হ্যালো বন্ধুগণ, আজকে আমি আপনাদের জন্য আরও একটি নতুন ডায়েরি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আশা করি আজকের এই ব্লগ আপনারা অনেক বেশি উপভোগ করবেন। আজকের ব্লগটি মূলত আমার ইন্টার্নি কর্মক্ষেত্র কে নিয়ে। তবে চলুন শুরু করা যাক আজকের এই ব্লগ। আমি প্রতিদিনের ন্যায় খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি, এবং শরীর চর্চা করে থাকে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য। কারণ শরীরকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে সুন্দরতম উপায় হলো শরীরচর্চা। তাই আমি চেষ্টা করে ঘুম থেকে উঠে চোখমুখে পানি দেওয়ার পর কিছুটা সময় শারীরিক ব্যায়াম করতে। এরপর প্রতিদিনের ন্যায় আমি নিজেকে প্রস্তুত করি সকালের নাস্তা করার জন্য। সকালের নাস্তা শেষে আমি বের হয়ে পড়ি আমার ইন্টার্নশিপ এর জন্য। যেহেতু আমাকে প্রত্যেকদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে উপস্থিত হতে হয় তাই আমাকে অবশ্যই সেই সময় মেনটেন করে সেখানে যেতে হয়। আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিএসসি কমপ্লিট করতে যাচ্ছি। আমি বর্তমানে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ বর্ষের একজন ছাত্র। এবং আমাদের এই কারিকুলাম অনুযায়ী আমাদেরকে শেষ বর্ষে দুই মাস ইন্টার্নশিপ করতে হয়। এর ধারাবাহিকতায় আমি ইন্টার্নশিপ করছি গত একমাস যাবত। আগামী আরেক মাস ইন্টারনি বাকি রয়েছে। আমি বর্তমানে ইন্টার্নশিপের জন্য নিযুক্ত রয়েছে পাকিজা গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরিতে এবং এই ফ্যাক্টরির নাম হচ্ছে মমটেক্স এক্সপো লিমিটেড। এখানে সকল ধরনের টেক্সটাইলের প্রসেস রয়েছে মোটামুটি। আমি আমার আজকের এক্টিভিটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলেছি, আশা করি সকলেই উপভোগ করবেন খুব আনন্দের সাথে। আমার লেখার নিচে যে পিকচারটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো মমটেক্স এক্সপো লিমিটেডের একটি মেইন ভবন। এখানে রয়েছে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এবং এইচআর ডিপার্টমেন্ট। বাহিরের দেশ থেকে যখন কোন বায়ার আসে সর্বপ্রথম এই বিল্ডিং এ প্রবেশ করেন এবং এখান থেকে যত ধরনের মার্কেটিং বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে থাকেন। সমস্ত কথাবার্তা সম্পন্ন হলে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয়।

যেহেতু আমি ইন্টার্নশীপে রয়েছি তাই আমাকে সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হয় এবং কোথায় কোন ধরনের কাজ হচ্ছে এবং কিভাবে কাজ হচ্ছে তা আমাকে সম্পূর্ণরূপে নোট ডাউন করতে হয়। ইন্টার্নশিপের জন্য আমাকে একটি আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে এই আইডি কার্ড আমার কাছে থাকলে আমি সমস্ত জায়গায় প্রবেশের অনুমতি পায়। এই আইডি কার্ডের জন্য আমি খুব সহজেই যে কোন জায়গায় প্রবেশ করতে পারে এবং সেখান থেকে আমার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারি। এবং প্রত্যেক কর্মচারী কর্মকর্তাগণ আমাকে সব তথ্য এবং সব ধরনের প্রসেস দেখিয়ে সহায়তা করে থাকেন। আজকে আমি মূলত কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্টে যাব এবং সেখানে থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করবো এবং কিভাবে এই তথ্যগুলো বের করতে হয় এবং কোয়ালিটি চেক করতে হয় তা শিখব। এই প্রতিষ্ঠানে আমরা তিন বন্ধু মিলে ইন্টার্ন করছি। এই প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ট বড় তাই আমরা আস্তে আস্তে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের কাঙ্খিত জায়গা যেখানে আমরা আজকে কোয়ালিটি সম্পর্কে জানতে পারবো। আপনাদের আমি আরেকটি ইনফরমেশন যুক্ত করি সেটি হল এখানে আমাকে প্রত্যেকদিন সকাল নয়টার সময় প্রবেশ করতে হয় এবং দুপুর একটা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত আমাকে লাঞ্চ ব্রেক দেয়। এরপর আবার দুপুর দুইটা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আমাকে সময় দিতে হবে এই ফ্যাক্টরিতে। অর্থাৎ আমাদের ফাঁকি দেওয়ার কোন জায়গা নেই এখানে আর আমরা যদি ফাঁকি দেই তবে আমরা নিজেরাই সেই ফাঁকিতে পড়ে যাব। এজন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি এখান থেকে কিছু শিক্ষা অর্জন করার। এবং আমার ব্লগের মাধ্যমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি টেক্সটাইল সম্পর্কিত বিষয় যেহেতু আমি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে চলেছি। কুয়ালিটি ডিপার্টমেন্টে যাওয়ার পথে আমি একটি স্থিরচিত্র নিলাম যেটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। এই ফ্যাক্টরিতে সবচেয়ে ভালো লাগে এখানে সব সময় প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে অর্থাৎ প্রকৃতি যাতে ধ্বংস না হয় সেদিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। এবং এই ফ্যাক্টরির ভিতরে অনেক বেশি ফল এবং ফুলের কাজ রয়েছে যেগুলো এই ফ্যাক্টরি সৌন্দর্যকে হাজার গুনে বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও প্রত্যেকের সুস্থতার জন্য তারা মার্কস এবং অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করতে বলে থাকেন। এবং এই ফ্যাক্টরির ভিতরে একটি হেলথ কেয়ার এর ব্যবস্থা রয়েছে অর্থাৎ কোন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

