Contest of March#2 by @sduttaskitcen| My three favorite smartphones

পোষ্টের শুরুতে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। আমাদের সকলের প্রিয় এডমিন দিদি @sduttaskitchen কে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি টেক রিলেটেড কনটেস্ট আয়োজনের জন্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবন স্মার্টফোন ছাড়া চলে না। বিশেষ করে আমার জীবন স্মার্ট ফোন ছাড়া একেবারেই অচল। বর্তমানে আমার স্মার্টফোনটিকে আমার নিজের শরীরের একটি অংশ হিসেবে মনে হয়। বর্তমানে স্মার্টফোনের এত বেশি জনপ্রিয়তা দেখে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বিভিন্ন মডেলের স্মার্টফোন বাজারজাত করছে। এর মধ্যে কিছু স্মার্টফোন আমার খুবই পছন্দের। কাজেই দেরি না করে এ সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।

Name three smartphones that are on your favorite list. Share the reasons.

সারা বিশ্বের বড় বড় টেক কোম্পানি সেরা সেরা স্মার্টফোন তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে অন্যদের থেকে ভালো মানের স্মার্টফোন তৈরি করার এবং তাকে গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্য করে তোলার। এ সকল স্মার্টফোনের মধ্যে আমার পছন্দের তিনটি স্মার্টফোন হচ্ছে :

• শাওমি
• স্যামসাং
• সিম্ফনি

বাজারে হরেক রকম স্মার্টফোনের মাঝে এই তিনটি স্মার্টফোন পছন্দ করার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এ কারণগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো :

Source

শাওমি : স্মার্ট ফোন ব্র্যান্ডের কথা বিবেচনা করলে তুলনামূলকভাবে শাওমি একটি নতুন কোম্পানি। সময়ের সাথে সাথে গ্রাহকদের মন জয়ের মাধ্যমে শাওমি বর্তমানে বড় বড় স্মার্ট ফোন কোম্পানির মধ্যে একটি। সুলভ মূল্যে গ্রাহকদের কাছে স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে শাওমি সর্বদা বদ্ধপরিকর। শাওমি স্মার্টফোন বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় যে শাওমিকে “Apple of China” নামে ডাকতেও দেখা যায়। শাওমি তার গ্রাহকদের পছন্দের কথা বিবেচনা করে নিয়মিতভাবে অসংখ্য প্রোডাক্ট এবং আপডেটেড প্রোডাক্ট তৈরি করে যাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি শাওমির স্মার্টফোনের ফ্যান হয়ে গিয়েছি। সুলভ মূল্যে হাই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট তৈরিতে শাওমির জুড়ি মেলা ভার।

Source

স্যামসাং : স্যামসাং বেশ কিছু ফিচারাইজড ফোন তৈরি করে স্মার্টফোন জগতে জনপ্রিয়তা তৈরি করেছে। এখন পর্যন্ত বাজারে স্যামসাং স্মার্টফোনের ডিসপ্লে সবথেকে সেরা। দীর্ঘদিন যাবত স্যামসাং স্মার্টফোন বাজারে রাজত্ব করে চলেছে। ডিসপ্লের পাশাপাশি স্যামসাং স্মার্টফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটির দিক থেকে উপরের দিকেই রয়েছে। স্যামসাংয়ের স্মার্ট ফোন সর্বদা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে এবং ট্রেন্ডি স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসে। স্যামসাং এর ফোল্ডেবল ফোন বর্তমানে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। গ্লোবাল ও বিশ্বস্ত স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি রয়েছে।

Image edited in Canva

সিম্ফনি : সিম্ফনি হচ্ছে সর্বাধিক বিক্রিত বাংলাদেশী স্মার্টফোন কোম্পানি। আমাদের দেশে কম বাজেটে সর্ব প্রথম স্মার্টফোন নিয়ে আসে সিম্ফনি। সেই সময়টাতে শাওমি, অপ্পো, ভিভোর রাজত্ব ছিল না আমাদের দেশে। তখন সিম্ফনি ছিল দেশের যুবক ও টিনেজদের জন্য সেরা স্মার্টফোন। বিশেষ করে আমার সমবয়সীদের সাথে স্মার্টফোনের পরিচয় ঘটে এই সিম্ফনির স্মার্টফোনের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য গ্লোবাল স্মার্টফোন আরো বেশি জনপ্রিয় অর্জনে সক্ষম হলে সিম্ফনি তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। আমার ব্যবহার করা সর্বপ্রথম স্মার্ট ফোন ছিল সিম্ফোনি স্মার্টফোন। বর্তমানে অন্যান্য স্মার্টফোনের সাথে দৌড়ে পিছিয়ে গেলেও এখনো সিম্ফনির স্মার্ট ফোন অনেকেরই পছন্দের তালিকার শীর্ষে।

While purchasing smartphones, which things do you prefer? Describe.

স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা ও গ্রাহকের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন নানা ধরনের, নানা ব্রান্ডের, নানা কনফিগারেশনের স্মার্টফোন আসছে বাজারে। তাই স্মার্ট ফোন কিনতে গেলে কোন স্মার্টফোনটি কিনব তা নিয়ে আমাদের বেশ দ্বিধাদ্বন্দে পড়তে হয়। চলুন এ বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেই। স্মার্ট ফোন কিনতে গেলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত তা নিচে বর্ণনা করা হলো :

বাজেট : স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আমাদের যে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত তা হচ্ছে আমাদের বাজেট। আমাদের বাজেটের মধ্যে যে স্মার্টফোনটি আমাদের প্রয়োজন মেটাবে সেই স্মার্টফোনটি আমাদেরকে নেওয়া উচিত। বর্তমান বাজারে কম দামি স্মার্টফোন যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে অনেক বেশি দামের স্মার্টফোন। তাই সর্বপ্রথম বাজেট নির্ধারণ করে স্মার্টফোনের অন্যান্য ফিচারগুলোতে নজর দেওয়া উচিত।

Source

প্রসেসর: প্রসেসর হচ্ছে একটি স্মার্টফোনের অন্যতম প্রধান একটি অংশ। একটি স্মার্টফোনের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এই প্রসেসর। অথচ স্মার্টফোন কিনার ক্ষেত্রে খুব কম মানুষই প্রসেসর এর প্রতি নজর দেন। বাজারে বিভিন্ন রকমের প্রসেসর পাওয়া যায়। তবে আমার পছন্দের প্রসেসর হচ্ছে স্ন্যাপড্রাগন। স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর ব্যবহার করা স্মার্টফোনগুলোতে চার্জ অনেক বেশি থাকে এবং এটি ফোনকে অতি দ্রুত গরম হওয়া থেকে বিরত রাখে।

ডিসপ্লে: আমরা কি কাজের জন্য স্মার্ট ফোন কিনছি তার উপর ভিত্তি করে ডিসপ্লে চয়েস করা উচিত। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে পাওয়া গেলেও AMOLED ডিসপ্লে যুক্ত ফোনগুলো আমার পছন্দের শীর্ষে।

Source

ক্যামেরা: স্মার্টফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্যামেরা। অনেকেই মনে করেন ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে ছবির মান তত ভাল হবে যা একটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা। স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ক্যামেরার মেগাপিক্সেলের পাশাপাশি ক্যামেরার অ্যাপারচার, ISO লেভেল, ফোকাসের ক্ষমতা ইত্যাদি দিক মাথায় রাখা উচিত।

র‍্যাম ও রম: রেম হচ্ছে একটি ফোনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য অস্থায়ী মেমোরি। অপরদিকে রোম হচ্ছে একটি স্মার্টফোনের স্থায়ী মেমোরি। স্মার্ট ফোন হেভি ইউজ এর জন্য কিনলে বেশি ৱ্যাম যুক্ত স্মার্টফোন কেনা উচিত। অপরদিকে ফোনের রম যত বেশি হবে তত বেশি ডাটা আমরা আমাদের ফোনে সংরক্ষণ করে রাখতে পারব। তাই আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ৱ্যাম ও রম সিলেক্ট করা প্রয়োজন।

ব্যাটারী : একটি ফোনের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে ব্যাটারি। ফোনের ব্যাটারি ভালো না হলে ফোন চালিয়ে মজা পাওয়া যায় না। একটি ফোন চালাতে গিয়ে দিনে ৪-৫ বার যদি চার্জ দিতে হয় তবে তা বেশ বিরক্তিকর। হেবি ইউজ অথবা গেমিং এর জন্য ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতা বেশি হওয়া প্রয়োজন। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে আমি 5000 mah এর ব্যাটারী পছন্দের শীর্ষে রাখবো।

How many smartphones do you use as of now? Which one is your still favorite among them? why?

আমি এখন পর্যন্ত ছয়টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছি। এই মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে একটি বাদে সবগুলোই ছিল স্মার্টফোন। Symphony p6 pro ছিল আমার সর্বপ্রথম কেনা স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোনটি আমি কলেজে থাকতে কিনেছিলাম। এরপর আমি মাইসেল কোম্পানির একটি ট্যাব কিনেছিলাম। এরপর বাজারে শাওমি ব্র্যান্ডের ফোন গুলো আসা শুরু হয় এবং আমি শাওমি ব্র্যান্ডের ফ্যান হয়ে যাই। ব্যান্ডের কেনা সর্বপ্রথম স্মার্টফোন ছিল রেডমি নোট ৫ চা তখন বাজারে বেশ জনপ্রিয় ছিল। এই স্মার্টফোনটি আমি দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করেছি। হয়তো এখনো এই স্মার্টফোনটি আমার কাছে থাকতো যদি না এটি চুরি হয়ে যেত।

Image edited in Canva

এই স্মার্টফোনটির ক্যামেরা কোয়ালিটি ও পারফরম্যান্স ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলে আমি রেডমি সিরিজেরআরো একটি ফোন কিনি যার মডেল হল redmi note 10 pro এবং এটি আমার ব্যবহার করা সব থেকে সেরা স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে তেমন মজা পেয়েছি তেমনি ভাবে এটি আমার সকল চাহিদা পূরণে সক্ষম ছিল। গেমিং ও ফটোগ্রাফি এক্সপেরিয়েন্স ছিল দারুন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই স্মার্টফোনটি কেনার মাত্র দেড় বছর পর চুরি হয়ে যায়। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই আমার দুইটি স্মার্টফোনের একটিও আর নেই। চোর বাবাজি হয়তো এখনো আমার স্মার্টফোন দুইটি ব্যবহার করছে। এরপর আমি শাওমি ব্র্যান্ডেরই আরেকটি স্মার্ট ফোন কিনি যার মডেল হচ্ছে poco x4 pro এবং আমি বর্তমানে এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছি। এই স্মার্টফোনটি সকল ফিচার redmi note 10 pro এর কাছাকাছি তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগের ফোন থেকে বেশ কিছু দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। তাই আমার ব্যবহার করার সবথেকে সেরা স্মার্টফোন হচ্ছে redmi note 10 pro।

How long can you stay away from your smartphones? Share your favorite program that you enjoy watching on your smartphone.

বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমি স্মার্টফোনের প্রতি চরমভাবে আসক্ত। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত স্মার্টফোন আমার প্রত্যেকটি মুহূর্তের সঙ্গী। স্মার্ট ফোন যেন আমার শরীরের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্ট ফোন ছাড়া খুব অল্প সময় কাটালেও নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয়। আমি খেতে বসি, গল্প করি, বেড়াতে যাই, পড়তে বসি, কাজ করি এক কথায় আমি যা কিছুই করি না কেন আমার সাথে আমার স্মার্ট ফোন থাকতে হবে। হয়তো আমি মনের আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছি আর গল্প করছি, স্মার্ট ফোনে আমার কোন কাজ নেই কিন্তু তারপরও একটু পর পর আমার স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতে হবে। আমি আমার দিনের সম্পূর্ণ সময় স্মার্টফোনের সঙ্গেই কাটাই।

যেহেতু আমি স্মার্টফোনের প্রতি আসক্ত সে তো আমার স্মার্ট ফোনে করার মত কাজের ( আসলে অকাজ ) কোন অভাব নেই। গেম খেলা থেকে শুরু করে ভিডিও দেখা, ট্রেড করা, বিভিন্ন কয়েন এনালাইসিস করা, বই পড়া প্রভৃতি কাজে আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করি। তবে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ট্রেডিংভিউ। এখানে আমি বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রাইস সম্পর্কে জানতে পারি এবং বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে পারি।

প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী আমার তিনজন বন্ধুকে ম্যানশন দিলাম @labonnoruva @shariarprottoy @piya3