বন্ধুরা আমি কিছুদিন আগে কয়েকটি পোস্ট করেছিলাম, আমাদের দেশের কোটা আন্দোলন নিয়ে। এই কোটা আন্দোলন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি, অনেক ভাই ও বোনেরা শহীদ হয়েছেন। অনেক মা বাবার কোল খালি হয়েছে। শত শত ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছেন। শত শত ভাইয়েরা এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করা একটি ছবি
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে এই আন্দোলনের কারণে আমাদের দেশে প্রায় ৮ দিনের মতো ওয়াইফাই কানেকশন ছিল না। এবং ১১ দিনের মত মোবাইল ইন্টারনেট কানেকশন ছিল না। এই ৮ থেকে ১০ দিন আমরা অনেক ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম। দীর্ঘ এই কয়দিন ইন্টারনেট ছাড়া চলেছি। মনে হয়েছে আমরা সেই আগের যুগে চলে এসেছি।
দীর্ঘ এই কয়দিন ছাত্র ও ছাত্রলীগ এবং সরকারি কর্মকর্তা আরো অন্যান্য মানুষেরা এই আন্দোলনের মধ্যে কেউ সাহায্য করেছে কেউ বিরোধিতা করেছে। আবার কেউ মারামারি করেছে ভাঙচুর করেছে। একেক জন একেক ভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছে। অবশেষে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। তারপরেও আবার ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেছে।
ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করা একটি ছবি
আমি সঠিক জানিনা আবার কি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। আবার আজকে দুপুর ১২ টা থেকে নাকি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হবে। এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট কখন চালু হবে কয়দিন বন্ধ থাকবে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আজকে দুপুর ১২ টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকবে।
ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করা একটি ছবি
আমি জানিনা দেশে কি শুরু হলো আবার। আবার জানতে পারলাম বিকেল ৩ টা থেকে সংগীত শিল্পীরা এই আন্দোলনে নামবে এবং গানে গানে তারা স্লোগান দিতে থাকবে। এইতো কিছুদিন আগে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। জানিনা আবার কত মায়ের বুক খালি হবে। আবার কত রক্তপাত হবে। কবে আমরা এগুলো থেকে মুক্তি পাব।
ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করা একটি ছবি
চারিদিকে শুধু গুলির শব্দ চারিদিকে শুধু আন্দোলন আন্দোলন। এগুলো থেকে কবে আমরা মুক্তি পাব। সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নাই। যদি ইন্টারনেট বন্ধ থাকে তাহলে অফিস আদালতের ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া যেন কিছুই চলে না। ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলে আবার আগের মত হয়ে যাবে মানুষ আবার বিভ্রান্তিতে পড়ে যাবে।
আমি একটি কথা বলতে চাই। যদি আমরা এই আন্দোলনে যোগ দেই তাহলে আমরা সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় আমাদের সবার এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া দরকার। কেননা আগামীর ভবিষ্যৎ ছাত্র, তাই এই ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া জরুরী। ছাত্র সমাজ চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু ছাত্র সমাজ শুধু আন্দোলন করে যাচ্ছে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য।
বন্ধুরা আজকে এখানেই সমাপ্তি টানছি। আমার পোস্টটি কেউ অন্য ভাবে নিবেন না। আমরা সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছি তাই আমি এই পোস্টটি করলাম। আসলে আমরা যারা বাড়িতে আছি তারা কিছু জানতে পারি না কিন্তু যারা আন্দোলনের মাঠে রয়েছে তারাই শুধু জানতে পারে। ক্ষুধার্ত কাকে বলে কষ্ট কাকে বলে। যারা আমরা বাড়িতে থাকব তারা আন্দোলনের জন্য মাঠে নেমেছে তাদের জন্য দোয়া করব।
যদি ইন্টারনেট না আসে বা যে কয়দিন না আসবে না সে কয়দিন হয়তো বা আমি এই কমিউনিটিতে পোস্ট করতে পারবো না এক কথায় আমি অনলাইনে আসতে পারবো না। শুধু আমি না কেউ অনলাইনে আসতে পারবে না। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আন্দোলন করে ছাত্র ছাত্রীরা কতোটুকু ন্যায্য বিচার পাবে জানি না। তবে ছাত্রছাত্রীরা যখন রাজপথে নেমেছে তারা সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মাঠ থেকে উঠবে না। এটা ঠিক যে এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা সবাই ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত ছিলাম। ১০-১২ দিন আমরা মোবাইলে ইন্টারনেট পাইনি ওয়াইফাই লাইন পাইনি তাতে অনেক মানুষের অসুবিধা হয়েছে এবং সারা বাংলাদেশের মানুষ ভোগান্তি পেয়েছে অনেক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit