বাড়ি ফেরার পথে

in hive-120823 •  3 months ago 

আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। সুস্থ আছি। আজকে আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আমি এর আগের পোস্টে এয়ারপোর্টে যাওয়ার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ।কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে কি কি করলাম সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে দেখলাম আকাশে হালকা মেঘ করেছে। তখনই ভাবলাম হয়তো বৃষ্টি আসবে। কিছুটা দূর এগিয়ে এসে দেখতে পেলাম এটা প্লেন উড়ছে। গাড়ি থেকে দেখতে পেয়ে আমরা বেশ খুশি হলাম। আমরা যেদিন কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেদিন কলকাতায় ছিল বিধানসভা ভোট। তাই রাস্তা ফাঁকাই ছিল ।রাস্তায় লোকজন খুব কম ছিল। রাস্তায় শুধু বেশিরভাগ পুলিশ ছিল ।কিন্তু আসার সময় তখন ভোট হয়ে গিয়েছিল ।তাই তখন আবার রাস্তায় গাড়ি আগের মত চলছিল। আসবার পথে আমার প্রচন্ড শরীর খারাপ করছিল।

IMG20240601164819.jpg

IMG20240601165139.jpg

ভাবছিলাম কখন বাড়ি পৌঁছাব কিন্তু কাউকে বলতে পারছিলাম না। আসলে ভাত খেয়ে উঠেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। তাই হয়তো শরীর খারাপ করছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর ঈশা বলল চলো বৌদি একটা হোটেলে ঢুকে কিছু খাওয়া দাওয়া করি। আমি তো বলছিলাম না ।আমি কিছু খাব না। কারণ আমার শরীর খুব খারাপ করছে। যাই হোক পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়িতে তেল ভরতে হবে ।তাই একটা পেট্রোল পাম্পে গাড়ি দাঁড় করালো। পাশেই ছিল একটা রেস্টুরেন্ট । সেখানে আমরা গেলাম খাওয়া-দাওয়া করতে। যেহেতু ঈশাদের গাড়িটা ঈশার পিসেমশাই চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ।তাই পিসেমশাইয়ের ইচ্ছে ছিল বিরিয়ানি খাওয়ার। কিন্তু ঈশা খেতে রাজি হয় না। তাই পিসেমশাইয়ের এর খুব রাগ হয়েছিল। আর তখন সন্ধ্যাবেলা তাই আমরাও বিরিয়ানি খেতে রাজি হয়নি।

IMG20240601191916.jpg

তবে ঈশা রেস্টুরেন্টে ঢোকা মাত্রই চাউমিন আর একটা কোল্ডড্রিংকস এর বোতল অর্ডার করেছিল। আমি তো কোল্ডড্রিংকস টা খেতে শুরু করলাম ।দেখলাম কোল্ডড্রিংকস খেয়ে আমার শরীরটা একটু ভালো লাগছিল। তখন আমি ঈশা কে বলছিলাম আমার শরীর এতক্ষণ খুব খারাপ করছিল । কোল্ডড্রিংকস টা খাওয়ার পর আমার শরীরটা একটু ভালো লাগছে। ঈশা বলল একটু বেশি করে খেয়ে নাও। আমি প্রায় বেশি অর্ধেক টাই খেয়ে নিয়েছিলাম । যাইহোক শরীরটা একটু সুস্থ বোধ করছিল ।তাই রেস্টুরেন্টের আশপাশটা ঘুরে দেখলাম দেখলাম। আশপাশটা বেশ ভালোই। পাশে বাচ্চাদের খেলার জন্য ছোট একটা পার্ক ও আছে ।

IMG20240601194112.jpg

তবে রেস্টুরেন্টে ঢুকতে প্রথমেই চোখে পড়েছিল। খুব সুন্দর ছোট ছোট ঘাসফুল আলো হয়ে ফুটে রয়েছে। পাশে পার্ক থেকে ঘুরে আসার পর আমাদের খাবার আসলো। আমরা খেয়ে আবার যথারীতি ওখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিছুদূর আসার পর বাড়ি থেকে ফোন আসছে যে কৃষ্ণনগরে ঝড় উঠেছে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমার তো টেনশন শুরু হয়ে গেছে। কারণ শ্বশুরমশাই বাড়িতে একা। কারেন্ট না থাকলে খুব ভয় পায়। আমি বাড়িতে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম। বাবা বলল এখনো কারেন্ট আছে ।কিন্তু আমরা কিছুটা দূর আসতেই রাস্তায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।

IMG20240601202415.jpg


রাস্তায় যেতে যেতে ভাবছিলাম বৃষ্টি না কমলে বাড়ি যাব কি করে ।কারণ ঈশাদের গাড়ি বাড়ি পর্যন্ত যাবে না। আমাদের বাড়ির অনেকটা আগেই নেমে পড়তে হবে। কৃষ্ণনগরে ঢোকার আগে ঝড় ,বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম ।বাড়িতে ঈশার মা খুব চিন্তা করছিল। কারণ বাইরে ঝড়, বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কাছে আসতেই দেখলাম কাকিমা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমরা কখন ফিরবো বলে। আজ এই পর্যন্তই থাক আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনি যে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে গিয়েছেন সেজন্য আপনাকে জন্য অনেক মন খারাপ লাগে। সেই সাথে সাথে বাড়ি যাওয়ার পথে অনেক ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল। এবং আপনি যে ভালোভাবে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছিলেন সেটা শুনে অনেক খুশি হলাম। আপনার সারাদিনের জার্নিচার অনেক ভালো ছিল এবং আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকবেন আপনি।

আমার পোস্টে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।

আসলে অতিরিক্ত যখন আমরা গাড়িতে চলাফেরা করি তখন মাঝে মাঝে আমাদের শরীর খারাপ করে। এবং আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খাওয়া দাওয়া করে গাড়িতে উঠেছিলেন তাই হয়তোবা আপনার শরীরটা খারাপ করেছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আশা করি আপনি খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন যেহেতু তাই প্লেন উড়ে যাওয়ার মুহূর্তটি আপনি দেখে অনেক খুশি হয়েছিলেন এটা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু বর্তমানে আমি যদি প্লেন উড়ে যেতে দেখি তাহলে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ওই প্লেনে উঠে আমি বাড়ি পৌঁছে যেতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো।

যাইহোক বাড়ি ফেরার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে সেদিন ছিল প্রচন্ড গরম ।তাই হয়তো খাওয়া দাওয়া করেই গিয়ে আমার শরীর খারাপ করছিল। আমার পোস্টে এতো ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার বিগত পোস্ট পরে আমরা অবগত হয়েছিলাম আপনাদের এয়ারপোর্টে যাওয়ার কথা। বর্তমানে গরমের তাপমাত্রা শরীর তো খারাপ করবেই। এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে আকাশের তোলা ছবিটি আপনার খুব সুন্দর হয়েছিল।
অতিরিক্ত গরম এবং শরীর খারাপ করার সময় যদি একটু ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাওয়া যায়।তাহলে একটু ভালো লাগে। যেমন আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছিল।

সুন্দর বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আমার মনে হয় আপনার হঠাৎ করে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছিল যে কারণে কোল্ডড্রিংকস খাওয়ার সাথে সাথে একটু হলেও ভালো লেগেছে।

পছন্দের খাবার না খেতে পারলে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। যাতায়াতের জন্য নিজেদের গাড়ি থাকলে একটু সুবিধাই হয়। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে ভাগ করে দেওয়ার জন্য।