আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
ব্যাঙ্ককে আমরা সকলেই টাকা রাখি। কিন্তু এখনকার দিনে ব্যাঙ্ককে টাকা রেখে ও মানুষের শান্তি নেই। সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না।আমি কিছু দিন ধরে ব্যাঙ্ককে টাকা তোলার জন্য ঘুরছিলাম। কিন্তু ব্যাঙ্ককে টাকা তোলা হয়ে উঠছে না। সেদিন খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়েছিলাম ।ব্যাঙ্ককে টাকা তোলার জন্য । আগে থেকেই
সকাল আটটার সময় গিয়ে মামা লাইন দিয়ে বসে ছিল। মামা ফোন করে বলল তাড়াতাড়ি আয় সবার প্রথমে লাইন। আমিও শুনে খুশি মনে বেরিয়ে পড়েছিলাম। প্রথমেই লাইন তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
তখন বাজে সকাল সাড়ে নটা সকাল থেকেই আকাশটা মেঘলা মেঘলা করছিল ।মনে হচ্ছিল এক্ষুনি বৃষ্টি আসবে ।কিন্তু বাইরে রোদের তাপ ছিল। সকাল সাড়ে নয়টা মানে স্কুলের সময় । অফিসের সময়। অনেকে স্কুলে যাচ্ছে আবার অনেকে অফিসের জন্য ছুটছে। আমি ব্যাংকে পৌঁছে দেখলাম বেশ কয়েকজন বসে আছে। ব্যাঙ্কক খোলার অপেক্ষায়। ব্যাঙ্ককের সামনে কোন দাঁড়ানোর জায়গা নেই । রাস্তার ওপর একটা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমিও একটা গাছ তলায় গিয়ে দাঁড়ালাম ।পাশেই ছিল একটা কাঁঠাল গাছ গাছে এখনো অনেক কাঁঠাল ধরে রয়েছে।
সকাল দশটায় ব্যাঙ্কক খোলার নিয়ম ।কিন্তু ব্যাঙ্ককে যে দাদাটা কাজ করে তিনি আসলো দশটা দশ নাগাদ। ব্যাংক খুলতেই সবাই যে যার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ল। আসলে ওই ব্যাঙ্কটাই প্রচন্ড ভিড় হচ্ছে। আমাদের বাড়ির কাছে যে ব্যাঙ্ককটা ছিল ।সেই ব্যাঙ্কটা নাকি অন্য জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে। তাই সব লোকজন আমাদের বাড়ি কাছাকাছি যে ব্যাঙ্ক সেই ব্যাঙ্ককে যাচ্ছে। কোন কোন সময় ব্যাঙ্ককের লিঙ্ক থাকছে না ।আবার কোন কোন সময়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা করছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক বলে কথা ।সরকারি ব্যাঙ্ককে যদি এরকম অসুবিধা গুলি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। আমি যেহেতু সবার প্রথমে ছিলাম তাই ব্যাঙ্ক খোলা মাত্রই আমার লাইন। কিন্তু পিছন থেকে একজন বলছে আমি ছিলাম সবার প্রথমে। দুজনের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তর্ক বিতর্ক। শেষে দাদা টা আমার পিছনে যে ছিলেন ।তাকে আগে ছেড়ে দিল। আমার পিছনের মহিলাটি বলছে। তুমি তো সবার প্রথমে ছিলে। তুমি দিলে না কেন। কিন্তু কি করবো। মানুষের সাথে বেশি তর্ক করতে আমার ভালো লাগেনা ।তাই আমার পিছনের ভদ্রলোকটির পড়ে আমি নিলাম। তাও যেটুকু প্রয়োজনীয় টাকা তুলবো ভেবেছিলাম ।সেটাও হলো না । লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কালীন একবার লিঙ্ক চলে গিয়েছিল।
কারণ ব্যাঙ্ককে নাকি আ্যকাউন্ডে কত টাকা আছে তা দেখা যাবে না । আমার ও মনে নেই। এখন কত আ্যকাউন্ডে আছে তার মেসেজ ঢোকে না।যাইহোক টাকা তুলে আমি মামার সাথে বাড়ি চলে আসলাম। আসা মাত্রই শুরু হয়ে গেল ঝমঝম করে বৃষ্টি। মনে হচ্ছিল ভোরবেলা এত অন্ধকার হয়ে গেছে। এই রকম সমস্যায় আমি কোনদিন পড়িনি। মামা আগে থেকে লাইন রেখেছিল না হলে সেদিন ও পারতাম না টাকা তুলতে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে খুবই কষ্টকর ব্যাপার। এখনকার দিনে আমার মতো যারা (ATM বা phon pay) ব্যবহার করেন না তাদের ও নিশ্চয়ই এইরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আজ এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে আবার হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আসলে সমস্যা প্রত্যেকটা মানুষেরই আছে কিন্তু এই সমস্যা সমাধান প্রত্যেকটা মানুষের কাছেও আছে যদি জীবনে সমস্যা না থাকে তাহলে জীবনটা চলবে কিভাবে অবশ্যই জীবনের সমস্যা থাকা প্রয়োজন আছে আমিও মনে করি যদি আপনার জীবনে সমস্যা থাকে তাহলে আপনি সে সমস্যার সমাধান করার জন্য চেষ্টা করবেন আর যদি সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি কখনোই চিন্তা করবেননা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit