Incredible India monthly contest of April| All about my favorite day of the week.

পোষ্টের শুরুতে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা, আজ আমি আমাদের কমিউনিটিতে আয়োজিত এপ্রিল মাসের কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি যার টপিক হচ্ছে সপ্তাহের প্রিয় দিন। সপ্তাহে ৭টি দিন রয়েছে এবং বিভিন্ন দিন বিভিন্ন ভাবে কেটে যায়। তবে সপ্তাহের একটি বিশেষ দিনের জন্য সবারই থাকে অপেক্ষা। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। এবারে চলুন সপ্তাহের এই বিশেষ দিন নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। তবে শুরু করার আগে আমি আমার এই তিন বন্ধুকে ইনভাইট করছি @labonnoruva @shariarprottoy @piya3

What is your favorite day of the week and why?

শুক্রবারের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তোলা ছবি

সপ্তাহে আমার প্রিয় দিনটি হলো শুক্রবার। সেই ছোটবেলা থেকেই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। সপ্তাহের একটি দিন যেন স্পেশাল একটি দিন। এই দিনটি আমাদের দেশের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত সবকিছুই এ দিন বন্ধ থাকে। এর পাশাপাশি আমাদের ধর্মে এ দিনটির মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক। এই দিনে সৃষ্টিকর্তা প্রথম মানব সৃষ্টি করেছিলেন। ফজিলতের দিক থেকে এই দিনটিকে ঈদের দিনের সাথে তুলনা করা হয়। এই দিনে আমরা জুম্মার নামাজ আদায় করি। এই দিনটি ছুটির দিন হওয়ায় বাড়িতে বসে আরাম আয়েসে দিন কাটানো যায়। দৈনন্দিন ব্যস্ততা না থাকায় বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া যায়। সারা সপ্তাহে জমে থাকা ছোট ছোট কাজগুলো শেষ করা যায়। এই দিনটি আমাদের সকল ক্লান্তি ও একঘেঁয়েমিতা দূর করে আবারো নতুন করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি যোগায়। এই সবকিছু মিলিয়েই শুক্রবার দিনটি আমার সপ্তাহের সেরা দিন।

How do you spend your favorite day? Explain.

এই দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ঘুম থেকে বেশ দেরিতে উঠি। ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ মোবাইল ইউজ করি। এরপর সকালের খাবার খেয়ে বাজারে যাই। বাজার থেকে এসে আমার ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। এরপর গোসল করে জুম্মার নামাজ পড়তে যাই।

শুক্রবারে বাজার করার কিছু মুহূর্ত

জুম্মার নামাজ পড়ে বাসায় এসে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। সপ্তাহের অন্যান্য দিন একসাথে খাবার না খাওয়া হলেও শুক্রবার দিন সবাই একসাথে বসে খাওয়ার চেষ্টা করি। খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ রেস্ট নেই, গল্পের বই পড়ি, মুভি দেখি অথবা বাসার সবার সাথে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করি। এরপর বিকালের দিকে ঘুরতে যাই।

বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত

এই দিনে সকল বন্ধু-বান্ধবরা একসাথে হই। আগে প্রায় প্রতিদিন বিকালে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানো বা খেলাধুলায় মেতে থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততার কারণে বিকালের দিকে খুব বেশি বন্ধু-বান্ধবের দেখা মেলা কঠিন একটি ব্যাপার হয়ে ওঠে। তাই শুক্রবারে প্রায় সবাই চেষ্টা করে একসাথে মিলিত হওয়ার এবং কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ দেরি হয়ে যায়। বাসায় ফিরে হাতমুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নেই। এরপর রাতের খাবার খেয়ে নেই। এরপর মোবাইল ব্যবহার করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে যাই।

Do you think we must get one day in a week to rejuvenate ourselves? Justify.

Source

আমি অবশ্যই মনে করি যে সপ্তাহে একটি দিন আমাদের পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বেশ জরুরী। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো আমাদের বেশ কর্মব্যস্ত সময় কাটে। এর ফলে আমাদের মাঝে একঘেয়েমি ও ক্লান্তি চলে আসে। মাঝে মাঝে মানসিক অবসাদে ভুগতে হয়। সপ্তাহের এই একটি দিন আমরা নিজেদেরকে সময় দিতে পারি। দৈনন্দিন রুটিন কাজের বাইরে এসে এই দিনটি আমাদের পছন্দমত অতিবাহিত করতে পারি। এই দিনটি আমাদের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। আবারো নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি ফিরে পাই। অতীতকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাই। তাই আমি মনে করি নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজেদেরই নেওয়া উচিত এবং সপ্তাহে একটি দিন নিজের ইচ্ছা মত কাটানো উচিত।

Do you believe childhood was the best time when we enjoyed our favorite days more comparatively now?

শৈশবের সময় গুলো সব সময়ই সেরা। তখন শুক্রবার মনে ছিল অন্যরকম একটা আনন্দের দিন। শুক্রবারে বাবা কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসতো। সারাটা সকাল কাটতো তার সাথেই। তারপর গোসল করে একসাথে নামাজ পড়তে যেতাম। নামাজ পড়ে এসে খাওয়া-দাওয়া করে আমাকে জোর করে ঘুম পাড়িয়ে দিত। তবে আমি মাঝে মাঝে ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকতাম। এরপর আম্মু যখন ঘুমিয়ে যেত তখন চুপি চুপি বিছানা থেকে উঠে চলে যেতাম বন্ধুদের সাথে খেলতে।

Source

ছোটবেলায় খেলাধুলার স্মৃতিগুলো ছিল অসম্ভব সুন্দর। গোল্লাছুট, বরফ পানি, জুতা চুরি, কানামাছি ইত্যাদি খেলা খেলতাম। আরেকটু বড় হওয়ার পরে প্রতি শুক্রবার বিকালে ক্রিকেট অথবা ফুটবল খেলতাম। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কারণে আর আগের মত বিকেলবেলা খেলাধুলা করা হয় না। আগের মত মজাও হয় না। বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজেকে দেওয়ার মত সময় আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। তবুও ভালো আছি সুস্থ আছি এটাই বড় কথা।