বড় আপুর বাসা যাওয়ার কিছু মুহূর্ত

in hive-120823 •  yesterday 

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।

1000009194.jpg

★ আপুদের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বিকালে ছবিটি তুলেছিলাম ★

1000009196.jpg

★আপুর জন্য পার্সেল★

আজ সকাল বেলায় সাড়ে আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠার পর, ছোট বোন এসে বলল, বড় আপুর বাসায় যাওয়া লাগবে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন, সে বলল, বড় আপুর একটা পার্সেল আমাদের বাসায় ভুলে চলে আসছে, এই পার্সেলটা আমি গাজীপুরে গিয়ে দিয়ে আসবো।এরপর, ছোট বোনের কথামতো সকাল দশটার দিকে বাসা থেকে বের হলাম পার্সেল নিয়ে।

1000009035.jpg

★আপুদের বাসায় যাওয়ার সময়, বাসে বসে ফ্লাইওভার থেকে ছবিটি তোলা ★

রাস্তায় তেমন জ্যাম ছিল না, তাই এক দেড় ঘণ্টার মধ্যে গাজীপুরের তার গাছে, এলাকায় চলে এলাম। গাজীপুর তার গাছের নামটি রাখার কারণ। এখানে বিদ্যুতের বড়-বড় খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে, অনেক বছর আগে থেকেই! চারপাশটা শুধু তারের সমাগমে পরিপূর্ণ, এই কারণেই এই এলাকাটি গাজীপুর তার গাছ নামে পরিচিত। যখন আপু এখানে বাসা তৈরি করেছিল, আশেপাশে গ্রাম্য পরিবেশ ছিল। কিন্তু এখন সময়ের সাথে-সাথে পরিবেশ পুরোপুরি বদলে গেছে। গাজীপুরে বেশিরভাগই কলকারখানা বড়-বড় ফ্যাক্টরি দিয়ে চারিপাশে ঘেরা।

1000009199.jpg

★এই পুকুরটি আগে ভালো ছিল আশেপাশের মানুষ সবাই গোসল করতো★

আপুদের বাসায় যাওয়ার পথে, এই নৌকাটি দেখে অতীতের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। এক সময় এইখানে বিশাল একটা পুকুরটি ছিল, ছোটবেলায় আমি মাঝে-মাঝে আসলে এইখানে গোসল করতাম। আজ যখন পুকুরটা দেখলাম, অনেক কিছুই মনে পড়ে গেল। কিছুক্ষণ হাঁটার পর, আমি আপুদের বাসায় পৌঁছালাম। বড় আপু আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেলেন, কারণ আমি হঠাৎ করে তার বাসায় চলে এসেছি।

ছোটবেলায়, আমি অনেকই আপুকে বিরক্ত করতাম। যখন আপু স্কুলে যেত, আমি আপুর জন্য অপেক্ষা করতাম সে কখন স্কুল থেকে ফিরে আসবে। এমনকি, আমি আপুকে ফলো করতাম। যদি আপু পড়াশোনা না করত, ঐদিন আমি পড়ার টেবিলে বসতাম না। এমনই অনেক অদ্ভুত কাজ করতাম, যার জন্য কখনও-কখনও আপু আমাকে মারতো।

1000009197.jpg

★ বড় বোন আর আমি ★

আমাদের ভাইবোনের মধ্যে একটা ছোট ঘটনা মনে পড়েগেল, আপু যখন আমাকে মারতো আমি অভিনয় করে অনেক বেশি কান্নাকাটি করতাম।এরপর, আমি আম্মার কাছে বিচার চাইতাম। আপু কেন আমাকে মেরেছে, আম্মা যখন আপুকে মারতো, তখন আমি অনেক খুশি হইতাম। এমনকি, আমি কখনও-কখনও ঘড়ির দিকে তাকিয়ে, ঠিক সময় করে কান্নাকাটি করতে শুরু করতাম। তারপর যদি ভুলে যেতাম, আবার যখন আপুকে দেখতাম, আবার নতুন করে কান্নাকাটি শুরু করতাম।

1000009193.jpg

আজ যে পার্সেলটি আমি নিয়ে যাচ্ছিলাম, আমি নিজেও অবগত ছিলাম না। এই পার্সেলটিতে কি রয়েছে। আপুদের বাসায় এসে যখন আমি পার্সেলটি খুললাম, তখন দেখলাম যে সেখানে দুইটি চকলেট রয়েছে। আপু অবশ্যই অনলাইনে সেগুলি অর্ডার করেছিলেন। এটা দেখে একটু হাসলাম, কারণ ছোট বেলার সেই মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল, যখন কোনো কিছুর জন্য কান্নাকাটি করতাম আর এখন সবকিছু কত সহজে হাসির মাধ্যমে মিটে যায়।

এভাবেই, সময়ের সাথে স্মৃতিগুলি ফিরে আসে, এবং জীবন সুন্দরভাবে এগিয়ে চলে। আজকে আমার জীবনের এই ছোট্ট একটা গল্প দিয়ে পোস্টটি শেষ করলাম। আশা করি পরবর্তী ভিন্ন কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

১০ই / ফেব্রুয়ারি / ২০২৫

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ভাই বোনের সম্পর্ক সব সময়ই দুষ্টু মিষ্টি হয়ে থাকে। আপনার মতো আমিও আমার বড় বোনের সাথে ছোটবেলা অনেক মারামারি করছি। যদিও আওু আমার থেকে অনেকটায় বড় ছিল। তারপর আমি আপুকে খুব জালাতাম। আপনাদের গল্পটা জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ পোষ্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...

আপনার পোস্টটি সত্যি মনোমুগ্ধকর ভাইয়া। ছোটবেলার স্মৃতি গুলো এবং বড় আপুর সাথে আপনার সম্পর্কের যে প্রতিফলন, দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। গাজীপুরের তারগাছ এলাকা এবং পুকুরের কথা মনে করে নিশ্চয়ই অনেক স্মৃতি জেগে উঠেছে। এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো জীবনের সুন্দর অধ্যায় এবং সময়ের সাথে সাথে স্মৃতিগুলো মিষ্টি হয়ে ওঠে। পার্সেন্ট ঠিক হলে চকলেট পাওয়া এবং সেই ছোটবেলার কান্নাকাটি করা অভ্যাসের কথা মনে করে হাসি আসা একদম স্বাভাবিক।পোস্টটি পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। আশা করছি আপনার পরবর্তী পোস্টেও এমন মধুর গল্প করবো ।

এত সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু