Better Life With Steem || The Diary game || 30- December- 2024

in hive-120823 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


1000006125.jpg

আজকে সকাল ৯ টা দিকে ঘুম থেকে উঠলাম।
উঠার পর ফ্রেশ হইলাম, ফ্রেশ হবার পর নাস্তা করলাম। আজকেও আমার বাসা নুডুলস রান্না করছে, এমনিতেই আমি নুডুলস পছন্দ করি না। আমি হচ্ছি আবার ভাতের পাগল, যাইহোক সকালবেলা নাস্তা শেষ করে। কয়েকদিন ধরে সরকার থেকে ফোনে এসএমএস দিচ্ছে, সারা বাংলাদেশে ভোটার আইডি কার্ড এর লিস্ট করার জন্য।

1000006124.jpg

তাই আর দেরি না করে, ছোট বোনকে নিয়ে আর ভাগ্নিটাকে নিয়ে চলে গেলাম। সিটি কর্পোরেশন অফিসে, সরকারি কাজ বলে কথা । এই কাগজের সমস্যা, ওই কাগজের সমস্যা, কত সমস্যা, প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষা করলাম। অপেক্ষা করার পর সিটি কর্পোরেশন অফিস থেকে আমাদেরকে বলল, কমিশনার অফিসে থেকে নাগরিক সনদপত্র একটা সার্টিফিকেট আনার জন্য।


1000006126.jpg
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অফিস।

1000006133.jpg
জ্যামে বাসে বসে থাকা

তখন বেলা হয়ে গেল দুপুর ২ টা, তখন আমরা ভাই বোন মিলে উত্তরা থেকে রওনা দিলাম কমিশনার অফিসে জন্য । আমরা দুপুর বেলা খাবার খাই নাই, কেননা আমাদের হাতে সময় কম, আর ঢাকা শহরের জ্যাম এইটা আবার বলতে হয়। এটাতো ঢাকা শহরের মানুষের জন্য সাধারণ একটা বিষয়। তারপরও অনেক দেরি হয়ে গেছে, কেননা কমিশনার কার্যালয়ে অফিসাররা তো আমাদের জন্য বসে থাকবে না। জ্যামের মধ্যে ছিলাম প্রায় এক ঘন্টা অবশেষে আমরা কমিশনার অফিসে পৌছালাম।


যে দেখলাম এখানে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছে কেননা ১,২ তারিখের মধ্যেই ভোটার লিস্ট এর কাগজপত্র, নাগরিক জাতীয় পরিচয় অফিসে কাগজগুলো জমা দিতে হবে।

1000006146.jpg
ওয়েটিং

এই কারণে সবাই, একই সাথে ভোটার লিস্ট এর কাগজ কমিশনার অফিসে জমা দিচ্ছে । তাই ওদের হাতে সময় খুবই কম, আমার ছোট বোনকে বললাম, আমি লাইনে দাঁড়াই , তুই বাহির থেকে কিছু খেয়ে আয়। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম সন্ধ্যা ছয়টা, আমার বোন বলছে, না তুই বাহির থেকে কিছু খেয়ে আয়, আমি লাইনে দাঁড়াই। পরে আমি বাইরে গেলাম বাইরে যেয়ে একটা কোল্ড ড্রিংক কিনলাম আর একটা কেক কিনলাম ছোট বোনের জন্য একটা চিপস কিনলাম।


যখন আমাদের সিরিয়ালের লিস্ট আসলো কাগজ জমা দেওয়ার, তখন শুনি ওয়ারেন্ট অফিসার এখন পর্যন্ত বিকাল বেলার নাস্তা করে নাই। তাই সে বাহিরে যাবে একটু নাস্তা করবে, নামাজ পড়ে তারপর কাগজ জমা নিবে। কি আর করব নামাজ পড়বে ! যাক তাহলে, এই ভেবে আমি আর আমার ছোট বোন আরো এক ঘন্টা তার জন্য অপেক্ষা করলাম। পরে ওয়ারেন্ট অফিসার আসলো, আমারে আর আমার ছোট বোন রে ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা করল।


আমাদের কাগজপত্র গুলো সে যাচাই করল। এখন সে বলছে আজকে কাগজ দেওয়া সম্ভব না। আপনারা বৃহস্পতিবার দিন আসবেন,এসে কাগজ নিয়ে যাবেন। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম বৃহস্পতিবারে কেন, আজকে দেওয়া যাবে কেনো। ওয়ারেন্ট অফিসার আমাদেরকে বলল, আপনার ছোট বোনের ,এই কাগজ গুলো ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠাবে। আবার সিটি কর্পোরেশন অফিসে থেকে ফাইল আমাদের হাতে আসবে ।

1000006139.jpg

পরে আমরা এই ফাইল আপনাদের হাতে দেব, তারপর আপনারা ভাই-বোন মিলে। জাতীয় নাগরিক কার্যালয় যাবেন। ওইখানে গিয়ে আপনার ছোট বোন ছবি উঠাবে আর হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিবে তাহলেই কাজ শেষ।

পরে যখন ভোটার কার্ড হয়ে আসবে, তখন আপনাদেরকে মেইলের মাধ্যমে বা এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা ভাই বোন অরেন্ট অফিসারের কথা শুনে তাকিয়ে রইলাম, বললাম ঠিক আছে স্যার।

পরে ভাইবোন মিলে বাসায় আসলাম রাত ৮.৩০ দিকে। এসে আজকে গোসল করা হয় নাই দুপুরে , পরে গোসল করে খাবার খেয়ে, এইতো পোস্টে লেখা শুরু করলাম আজকের দিনটা আমার এভাবে শেষ হলো।


আমার কিছু কথা

যদি কোন আমার ভুল হয়ে থাকে তাহলে সবাই দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



৩০- ডিসেম্বর - ২০২৪ সাল

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Loading...

আপনার দিনের বিস্তারিত বর্ণনা সত্যিই অপূর্ব। একটি সাধারণ দিনকেও দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সরকারী কাজের একঘেয়েমি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা, জ্যামের মাঝে চলতে থাকা জীবন এবং ছোট ছোট মুহূর্তের গল্প খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

এমনই প্রেক্ষাপটে, আপনি যে ধৈর্য্য এবং সহানুভূতির সাথে এই দিনটি পার করেছেন, তা খুবই প্রশংসনীয়। আশা করি আগামী দিনগুলো আরও সহজ এবং আনন্দময় হবে। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন, সবসময় ভালো থাকুন!

আপু অনেক সুন্দর একটি মতামত লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

ভাই সরকারি কাজের কথা কি বলবো এত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় যা বলে বুঝানোর মত না।। ভুল না থাকলে মনে হয় তাদের আছে কোন একটা ফুল জানো রেয়ে আছে।। আমার বোন ভোটার হওয়ার জন্য দুদিন বেশি থাকার ফলে ভোটার হতে পারল না অবশেষে চলে গেল।।

এটা খুব লজ্জা জনক একটা বিষয়, আমরা দেশের নাগরিক আমাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য যখন আমরা কোন সরকারি অফিসে যাই। তখন আমাদের অনেক ভোগান্তি শিকার হতে হয়। যা হয়েছে আপনার বোনের ক্ষেত্রে। আমার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।