( মায়াবতী ) প্রথম পর্ব

in hive-120823 •  5 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


মন চায় হারিয়ে যেতে কোন এক মায়াবী রাতে!
কিছু কথা বলতেও মন চায়, আবার কিছু চায় অভিমানে। স্বপ্নগুলো কেন এমন হয়, যা হঠাৎ ভেঙ্গে যায় ঘুমের মতন করে। মন চায় হারিয়ে যেতে কোন এক মায়াবী রাতে।

  • এই গল্পটা হয়তোবা ছন্দ মিলিয়ে কবিতার মাধ্যমে প্রথমে শুরু করলাম!

1000007019.jpg
Source

এমন একটা রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি। শুরু করতে যাচ্ছি, মায়াবতী নামে একটি বালিকা ছিল।

মায়াবতী ক্লাস নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে, পড়াশোনায় মায়াবতী অনেক ভালো একজন ছাত্রী! ক্লাসে ফার্স্ট গার্ল হিসেবে পরিচিত, মায়াবতীকে সবাই পছন্দ করে কেননা তার যেমন আছে মেধা! তেমন আছে চেহারা সুরত। আমি একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি! মায়াবতী যে স্কুলে পড়াশোনা করে, ওই স্কুল হচ্ছে গার্লস হাই স্কুল। এই স্কুলে শুধু মেয়েরাই পড়াশোনা করে।

মায়াবতী শুধু পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো, কেননা মায়াবতীর বাবা ছিল একজন সরকারি অফিসার! সে তার মেয়েকে সবসময় চাইতো, তার মেয়ে যেনো, সবসময়ই ক্লাসের ফার্স্ট গার্লস হিসাবে থাকে, এবং পড়াশোনার বাহিরেও যে আলাদা একটা পৃথিবী আছে! এই পৃথিবী থেকে মায়াবতী সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন থাকতো সব সময়।

1000007020.jpg
Source

কেননা মায়াবতীর বাবা অফিসে যাওয়ার আগে মায়াবতীকে স্কুলে দিয়ে যেত, এবং ছুটির সময় ওর আম্মু! স্কুল থেকে বাসায় নিয়ে আসতো। এবং সারাদিন শুধু পড়াশোনা আর ড্রয়িং করতো, মায়াবতী পড়াশোনা ছাড়াও আরেকটি বিষয় খুব পারদর্শী ছিল, তার যখন মন খারাপ হয় ! তখনই সে ড্রয়িং করার জন্য বসে পড়তো, এবং সে অনেক ভালো আর্ট করতেও পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় মায়াবতীর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই মায়াবতীকে কাজ করতে হতো,

1000007021.jpg
Source

যেমন ধরেন বান্ধবীদের সাথে বাহিরে ঘুরতে যাওয়া! স্কুল ছুটি হবার পর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে আড্ডা মারা। এই সকল কাজ করলে তার পরিবারের নিয়ম মেনে মায়াবতীকে করতে হতো! এক কথা বলা যায়, মায়াবতী একটি ডিসিপ্লিন এর মধ্যে সব সময় কাজ করতে হতো। কিন্তু মায়াবতী সবসময়ই চায়, নিজের মনের মতন করে সাজানো একটা আলাদা পৃথিবী!


একদিন মায়াবতীর ইচ্ছা জাগলো সে তার বান্ধবীদের বাসায় বেড়াতে যাবে! কেননা স্কুলে রুমা নামে মায়াবতীর এক বান্ধবী ছিল, সে তার বাসায় দাওয়াত দিয়েছিল মায়াবতীকে। এই জন্যই সকালবেলা থেকে মায়াবতী তাঁর আম্মাকে বলছে, আমি রুমাদের বাসায় যাব! মেয়ের এই ভাবে বলাতে! মায়াবতীর আম্মা রাজি হয়ে গেল, এবং বলল ঠিক আছে তোকে নিয়ে আজকে রুমার বাসায় যাব।

1000007022.jpg
Source

পরে মায়াবতীর আম্মু মায়াবতীকে নিয়ে রুমাদের বাসায় গেল। মায়াবতীকে দেখে এবং মায়াবতীর আম্মুকে দেখে রুমার পরিবারও অনেক খুশি হলো! এবং সারাটা বিকাল মায়াবতী আর রুমা অনেক মজা ও আনন্দ করল! মায়াবতীর আম্মু রুমার পরিবারকেও তাদের বাসায় দাওয়াত দিল! এইভাবে মায়াবতীর আর রুমার পরিবারের মধ্যে একটা বিশ্বস্ত সম্পর্ক তৈরি হলো! এখন মাঝে-মাঝে রুমা সরাসরি স্কুল থেকে মায়াবতীর বাসায় চলে আসে এবং সারাদিন মায়াবতীর সাথেই থাকে!মায়াবতীর পিতা-মাতা এখন, রুমাকে তাদের মেয়ে মতনই ভাবতে শুরু করল।


এখন মাঝে- মাঝে মায়াবতী, রুমদের বাসার কথা বলে! বাসার থেকে বের হয় রুমাকে নিয়ে ঘোরার জন্য, মা-বাবার অগোচরে এখন মায়াবতীর একটু-একটু করে বাইরের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে শুরু করলো! এই রোমাঞ্চকর পৃথিবীতে মায়াবতী যা দেখে তা সবই লাগে ভালো। আজ এই পর্যন্তই আজকের পর্বটি শেষ করলাম। আশা করি, দ্বিতীয় পর্বটি অনেক রোমাঞ্চকর হবে!


কিছু কথা

আমার যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



১৩ / জানুয়ারি / ২০২৫

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Loading...