বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
শুভ সন্ধ্যা,
প্রত্যেকটা বিদায় অনুষ্ঠান অনেকটাই কষ্টের হয় তবে যারা দীর্ঘদিন একসাথে পথ চলে তাদের বিদায় দিতে মনে চায় না । তবে আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানটা অনেকটাই ব্যতিক্রম । আমাদের কোম্পানিতে এখান থেকে নয় মাস আগে জয়েন দিয়েছিল অফিসে কাজ করার জন্য আর আজ সে বিদায় নেবে।
এই আপু টার দেশ মরক্কো মালয়েশিয়াতে আসছিল পড়াশোনার জন্য । পড়াশোনা শেষ হয়ে যাই এখান থেকে নয় মাস আগে তবে তার ভিসার মেয়াদ ছিল এগারো মাস সে সিদ্ধান্ত নিল যে যেহেতু আমার এখনো ভিসা রয়েছে আমি যে কোন জায়গায় কাজ খুঁজে কিছুটা কাজে দক্ষতা অর্জন করি। এতে করে আমার কিছু এক্সপেরিয়েন্স হবে তার পাশাপাশি কিছু পয়সা ইনকাম করতে পারব। পয়সাটা কোনো বিষয় না কাজের দক্ষতাই মুখ্য বিষয়।
পড়াশোনা শেষ করে জব খুঁজতে খুঁজতে আমাদের কোম্পানিতে মিলে যাই সে এখানে এসেছিল এক বছরের কন্টাকে বেতন কিছুটা কম হলেও এখানে কাজ করতে রাজি হয় কেননা নতুনদের জন্য আমাদের কোম্পানি বেস্ট এখানে নতুন মানুষ আসলে খুব ভালোভাবে কাজ শিখিয়ে দেয়া হয় ।বেতন অন্য জায়গার তুলনায় কিছুটা কম হলেও কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
এক বছর যেহেতু আমাদের সাথে পথ চলছে তার জন্য অনেকটাই খারাপ লাগছিল কেননা কিছুদিন আগেও সে আমাদের সাথে ফুটবল খেলছিল আপনারা আমার ফুটবল খেলার আর্টিকেল দেখলে দেখতে পাবেন খেলার ভিতরে ইয়াসমিনের হাতে ছিল ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ সিরিজের কাপ।
যাহোক আমাদের কোম্পানির বস এই ম্যাডাম ইয়াসমিনের হাতে সার্টিফিকেট উঠিয়ে দিয়ে তার জন্য কিছু মোটিভেশনাল বক্তব্য দিলেন এবং তার জন্য দোয়া করলেন যেন দেশে ফিরে ভালো কোম্পানিতে জব মিলে এছাড়াও ম্যাডাম আরো বললেন যদি তুমি পুনরায় আমাদের কোম্পানিতে এপ্লাই কর তাহলে তোমার জন্য আমাদের দরজা খোলা রইল।
আমাদের কোম্পানি থেকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে এটা তার জন্য অনেক মূল্যবান কেননা যে কোন জায়গায় এই সার্টিফিকেট দেখালে তার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে। জব পাওয়ার ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে থাকবে। প্রতিটা কর্মের সার্টিফিকেটের মূল্য অনেক সেটা বলে শেষ করার মত নয়।
ডিসেম্বরে ২০ তারিখে যেহেতু ক্রিসমাস উৎসবের অনুষ্ঠান হবে তাই আজকের বড় করে আয়োজন করি নাই ছোটখাটো আয়োজন করেই বিদায় দিল। কেক কেটে হালকা হালকা খাওয়া-দাওয়া করেই বিদায় অনুষ্ঠান শেষ হলো।
ইয়াসমিন খুব বেশি মন খারাপ করি নাই তার মুখে সবসময় হাসি ছিল। তবে আমার মনে হয় ভেতর থেকে কষ্ট পেয়েছে ।কেননা তার মুখে হাসিটা যেন সে জোর করেই বের করছিল। আর একজন কর্মের সহযোদ্ধা বিদায় নিল যদিও অল্প কিছুদিন তার সাথে আমাদের পথ চলা তার জন্য আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক খারাপ লাগছিল।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু কথা আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।