আমি এই নিচের পিকচারের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখাতে চাচ্ছি মনটেক্স এক্সপ্লোর লিমিটেডের কোথায় কোন বিল্ডিং রয়েছে এবং কি কি বিল্ডিং রয়েছে এবং কি কি প্রসেস রয়েছে। দেখুন এই বিলবোর্ডের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে লেখা রয়েছে। যেন নতুন কোন একজন বায়ার বা নতুন কোন ব্যক্তি আসলে খুব সহজেই এই বিলবোর্ডের মাধ্যমে বুঝতে পারে এবং খুব সহজে সেখানে যেতে পারবে। মনটেক্স এক্সপো লিমিটেডের গেট থেকে ২০০ মিটার ভিতরে ঢুকলে আপনারা এই বিলবোর্ডটি দেখতে পাবেন । অর্থাৎ আপনারা এই বিলবোর্ড ভালো করে পড়লে বুঝতে পারবেন এখানে কোন কোন ধরনের প্রসেস বর্তমানে চলমান রয়েছে। চলুন আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয় আজকে আমাদের যেখানে ডিউটি রয়েছে।

নিচের যে পিকচারটি দেখতে পাচ্ছেন এই রুমটি হল কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্টের। আজকে আমরা এই ডিপার্টমেন্ট থেকে অনেক ধরনের কাজ শিখব। আপনারা যারা টেক্সটাইল সম্পর্কে জানেন তাদের বুঝতে সুবিধা হবে। আজকে আমরা এই ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি ফেব্রিকের সুতার কাউন্ট বের করা শিখব, ফেব্রিকের ইপিআই এবং পিপিআই বের করার শিখব। একটি ফেব্রিকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুতার কাউন্ট এবং ইপিআই এবং পিপিআই। আপনারা ইপিআই এবং পিপিআই সম্পর্কে অনেকেই অবগত না। তাই আমি চেষ্টা করছি ইপিআই এবং পিপিআই এর ফুল মিনিং আপনাদেরকে জানানোর জন্য। ইপিআই অর্থ Ends per inch এবং পিপিআই হল Pick per inch অর্থাৎ কাপড়ের মধ্যে টানা সুতার সংখ্যা এবং পড়েন সুতার সংখ্যা প্রতি ইঞ্চিতে। এগুলো বের করার জন্য বিশেষ করে কাউন্টিং গ্লাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং কাউন্ট বের করার ক্ষেত্রে সুতার সংখ্যা সুতার ওজন এবং একটি নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা কাউন্ট বের করে থাকি। আজকে কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট আমাদেরকে এই বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন। এগুলো বের করার আগে আমাদের এই কাপড় গুলো সংগ্রহ করতে হয়েছে। আমরা যে কাপড়গুলো সংগ্রহ করেছি সেগুলো হল সব গ্রে ফেব্রিক। অর্থাৎ সরাসরি লুম থেকে আমরা যে ফেব্রিক পেয়ে থাকি সেই ফেব্রিকের একাউন্ট এবং ইপিআই পিপিআই বের করলাম।

আমাদের হাতে ধরে শেখানোর জন্য কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে একজনকে নিযুক্ত করে দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন শেডে নিয়ে গিয়ে হাতে কলমে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আমাদেরকে যখন খুব সুন্দর ভাবে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন ঠিক তখন আমি একটি স্থিরচিত্র নিলাম যা ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আজকে আমি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং যদি বলি অনেক শিক্ষা আজকে আমি অর্জন করেছি যা আমার অনেক জানার কমতি ছিল। আমি শুধু শিক্ষা অর্জন করেছি বিষয়টি এমন নয় এবং সেই সাথে আমি আমার নোটপ্যাডে সমস্ত কিছু নোট করে রেখেছি যা পরবর্তীতে আমাকে সাহায্য করবে। আপনারা যে ফেব্রিকের স্তর দেখতে পাচ্ছেন এই ফেব্রিক গুলো মূলত একটি বিদেশী বায়ারের অর্থাৎ এক্সপোর্ট এর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকে সামান্য পরিমাণ স্যাম্পল আমাদের জন্য নিয়েছে শুধুমাত্র আমাদের শেখানোর জন্য। তবে তিনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদেরকে বুঝিয়েছেন এত সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন যে আমরা খুব সহজে এটাকে মাথায় নিতে পেরেছি। এই কাজগুলো করতে করতে আমাদের দুপুরের লাঞ্চের সময় হয়ে গেল। তাই আমরা লাঞ্চের জন্য বের হয়ে পড়লাম।

লাঞ্চ শেষ করে আমরা দুপুর ২ টার সময় আবারও আসলাম কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্টে। এবং আমাদের হাতে যেহেতু সময় খুবই কম রয়েছে তাই আজকে আমাদের তিনি আরো কয়েকটি বিষয় হোক সুন্দরভাবে শিখাবেন বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমাদেরকে তিনি শিখাবেন রাবিং টেস্ট, টেন্সাইল স্ট্রেন্থ, টিয়ার টেস্ট, এবং সুতার মধ্যে কি পরিমান ব্লেন্ড করা আছে অর্থাৎ কত পারসেন্ট কটন এবং কত পার্সেন্ট সিন্থেটিক অর্থাৎ পলিস্টার বা অন্য কোন সুতা রয়েছে তা বের করা শেখাবেন আমাদের কে। এছাড়াও কিভাবে কাপড়ের জিএসএম বের করতে হয় এবং কিভাবে জিএসএম কাটিং মেশিন দিয়ে কাপড় কাটতে হয় তা আমাদেরকে হাতে ধরে শেখাবেন। এছাড়াও রয়েছে এব্রেশন টেস্ট এমন অনেক ধরনের টেস্ট করা হয় এই কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্টে। তবে একদিনে এত শেখা আমাদের জন্য সম্ভব নয় তাই আমরা আস্তে ধীরে সবগুলো সম্পন্ন করব। তবে আজকে আমরা শিখব টেন্সাইল স্ট্রেন্থ এবং পিলিং টেস্ট।

আমরা কেন কাপড়ের টেনশাইল স্টেন্থ বের করি, আমরা কাপড়ের এই পরীক্ষা করি শুধুমাত্র কাপড়ের ছিড়ে যাবার আগে কতটুকু শক্তি লাগে তা পরীক্ষা করার জন্য। এটা ডিপেন্ড করে বায়ারের রিকোয়ারমেন্টের উপরে। অর্থাৎ বায়ার যে ডিপার্টমেন্ট দিয়ে থাকে সেই রিকোয়ারমেন্ট ফুল ফিল হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আমরা এই টেস্ট করে থাকি। এই টেস্টের রেজাল্ট কোন সময় নিউটনের আসে আবার কোন সময় কোন বায়ার যখন চাই সে কেজিতে বের করে। এজন্য আমি আগেই বলেছি এটি ডিপেন্ড করে সম্পূর্ণ বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট এর উপরে ভিত্তি করে। সেম বাকি টেস্ট গুলো বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট এর উপরেই করা হয়ে থাকে। আমরা যে পিলিং টেস্ট করে থাকি সেই ফিলিং টেস্টের মাধ্যমে আমরা কাপড়ের উপরে যে গুটিগুটি ভাব তৈরি হয় সেগুলো টেস্ট করে আসলে কি পরিমান ঘর্ষণের ফলে এই গুটিগুলো তৈরি হয়। এই পিলিং টেস্টের মাধ্যমে আমরা এগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারি। আপনারা আমার এই লেখার নিচে যে পিকচারটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হল একটি পিলিং টেস্ট মেশিন। যার মাধ্যমে আমরা কাপড়ের পিলিং টেস্ট সম্পন্ন করে থাকি। এছাড়াও আমরা সুতার মধ্যে কতটুকু ব্লেন্ড ফেবরিক রয়েছে তা বের করে থাকি বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে। যদি আমরা সালফিউরিক অ্যাসিডের মধ্যে কাপড়ের টুকরা প্রবেশ করিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দেই তাহলে বুঝতে পারবো আসলে কতটুকু কটন রয়েছে এবং কত পারসেন্ট সিন্থেটিক বা পলেস্টার রয়েছে। যদি হান্ডেট পার্সেন্ট কটন ফেব্রিক হয় তাহলে সম্পূর্ণ গলে যাবে গলে ছাই হয়ে যাওয়ার মত হয়ে যাবে অর্থাৎ কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আর যদি কিছু সুতা অবশিষ্ট থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেগুলো হলো সিনথেটিক। এভাবে আমরা ব্লেন্ড ফেব্রিক চেক করে থাকি।

আজকে আমরা ইন্টার্নশিপ থেকে এই এই বিষয়গুলো জানতে পেরেছি এবং এই সমস্ত বিষয়গুলো সবগুলোই আমরা নোটে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। আজকে আমি ইন্টার্নশিপে যা কিছু শিখেছি তাই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি খুবই সুন্দরভাবে আশা করি আপনারা খুব উপভোগ করেছেন আমার এই ব্লগ। আপনারা যারা আমাকে ভালোবেসে আমারে ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়েছেন তাদেরকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমার আজকের ব্লগ এখানে সমাপ্ত করছে। আমার পরবর্তী ব্লগের জন্য আপনাদেরকে অগ্রিম স্বাগত জানাচ্ছি।

FACEBOOK