ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ফার্নিচার এর বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। একটা ঘরে বা একটা বাড়িতে যদি ফার্নিচার না থাকে তাহলে ঘর যেন ফাকা ফাকা লাগে।আমার ঘরে তেমন কোনো ফার্নিচার নেই। তাই বাড়িতে অনেক দিন ধরেই বলতেছে যে ফার্নিচার নেবে, ফার্নিচার নেবে। আমি বলি যে কিছুদিন যাক হাতে টাকা পয়সা আসুক তারপরে ফার্নিচার বানাবো।
এভাবে কেটে গেল কয়েক মাস। আমি কিছু টাকা জমিয়ে ছিলাম আমিও ভাবছি যে এই জমানো টাকা দিয়ে ফার্নিচার বানাবো। বাড়ি থেকে বলতেছে যে এখন ঘরের জন্য কিছু ফার্নিচার বানাই।আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর আজকে সকালে দোকান থেকে বের হয়ে একটা পরিচিত ফার্নিচারের দোকানে যাই।দোকানে গিয়ে দেখি দোকানের মালিক নেই কয়েকজন কর্মচারী কাজ করতেছে।
কর্মচারীরা আমাকে বলল ভাই বসেন মালিক একটু বাহিরে গেছে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে। তারপর সেখানে বসলাম দোকানের কর্মচারীরা আমাকে চা বিস্কিট এনে দিল সেগুলো খেতে খেতেই দোকানের মালিক চলে আসলো। মালিক বলছেন আরে আতিক কি অবস্থা কেমন আছো। আমি বললাম জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন। এভাবে আরো কিছু কথা বললাম।
তারপর উনাকে জিজ্ঞেস করলাম আমি একটি খাট এবং একটি ওয়াল শোকেস বানাতে চাচ্ছি। তারপর তিনি আমাকে কয়েকটি ডিজাইন দেখালেন। আমাকে ওয়াল শোকেসের ডিজাইন দেখালেন আমার পছন্দ হলো। কিন্তু আমাকে যে খাটের ডিজাইন গুলো দেখালো আমার একটি খাট ও পছন্দ হলো না।
পছন্দ না হওয়া খাটের ছবি
তারপর বাড়ি থেকে একটি খাটের ডিজাইন আমাকে দিয়েছিল সেই খাটের ছবি দেখালাম। তিনি আমাকে বলল হ্যা সব মডেল তৈরি করে দেওয়া যাবে। তিনি খাট এবং ওয়াল শোকেস এঐ দুইটার মূল্য চাইলেন ৫৪ হাজার টাকা। তারপর একটু কমায় ৪৯ হাজার টাকায় দুইটা বানানোর জন্য অর্ডার দিলাম।
এই খাটের মতো ডিজাইন অর্ডার দিলাম
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া একটি ছবি
তারপরে ৯০০০ টাকা বায়না স্বরূপ দিয়ে আসলাম। এবং বলতেছে যে ১৫ দিনের মধ্যে দিয়ে দিবে। তারপর সেখান থেকে চলে আসলাম। বন্ধুরা আমার এই গল্প থেকে শেখার বিষয় হচ্ছে একটি। আমরা টাকা পয়সা অযথা নষ্ট না করে জমিয়ে রাখবো। যেমন আমি কিছু টাকা জমিয়ে ছিলাম টাকা দিয়ে ঘরের জন্য ফার্নিচার বানাচ্ছি।
এই ছবিটির মত ওয়াল শোকেস অর্ডার দিয়েছি
আমাদের মধ্যে অনেক ভাই রয়েছেন প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বা তারও বেশি সিগারেট বা ধূমপান করে শেষ দেই। আমরা যদি এই টাকা নষ্ট না করে জমিয়ে রাখি তাহলে দেখা যাবে বছর শেষে অনেক টাকা হবে। সেই টাকা দিয়ে আমরা ঘরের জন্য কিছু কিনতে পারব বা অন্য কোন কাজে লাগাতে পারবো।
তাই আমরা চেষ্টা করব টাকা পয়সা নষ্ট না করার জন্য। আমরা প্রতিদিন ১০০ টাকার যদি সিগারেট খেয়ে থাকি। ওই টাকাটা সিগারেট না খেয়ে যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা জমাই তাহলে বছরে যে কত টাকা হবে ভেবেছি কখনো। যাইহোক বন্ধুরা নষ্ট না করে টাকা জমানোর চেষ্টা করব।
বন্ধুরা আজকে এখানেই সমাপ্তি টানছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
আমরা যদি কিছু কিছু করে টাকা জমায় সে টাকা দিয়ে অনেক কিছু করতে পারি, যেমন আপনি টাকা জমিয়ে ফার্নিচার বানাচ্ছে ফার্নিচার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ঘরে ফার্নিচার না থাকলে সেই ঘর খালি খালি মনে হয়, আপনি সুন্দর ডিজাইনের ফার্নিচার অর্ডার দিয়েছেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit