আমার লেখা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। সকলেই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ নতুন একটি লেখা নিয়ে এলাম আপনাদের সামনে শেয়ার করার জন্য। তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
পৃথিবীর সকল বাবা মা-ই চান, তাদের সন্তানরা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় এবং একজন আদর্শ ও সততার সহিত গড়ে উঠুক। তাদের অঢেল স্বপ্ন নিয়ে সন্তানদেরকে দিয়ে চেস্টা সাধনা করতে থাকে। আর সেই শিক্ষা টা মাদ্রাসা হোক বা জেনারেল বিষয়ে হোক, প্রতিটি শিক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আমাদের ইসলাম ধর্মে সৃষ্টি কর্তার নির্দেশ, প্রত্যেক মুসলমান নরনারীদের উপর ইলমেদ্বীন শিক্ষা অর্জন করা ফরযে আইন।
ইলমে দ্বীন কী? আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু পড়েছি,সেখান থেকেই বলছি। তা হলোঃ- কুরআন শরীফ সহীহ সুদ্ধ ভাবে পড়া ও কুরআনের তরজমা ও মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সাঃ সুন্নাত সমূহ জানা এবং সে অনুযায়ী পালন করা। আর হ্যা, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কুরআনের হাফেজ হতে বলেননি, তবে হাফেজ হলে এর অনেক ফজিলত। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই হাফেজ কে পরিপুর্ন মুখস্থ ধরে রাখা হলো ফরযে আইন। তাহলে বোঝা গেল হাফেজ হওয়া ফরয না, তবে হাফেজ হওয়ার পর মুখস্থটাকে ধরে রাখা ফরয।
- ডিভাইস: Oppo A95
- জায়গা: তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসা বগুড়া
এই ছবিটা যে আপনারা দেখতে পারছেন, এটা আমার হিফজ ক্লাস। দুই সাইটে ছাত্ররা লাইন লাইন করে বসে পড়ায় মগ্ন। আর মাঝখানে যে ডেক্সটা সেটা হলো আমার। সেখানে বসে বসে আমি ছাত্রদের মুখস্থকৃত পড়া শুনি। এই পিকটা যখন আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম, তখন সময়টি ছিলো ভোর ৪ঃ৪৫ মিনিট। এখানে যারা পড়াশোনা করতেছে, তাদের বেশিরভাগ ছাত্রদের বয়স হলো ১২,১২,১৪ বসর। তাহলে একবার চিন্তা করুন তো, সবাই যখন ঘুমে বিভোর, তখন এই ছোট ছোট বাচ্চারা আরামের ঘুম ত্যাগ করে, শীতের ঠান্ডা পানিতে অযু করে কুরআন শরীফ মুখস্থ করায় নিমজ্জিত।
- ডিভাইস: Oppo A95
- জায়গা: তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসা বগুড়া
এই ছবিটা দেখুন। এই দুইটা ছাত্র আমাকে কুরআন শরীফ মুখস্থ করে শোনাচ্ছে। আমি একসাথে দুজনের পড়া শুনতেছি,কারন এই দু'জনের পিছনের পড়া শোনানোর জন্য ছাত্ররা সিরিয়াল ধরে আছে। প্রতিটা ছাত্রর পড়া শুনতে কমপক্ষে হলেও ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। আর আমার এই হিফজের গ্রুপে ১৫ জন ছাত্র আছে, যাদের মুখস্থ পড়া সারাদিন আমিই শুনি।
- ডিভাইস: Oppo A95
- জায়গা: তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসা বগুড়া
এই ছেলেটাকে দেখুন, এর বয়স মাত্র ১০ বসর কয়েকমাস হবে। ছেলেটার বাবা বগুরা ঠনঠনিয়া, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হসপিটালের পুর্বে, ভাই পাগলা মসজিদের খতীব ও ইমাম। এবং মোটামুটি ভালো মানের বক্তা। ছেলেটি ১১ পারা হাফেজে কুরআন। কিন্তু ছোট মানুষ তো, তাই বসে বসে ঘুমাচ্ছে। মায়াও লাগে যে এত ছোট ছোট ছেলেরা কুরআনুল কারিম মুখস্থ করেন। আর তারই উস্তাদ (শিক্ষক) হতে পেরে, আল্লাহর কাছে অগনিত শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে এই পর্যন্তই আমার লেখাটিকে ইতি টানলাম। আগামীতে ইনশাআল্লাহ অন্য একটা টপিক নিয়ে আসবো। সেই পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আসসালামু আলাইকুম
সতিই তাই,আমাদের ঘুম থেকে উঠতেই ৯-১০ টা বেজে যায়,সেখানে বাচ্চা গুলো এত সকালে উঠে কোরআন পড়ছে।সেখানে আপনিও উঠেছেন।hats off ❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি কষ্ট না করছে ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা আল্লাহ ওদের আশা পূরণ করুক আমিন।🤲
ওদের জায়গায় আমিও ছিলাম একসময় আমি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারিনি দেখে আজ ওদের মত শীতের সকালে রাত ৪.৩০ মিনিটে উঠে কোরআন আর পড়তে পারি না। 😭😭
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম, একবার হলেও সেই সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে পড়ে সে অনুযায়ী মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit