আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন বাবা আমাকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রতিদিন দুই টাকা করে দিত। তখন দুই টাকা দিয়ে অনেক কিছু পাওয়া যেত। বিশেষ করে স্কুলে গিয়ে এক টাকার চারটি চকলেট নিতাম। এক টাকার চারটি চকলেটের কথা প্রায় সবাই কম বেশি জানি। কারণ এক টাকার চারটি চকলেট এক সময় প্রচুর জনপ্রিয় ছিল। সেই সময় আমরা সেই চকলেট অনেক খেয়েছি।
গুগল থেকে ডাউনলোড করা একটি ছবি
শুধু আমি না প্রায় সবাই সেই সময় এক টাকার চারটি চকলেট খেয়েছেন। চকলেট টি স্বাদ ছিল কমলার রস এর মত। চকলেটি খেলে মনে হতো মনে হয় কমলার রস খাচ্ছি। বর্তমান সময়ে ওই চকলেট আর পাওয়া যায় না। বর্তমান সময়টা হচ্ছে আধুনিক যুগ সবকিছু উন্নত হয়েছে বা প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পাল্টে গেছে। দিন যাবে আরো অনেক কিছু পাল্টে যাবে। অনেক কিছু পরিবর্তন হবে।
হ্যাঁ বর্তমান সময়ে এক টাকার দুই টাকার চকলেট পাওয়া যায়। কিন্তু সেই চকলেট গুলো আর আগের মত সাদ নেই। আগের যেমন এক টাকা চারটি চকলেট খেলে অনেক স্বাদ পেতাম কিন্তু বর্তমানে আর সেই আগের মতো সাদ নেই। বর্তমানে চকলেট হয়েছে অনেক প্রকার। অনেক ডিজাইনের চকলেট বের হয়েছে। বিভিন্ন বক্সের ভেতরে, বিভিন্ন ডিজাইন বিভিন্ন অঙ্গি ভঙ্গিতে চকলেট তৈরি করা হয়েছে।
বিশেষ করে এখনকার চকলেট গুলো বাচ্চাদেরকে খাওয়ালে বাচ্চাদের দাঁত দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো বাচ্চাদেরকে ভালো কিছু খাওয়ানোর জন্য। এখনকার এইসব চকলেট থেকে বাচ্চাদেরকে দূরে রাখার জন্য। এখনকার চকলেট অনেক চকলেট রয়েছে যেগুলো খাওয়ার পরেও দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে। আর সেগুলো দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকার কারণে দাঁত নষ্ট হয়ে যায়।
এই ছবিটি বর্তমান সময়ের একটি চকলেটের ছবি। এই চকলেট গুলোর একটি চকলেটের দাম ১০ টাকা। অথচ আমরা ছোটবেলায় এরকম কাগজে মোরানো চকলেট খেতাম এক টাকায় চারটি চকলেট। বর্তমানে ১টি চকলেটর দাম দশ টাকা। তাও আবার আগের মত এতটা সাদ এতটা ঘ্রাণ পাওয়া যায় না। আগে ১ টাকায় চারটি চকলেট কিনতাম বর্তমানে একটি চকলেট কিনতে হচ্ছে ১০ টাকায়।
ছোটবেলায় আমরা যে চকলেট এক টাকায় চারটি কিনেছিলাম, সেই চকলেটের কাগজ খুললেই অনেক সুন্দর একটি ঘ্রাণ পেতাম। চকলেটের ঘ্রান শুনে চকলেট খেতে ইচ্ছা করতো। বর্তমানে চকলেট গুলোর কোন ঘ্রান ও স্বাদ নেই। বর্তমানে অনেক কেন্ডি চকলেট বের হয়েছে সেগুলো আগের মত স্বাদ ও ঘ্রান নেই।
এখন মাঝে মাঝে মনে হয় যদি আগের দিনগুলো আবার ফিরে আসত। যদি আমাদের শৈশব আবার ফিরে আসত। তাহলে কতই না আনন্দ হতো। কিন্তু সেটা শুধু কল্পনাতে বাস্তবে কখনো এটা সম্ভব নয়। যাইহোক ছোটবেলায় অনেক খাবারই আমরা খেয়েছি যেগুলো বর্তমানে নেই। আগের মত খাবার বা অনেক কিছুই তৈরি করার চেষ্টা করতেছে অনেক কোম্পানিগুলো কিন্তু সেগুলো আগের মত হচ্ছে না।
যাইহোক বন্ধুরা আজকে এখানে সমাপ্তি টানছি। আসলে আজকে একটি চকলেট দেখে মনে পড়লো যে আগে আমরা কি চকলেট খেয়েছি আর এখন আমরা কি চকলেট খাচ্ছি। আগের চকলেটের কথা মনে পড়ল তাই আপনাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কিছু কথা বললাম।
ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার পোস্টে লজেন্স গুলো দেখে ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ে গেল। যখনই বাসে করে কোথাও যেতাম ।ছোটবেলায় তখন ওই লজেন্স গুলো বাস থেকে কিনে খেতাম ।তবে মাঝে মাঝে এখনো দিদা ট্রেনে করে ডাক্তার দেখাতে গেলে ও লজেন্স গুলো কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু এখন আর খেতে ইচ্ছে করে না। আপনার সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি তো সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়িয়ে দিলেন সেই পাশাপাশি ছোটবেলার কথা মনে পরে গিয়েছে চকলেট দেখে,,
চকলেট বাচ্চাদের দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকার এটা জেনেও মাঝে মধ্যে আমি নিজেই চকলেট খাই এবং মেয়ে কে দিতে হয় ।। আর না দিলে তো উপায় নেই,, সেই কান্না। খুব ভালো লাগলো বিভিন্ন ধরনের চকলেটের দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit