আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। বাংলাদেশ যতই হেরে যাক না কেন খেলা দেখালেন নিশা আমাদের কোন প্রকার কমবে না । কেননা যারা এই খেলা দেখে তারাই বোঝে খেলা দেখার মর্ম কি।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
যাই হোক শুরু করছি খেলার রিভিউ তৃতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশের। টসে জিতে মেহেদী মিরাজ দেখ ব্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই শান্তর ইনজুরির কারণে মেহেদী মেরাজ দলের অধিনায়ক। যাইহোক আজকেও ব্যাট নিতে ভুল করে নাই গতদিনের মত আজও ব্যাট নিয়ে প্রথম জুনিয়র তামিম ও সৌম্য সরকার মাঠে নামেন। প্রথম তিন ওভারে দুইবার জীবন ফিরে পাই জুনিয়া তামিম তবে তৃতীয়বার আর রেহাই মিলল না। আট ওভারের মাথায় বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে দলীয় রান ৫৩।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
শান্ত ইনজুরিতে পড়ার কারণে শান্তর বদলে জাকির হোসেন খেলতে মাঠে নামছেন । তবে খুব ভালো খেলা দেখাতে পারে নাই । নয় ওভারের মাথায় সাত বলে চার রান করে তিনিও সাজ ধরে ফেরেন । একে একে ৪ উইকেটের পতন বাংলাদেশের রানের চাকা ঘোরানো মত তেমন কোন প্লেয়ার আমি দেখতে পারছি না। তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তিনি সব সময় দল বিপর্যয়ে পড়লে ভালো খেলেন।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
প্রথম থেকেই মাথা ঠান্ডা করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী মিরাজ খেলছিলেন আস্তে আস্তে ৫০ রানের জুটি করে ফেলেন একপর্যায়ে দুজনেরই হাত খুব ভালো সেট হয়ে যায়। তারপর দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করে তখন বাংলাদেশের খেলাটা একটু দেখার মত ছিল। ২৩ ওভারে ১০১ রান চার উইকেট।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
মেহেদী মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দুজনের পার্টনার শিপে ২১৭ রান পর্যন্ত উঠে তারপর মেহেদী হাসান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ শেষ পর্যন্তই মাঠে থাকেন ৪৯ ওভার ছয় বলের মাথায় রান আউট হলেও ৯৮ বলে ৯৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। শেষ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ কৃতিত্ব আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। তাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় টোল হলেও এখনো পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশকে যেভাবে সাপোর্ট দেন আমার মনে হয় তার মত প্লেয়ার বাংলাদেশের টিমে আরো দরকার। যাইহোক ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৩ রান আর এর মেসেজ যেতে হলে আফগানিস্তানকে ২৪৪ রান করতে হবে।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
খেলার দ্বিতীয় অধ্যায়
খেলার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হওয়ার পর কিছু সময় খেলা দেখি নাই কেননা এই সময়টাই আমি অন্য আরেকটি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। যাইহোক ৬ অভার শেষ হলে তারপর খেলা দেখা শুরু করছি। তখন আফগানিস্তানের চল্লিশ রান এক উইকেট ও পড়ি নাই তবে আমি খেলা দেখা শুরু করার পরেই এক উইকেটের পতন হয় তখন অনেক খুশি লাগছিল।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
আফগানিস্তান আজ কোনরকম ভুল করলেই ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে চলে আসবে তবে তারা যে সাবধানতার সাথে খেলছে ধন্যবাদ দিতেই হয় এক উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাড়াহুড়ো না করেই মাথা ঠান্ডা করে খেলার চেষ্টা করেছে । তবে ৭০ রানের ভিতর দুই উইকেট হারায়। তারপর ১৩ রানের মাথায় আরো একটি উইকেট পড়ে যাই।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
তখন টিভিতে বারবার দেখাচ্ছিল ঠিক এই সময় বাংলাদেশের ও ৮৪ রানের তিন উইকেট ছিল একই রকম রান একই রকম উইকেট তবে এর পর থেকেই আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়াই ১০০ রানের বড় একটি পার্টনারশিপ করেন রহমত উল্লাহ ও ওমর জয়।
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
খেলা দেখার সময় ফোন থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
তাদের এই দুজনের পার্টনার সিপের করনে রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৮৪। রহমত উল্লাহ ১২০ বলে ১০১ রান করে মাঠ ছাড়েন ওদিকে ওমর জয় ৭৭ রানে অপরাজিত। আফগানিস্তান খুব ভালোভাবেই ৫ উইকেটে জয়লাভ করলেন এবং নিজেদের ঘরের মাঠের সিরিজ ঘরেই রেখে দিলেন। অভিনন্দন আফগানিস্তানকে দুর্দান্ত একটি সিরিজ জয়লাভ করার জন্য।