নমস্কার বন্ধুরা ,সকলে কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেই ভালো লাগবে।
গত পরপর পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে সরস্বতী পূজার সমস্ত কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।আজকে শেয়ার করব সকালবেলায় নদীর ধারে দৃশ্য। সচরাচর সকালবেলায় ঘুম থেকে একদমই ওঠা হয় না। যদিও বা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি তাহলেও নদীর ঘাটে ধারের দৃশ্য একদমই চোখে পড়ে না। এর আগে বহুবার নদীর ধারে ঠাকুর বিসর্জন দেওয়া দেখতে গিয়েছি। কিন্তু এবারের বিসর্জনের মত অন্যান্য বারের দৃশ্য একদমই আলাদা রকম। এ বছরে প্রথমবার সরস্বতী পূজা বিসর্জন হতে প্রায় সকাল সাতটা বেজে গিয়েছিল। আমিও সকাল সাতটা পর্যন্ত নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিমা গুলি বিসর্জন দেওয়া দেখছিলাম।
নদীর ধার তাই প্রচন্ড ঠান্ডা ঘরে থেকে ঠান্ডা একদমই বোঝা যায় না ।কিন্তু সকালবেলায় নদীর ধারে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল ।চারিদিকে হালকা কুয়াশা। সেই ঠান্ডার মধ্যে সমস্ত পৌরসভা লোকজনেরা জলে নেমে প্রতিমা গুলি বিসর্জন দিচ্ছিল। নদীর ওপারে যাদের বসবাস সেই সকল বাড়ির বউরা নৌকো করে এপারে আসছিল ।আবার তাদের কাজ মিটিয়ে নৌকো করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। নৌকা গুলো মেয়ে কিংবা বউ গুলো চালিয়ে আসছিল দূর থেকে দেখছিলাম। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাখি নদীর উপর দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছিল। সারি সারি বক ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছিল। তাদেরও সকাল হয়েছিল তারাও খাবারের সন্ধানে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। এইরকম অপূর্ব দৃশ্য দেখতে অসাধারণ লাগে ।কিন্তু আমার ফোনে ঠিকঠাক ছবি বোঝা যায় না তাই সেগুলো দৃশ্যগুলো ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারলাম না।
নদীর ধারে তেমন কোন লোকজন ছিল না। শুধুমাত্র যারা প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসেছিল তারাই নদীর ধারে অপেক্ষা করছিল। প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল। তাই আমি, বোন, মামা ,আমার বর চারজনে মিলেই শুরু করে দিয়েছিলাম চা খাওয়া। চা খেতে খেতে আরো খানিকটা সময় নদীর ধারে কাটিয়ে ছিলাম। সকাল সকাল গরম গরম চা পেলে মন একদম ফুরফুরে মেজাজে ফিরে আসে।আমরা যখন নদীর ধারে সময় কাটাচ্ছিলাম তখন আশেপাশে বাড়ির লোকজনও মর্নিং ওয়াক করার জন্য বেরিয়ে পড়েছিল। সমস্ত প্রতিমা বিসর্জনের পর ভেবেছিলাম সকলে মিলে মজা করতে করতে হাঁটতে হাঁটতেই বাড়ি ফিরব। আমাদেরও একটু সকালবেলায় হাঁটা হবে ।কিন্তু সারারাত জাগার পর হাঁটতে একদম ইচ্ছে করছিল না।
নদীর ধারে এইরকম দৃশ্য ফেলেও আসতে ও ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আবার যেন ঠান্ডা ঘুরে আসছে। তাই ঠান্ডার মধ্যে আর বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে হালকা রোদ উঠতেই আমরাও খানিকটা হেঁটে তারপরে টোটো ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ি আসার সময় ছোট ছোট বাচ্চা গুলো সকলেই মা ,বাবার হাত ধরে ঠান্ডার মধ্যে স্কুলের পথে রওনা দিয়েছে। আবার কেউ বা সবজি, মাছ সবকিছুই বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েছিল। অনেকদিন পর এইরকম সকালের দৃশ্য দেখে মনটা খুব ভালো হয়ে গিয়েছিল। সকাল সকাল ঘুম থেকে না ওঠার ফলে এইসব কিছু চোখেই পড়ে না।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার পরবর্তী কোনো গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর। নদীর ধারে সকালের দৃশ্য এবং সেই পরিবেশের বর্ণনা সত্যি অনবদ্য। ঠান্ডায় এবং কুয়াশায়াই নদীর পাড়ে মানুষের ব্যস্ততা পাখিদের উড়ে যাওয়া এবং চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা সবকিছুই এক অদ্ভুত শান্তি এবং আনন্দ সৃষ্টি করে। এমন সুন্দর মুহূর্তগুলো কখনোই ভুলে যাওয়া যায় না। সকালের শান্ত পরিবেশের মাঝে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আরো এমন সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit