মা-বাবার পরেই সম্মানের যোগ্য হলেন শিক্ষক।

in hive-120823 •  2 months ago 


IMG_20240909_165439.jpg
Image Sourcey by pixabay

আজকাল পশ্চিমা ধ্যানধারনা এবং পশ্চিমা কৃষ্টি কালচার আমরা অন্ধের মত গিলছি। আমরা মনে করছি যে, তাদের মত হলে বোধহয় আধুনিক হওয়া যাবে, তাদের মত হলে বোধহয় জাতে উঠা যাবে, তাদের মত হলে বোধহয় আমরা কিছু একটা করে ফেলবো। অথচ এগুলো আমাদেরকে ধ্বংশ কর দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের সামাজিক সৌন্দর্যগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। এখন তরুন-তরুনীরা অতিরিক্ত স্বাধীনচেতা। স্বাধীনচেতা হওয়া ভাল কিন্তু অতিরিক্ত স্বাধীন চেতা হওয়া ভাল না।
( Image Sourcey by pixabay

এখানে মূল বিষয় হচ্ছে ছোটরা বড়দেরক সম্মান করবে আর বড়রা ছোটদেরকে স্নেহ করবে। এরি ধারাবাহিকতায় আমরা দেখতে পাই সবচেয়ে বেশি এখানে দুটি সম্পর্কে সম্পর্কীত, একটি হচ্ছে পিতামাতা ,পিতামাতাকে সন্তান যেমন সম্মান করবে, শ্রদ্ধা করবে দ্বিতীয় সম্মানের জায়গা হচ্ছে ওস্তাদ বা শিক্ষক, যার কাছ থেকে আমি একটু জ্ঞান নিয়েছি তিনি আমার শিক্ষক।

পৃথিবীতে যতরকমের পদ পদবী আছে সবার উপরের পদ হচ্ছে শিক্ষক। কারন তিনি ঐ শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেই আজ এতবড় পদ-পদবী ধারন করতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষকের মর্যাদা অন্যাকারো সাথে তুলনা করার কোন সুযোগ নাই। যদিও আজকাল যারা প্রফেশনাল শিক্ষক আছেন তানারা সেই পর্যায়ে নিজেকে উন্নীত করতে পারছেন না।


IMG_20240909_165439.jpg
Image Source by pexels

শিক্ষককে সম্মান করা , মর্যাদা দান করা এটা আমাদের ইসলামে সুস্পস্ট নির্দেশনা আছে। যে ব্যক্তি আপনাকে শিক্ষাদান করবেন, সারাজীবনের জন্য তিনি আপনার শ্রদ্ধা পাওয়ার, সম্মান পাওয়ার উপর্যুক্ত হয়ে যান বা হকদার হয়ে যান।

অথচ আমাদের সমাজে দেখা যায় শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থী সেরকম ভাল আচারন করে না। অবশ্য এখানে শিক্ষকদেরও দায় আছে। শিক্ষকরাও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিষ্টার সাথে তাদের কল্যাণ কামনা করে না। যেমন অনেক শিক্ষক ক্লাসে কোন রকম পড়ায় কিন্তু যখন তার কোচিং সেন্টারে আসলে আসল পড়াটা সেখানে দেখায়, সেখানে সে পড়ার আসল জিনিসটা শেখায় , তার শিক্ষাটাকে হাতে ধরে রাখে অথবা ঐ শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা সহজ করে দেয়।


IMG_20240909_165439.jpg
Image Source by pexels

শিক্ষক যখন নীতি বিক্রি করে দেয় তখন শিক্ষার্থীও তার প্রতি আর ভক্তি থাকে না। এজন্য শিক্ষকদেরকে তাদের মর্যাদা ধরে রাখার চেষ্টা যেমন করতে হবে, শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদেরকে সম্মান করা শিখতে হবে, সেটা স্কুল-কলেজের শিক্ষা হোক বা মাদ্রাসা শিক্ষা হোক বা যে কোনো শিক্ষা হোক। যে আপনাকে শিখিয়েছেন আপনি তার কাছে চিরদিনের জন্য ঋনী হয়ে গেলেন। হোক তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন , হোক তিনি টিউশনি ফি নিয়েছেন তারপরও শিক্ষা একটা বড় মূল্যবান সম্পদ বিধায় এটার প্রতি আমাদের সম্মানের মানসিকতা থাকতে হবে।

শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র নিজেদের চিন্তাধারা , মনমানসিকতা পরিবর্তন করাই যথেষ্ট। তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের শিক্ষকদেরকে সম্মান করতে পারবো।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অবশ্যই এমন একটা চিন্তা ধারনা নিয়ে একদল মানুষ রাস্তায় পোশাকের স্বাধীনতা আন্দোলন করে।
আবার সেই মানুষগুলোই যখন ধর্ষণের শিকার হয় তখন আরবিয়ান নারীদের মতো বিচার চাইতে আসে। প্রকৃতপক্ষে প্রথমে নিজেকে শুদ্ধ করে চলতে হবে নতুবা যেকোনো সময় বিপদ ঘটতে পারে। পশ্চিমা কালচার বর্তমানে আমাদের শিরায় ঢুকে গেছে, আমার কাছেও পশ্চিমা কালচারগুলো ভালো লাগে তবে সবগুলো নয়।

আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। সর্বদা সকলের মতামতের ফলাবর্তন করার চেষ্টা করবেন, এর মাধ্যমে কমিউনিকেশন সিস্টেম ভালো হবে 🥰

Loading...

অবশ্যই আমাদের জীবনে মা-বাবার পর সম্মানের যোগ্য হল শিক্ষক। স্কুল ,কলেজে শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারি। আমাদের সকলকেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে শিখতে হবে। এমনকি যারা ছোট তাদেরকেও শেখাতে হবে। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শিক্ষক এমন একজন ব্যক্তি যার সম্মান আমাদের কাছে সব সময় উপরেই থাকবে। তাদের থেকে সব ধরনের শিক্ষা আমরা জীবনে অর্জন করি।শিক্ষক আমাদের জীবন চলার জন্য কিছু শিক্ষা দান করে যেই শিক্ষা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনার লেখাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।