অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
শুভ সকাল
একটি গ্রামে একজন কাঠমিস্ত্রি বসবাস করতেন তার নাম রবিন। রবিন অল্প বয়সে বিয়ে করে এবং তার একটি ছেলে সন্তান হয় । ছেলের বয়স যখন ১০ বছর তখন ছেলেটির মা মারা যায়। রবিনের মা অনেকটাই বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে সংসারের কাজ খুব বেশি করতে পারে না। তাই রবিনকে প্রতিদিন বলে যে বিয়ে করতে । কিন্তু রবিন কোনমতেই বিয়ে করতে রাজি হয় না।
কেননা রবিন চিন্তা করে যে যদি অন্য কোন মেয়ে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি তাহলে আমার সন্তানকে ভালো চোখে দেখবে না। এই কথা ভেবে রবিন কোনমতেই রাজি হয় না। একদিন রবিনের মা একেবারেই উঠতে পারছে না কান্না করার মত মানুষ নাই বাড়িতে তখন রবিনের মা বলল যে আমার এক ফুফাতো বোনের মেয়ে আছে সে খুবই ভালো। তাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আয় সে তোর ছেলেকে ভালো চোখে দেখবে। মায়ের উপর বিশ্বাস রেখে।
মায়ের কথা মতোই রবিন বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে । রবিনের বউ খুবই ভালো রবিনের ছেলেকে তার নিজের ছেলের মত করে মানুষ করছে এভাবেই পাঁচ বছর সংসার করার পর রবিনের আরো একটি মেয়ের সন্তান হয় তারপর থেকেই রবিনের স্ত্রী তার ছেলেকে খুব একটা দেখতে পারে না।
রবিনের ছেলে আবার রবিনের সাথে কাট মিস্ত্রি কাজ করে প্রায় সময়। যখনই একটু বিশ্রাম নেয় তখনই তার মা তার নিজের কাজ করতে বলে যেমন তালা প্লেট ধুতে বলে কুয়া থেকে পানি নিয়ে আসতে বলে আরো বিভিন্ন রকম কাজ করতে বলে। কিন্তু এর আগে নয়ন কোনদিন এই কাজ করি নাই। হঠাৎ তার মায়ের পরিবর্তন আর এভাবেই বেশ কিছুদিন যাই রবিনের ছেলে নয়ন বুঝতে পারল যে তার উপর থেকে আস্তে আস্তে তার মায়ের মায়া উঠে যাচ্ছে ।এভাবে আরো কিছুদিন পার হয়ে যাই এক পর্যায়ে রবিনের বউ নয়ন কে খুব ভালো খেতে দিও না। খাবার খেতে চাইলে তার মা উল্টা আরো বকা দেয়।
এই কথাগুলো তার বাবার কাছে গিয়ে বলে নয়ন।। কিন্তু নয়নের বাবা নয়নের কোন কথা না শোনে উল্টো আরো নয়নকে ধমক দিল। নয়ন রাগ করে বাড়ি ছেড়ে অনেক দূর চলে যাই। নয়নের বাবা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নয়ন কে আর খুঁজে পেলো না । নয়নের বাবা প্রতিদিন নয়নের জন্য কান্না করে কেননা রবিনের প্রথম সন্তান তার মা ও এই পৃথিবীতে আর বেঁচে নাই। তার মা বেঁচে থাকলে হয়তো বা তার ছেলেকে হারাতে হতো না।
সৎ মায়ের যন্ত্রণায় অনেক ছেলেমেয়েরাই অসৎ পথ বেছে নেয় তবে এর ও ব্যতিক্রম রয়েছে কিছু কিছু সৎ মা আবার সৎ ছেলেদেরকে তার নিজের ছেলের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। তবে এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। স্বার্থপর এই দুনিয়ায় কেউ অন্যের ভালো চায়না। অন্যের সন্তানকে সব সময় ভিন্ন চোখে দেখে।
তো বন্ধুরা দ্বিতীয় পর্বে সফলতার এই গল্প শেষ করব ইনশাল্লাহ আজকের মত আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই । করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।