Better Life with Steem|| The Diary Game|| 26 October 2024

শুভসকাল বন্ধুরা, আজ শনিবার ১০ই কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি, সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলেই ভালো অবস্থায় আছেন এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আজকে সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গে ভাতিজার কান্নার শব্দে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দুষ্টুমি শুরু করার জন্য তার মা তাকে ধমক দিয়েছে। আসলে সে পানি দিয়ে খেলতে পছন্দ করে। পানি দিয়ে খেলতে খেলতে ঠান্ডা বাধিয়ে ফেলেছে। আজ সকালে ভাবি রান্নার কাজে রান্না ঘরে ব্যস্ত থাকায় সে এই সুযোগে ঘুম থেকে উঠে থেকে পানি নিয়ে পুরো বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছে। আর এ কারণে তাকে ধমক দেয়ায় এবং পানি দিয়ে খেলতে না দেওয়ায় সে কান্নাকাটি করে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছে। যাইহোক তার কান্না শুনে ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে তার কান্না থামানোর জন্য তাকে নিয়ে বাসার পাশের রাস্তায় হাঁটতে যাই। এসময় সে দোকান থেকে ললিপপ এবং সেন্টার ফ্রেশ কেনার বায়না করে। না কিনে দিলে সে কোনোভাবেই বাসায় যাবে না। অতঃপর তাকে ললিপপ ও সেন্টার ফ্রেশ কিনে দিয়ে বাসায় ফিরে আসি।

বাসায় ফিরে এসে দেখি সকালের খাবার রেডি, কাল রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় বেশ ক্ষুধা লেগেছিল, তাই ঝটপট খাবার খেয়ে নেই। খাবার খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ রেস্ট নিচ্ছিলাম, এ সময় মা এসে বলে পিঠা বানাবে তাই নারিকেল কুড়িয়ে দিতে হবে এবং চাল গুড়ো করে এনে দিতে হবে। তখন আমি মাকে চাল ভেজাতে বললে মা বলে চলতেছে আছে শুধু নিয়ে গেলেই হবে। অতঃপর দোকানে গিয়ে চাল গুঁড়ো করে নিয়ে আসি এবং বাড়ি ফিরে এসে নারীকেল কোরানি দিয়েনারিকেল কোরিয়ে দেই। এরপর মা আর ভাবি মিলে ভাপা পিঠা তৈরি করে আর আমরা সবাই মিলে মজা করে ভাপা পিঠা খাই। এই ভাপা পিঠা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি পিঠা। যদিও এটি শীতকালীন পিঠা তবে এটি আমার খুব পছন্দের বলে আমি বাড়ি আসলেই মা এই ভাপা পিঠা বানিয়ে দেয়।

দুপুরবেলা পিঠা খেয়ে বেশ গরম লাগছিল তাই কিছুক্ষণ শুয়ে রেস্ট নেই। সময় মোবাইলে বিনান্স লগইন করি এবং স্টিম, বিটকয়েন, মানটা এরকম আরো কিছু কয়নের প্রাইস চেক করি। আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য স্টিম, বিটকয়েন, মানটা কয়েনের প্রাইস নিচে শেয়ার করলাম।

কয়েন	মূল্য
বিটকয়েন	৬৬৯০০$
স্টিম	০.১৫৯৪$
মানটা	০.৬৪৪$

এরপর কিছুক্ষন ফেসবুক চালিয়ে একটা চার্লি মুভিটি দেখি। কিছু,সিনেমা আছে, যেগুলো কোনো কারণ ছাড়াই দেখতে মন চায়! এই সিনেমাটাও সেগুলোর মধ্যে একটা। মাঝে মধ্যে মস্তিষ্ক ফ্রেশ করার জন্য হলেও এমন মুভি দেখা খুব প্রয়োজন।মুভিটা দেখে নাই এমন মানুষ খুব কমই আছে।

মুভি দেখা শেষ হলে বিকালে বাইরে বের হই। আজকে আমার এক বন্ধু জন্মদিন ছিল। এ কারণে সব বন্ধুরা একসাথে হয়ে আলোচনা করি কিভাবে জন্মদিন পালন করা যায়। সবাইকে যার যার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। সাতটার মধ্যে সবাই একসাথে হয়ে নির্ধারিত স্থানে যাই। এরপর খবর পেয়ে আমাদের সাথে কিছু বড় ভাইরাও যোগ দেয়। এরপর সবাই মিলে অনেক মজা করি। রাতে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই মিলে গল্প-গুজব করে যার যার বাসায় চলে যাই এবং বাসায় ফিরে এসে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে এই পোস্ট লিখতে বসি।