুব কষ্ট পাই। তবে সুযোগ থাকলে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত, সুযোগ হারিয়ে গেলে হয়তো অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের প্রতি বিশ্বাস খুব বড় একটা বিষয়, একবার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে সেটা উদ্ধার করা খুব কঠিন, ভুল করার পরে ক্ষমা চাওয়ার ক্ষমতা সহযোগিতায় থাকে না, ভুল করার পরে ক্ষমা চাইতে পারা অনেক বড় গুণ, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit