ভিন্ন খাবারের স্বাদ।

in hive-120823 •  8 days ago 

শুভ রাত্রি

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে।‌ আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ভিন্নরকম একটি আর্টিকেল নিয়ে। টাইটেল দেখে অনেকে বুঝতে পারছেন না যে এই ভিন্ন খাবার কি হতে পারে? তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
1000005654.jpg

মাছ ,মাংস, ডিম রাজীকেও খাবার হলেও মাঝে মধ্যে ভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে ইচ্ছা জাগে। কার কার এমন ইচ্ছা হয় হাত তুলুন থাক অনেক সময় ধরে হাত উঠিয়েছেন রাখছেন এবার নিচে নামান । আজকে যে খাবারটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি সেটা অনেকেরই পরিচিত বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এটা ভক্তি করে খাই। অনেকটা আমার মত।

1000005642.jpg

যাইহোক অনেকদিন ধরে কচুর পাতার শাক খেতে মনে ইচ্ছা করছিল কিন্তু সময় করে উঠতে পারছিলাম না কচু শাক তুলে নিয়ে আসব মতো সময় বের করতে পারছিলাম না। ব্যস্ততার কারণে এই সময়টুকু বের করতে পারছিলাম না। আমি যেহেতু এক মাসের বাজার একবারে করে রাখি তাই কচুশাক খাবার তেমন কোন সিরিয়াল বের করতে পারছিলাম না।

1000005643.jpg

ফ্রিজে মাছ মাংস কিনা রয়েছি এগুলো নষ্ট হয়ে যাবে সেই চিন্তা করে অনেকটাই পিছিয়ে গেল কচু শাক খাওয়া। তবে আজকে এক টা পর্যন্ত ডিউটি ছিল ডিউটি থেকে এসে খাওয়া-দাওয়া করে লম্বা একটা ঘুম দিলাম ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে চিন্তা করলাম যে কচু শাক তুলতে যাই ফ্রিজে চিংড়ি মাছ রয়েছে সেটা দিয়েই ভালই মজবে।

কচু শাক তুলতে যাওয়ার আগে ফ্রিজ থেকে চিংড়ি মাছ গুলো পানিতে ভিজিয়ে দিলাম যাতে করে আসতে আসতে আইস গলে যাই। যাহোক আমার বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূর ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে দূরে যে পাহাড়টা দেখা যায় ঠিক ওইখান থেকে আমি কচুর শাক সংগ্রহ করবো।

1000005639.jpg

পাহাড়ের গায়ে আগে যে পরিমাণ কচু গাছে জন্ম তো এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে যেহেতু আমি একা মানুষ এক মুঠো শাক তুলতে পারলেই হয়ে যাবে। সুন্দর কচুগাছ দেখে জালি কচুর পাতাগুলো বেছে বেছে একটা একটা করে তুলছি। শাক তুলতে আমার ভালই লাগে তবে একটু লজ্জা করছিল।

1000005644.jpg

যখন আমি তুলছিলাম এগুলো তখন মালয়েশিয়ার মানুষ গুলো আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে ছিল মনে হচ্ছিল যে এগুলো খাওয়া যায় না । আসলে তারা জানে না এগুলোর মজা কত। তারা তাকাচ্ছে তাতে কি আমি লজ্জা না পেয়ে আমার মত আমি শাক তুলে প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখছি এরপর তোলা হয়ে গেলে সো যা বাসায় চলে আসছি।

1000005646.jpg

খেতে গেলে একটু কষ্ট করতে হবে মাগরিবের নামাজ পড়েই রান্না করতে শুরু করলাম। প্রথমে শাকগুলো ছোট ছোট করে কেটে পানিতে ধুয়ে একটা আস্ত পিয়াজ কেটে দুইটা শুকনো লঙ্কা দিয়ে সিদ্ধ করতে বসিয়ে দিলাম সিদ্ধ হয়ে গেলে ঘুটে ঘুটে ঘন্টো বানিয়ে নিয়েছি। এদিকে আমি চিংড়ি মাছগুলো ধুয়ে ভাজতে শুরু করছি । চিংড়ি মাছ ভাজা শেষ হয়ে গেলে । চিংড়ি মাছের তেলে অল্প পরিমাণ পিয়াস কুচি, রসুন কুচি, আরো দুইটা শুকনো লঙ্কা, অল্প কয়েকটা জিরা, দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিয়ে তারপর এবার ঘন্টো করা কচু শাক গুলো ওই তেলের উপর ছেড়ে দিয়েছি হয়ে গেল আমার কচু শাক রান্না করা।

1000005653.jpg

এবার মজা করি খাবার পালা ডিম ভাজি কচু শাক গরম ভাত এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ আহ কি স্বাদ অনেকদিন পর বেশ মজা করেই খেলাম কচু শাক। আপনাদের কি লোভ লাগছে তাকাবেন না কিন্তু আমার পেট খারাপ করবে।😁😁

1000005651.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

সত্যিই ভাই রেসিপিটি অস্থির । আপনার রেসিপির এই গল্পটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো। আমি যখন পড়ছিলাম আপনার গল্পটা তখন যে বললেন ওই পাহাড়ে যেয়ে আপনি কচু পাতা তুলবেন । এটা একটা অস্থির এডভেঞ্চার ছিল। আর একটা জিনিস পড়ে হাসি পেল, আপনে যে বললেন মালয়েশিয়ার লোকেরা আপনার দিকে দেব -দেব করে তাকিয়ে ছিল। যাইহোক ভাই অনেক সুন্দর কচুর পাতা দিয়ে রেসিপি তৈরি করলেন,তার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমারও এই কচুর পাতা অনেক পছন্দের খাবার। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন