The September #1 contest by @sduttaskitchen|Weird habit you want to change!

শুভরাত্রি বন্ধুরা, আজ শুক্রবার ২২শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলেই ভালো অবস্থায় আছেন এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আমাদের ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া কমুনীটির অ্যাডমিন @sduttaskitchen দিদি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের জন্য কন্টেস্টের আয়োজন করেছেন যার বিষয় হচ্ছে আমাদের অদ্ভুত অভ্যাস এবং আজকে আমি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমি তিনজনকে @shahriarprottoy, @sifat420, @tanay123 কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমাদের অদ্ভুত অভ্যাস বিষয়ক কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।

Share your weird habits with us!

সত্যি বলতে আমার দৈনন্দিন জীবন অদ্ভুত অভ্যাসে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। দেখা যায় প্রায় প্রতিটি কাজে ক্ষেত্রেই আমার অদ্ভুত অদ্ভুত বিভিন্ন অভ্যাস রয়েছে, এই অভ্যাসগুলোই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার অদ্ভুত অভ্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু অভ্যাস নিচে দেওয়া হলো :

Source

১. ঘুম থেকে দেরিতে উঠা : এই কনটেস্টে অংশগ্রহণকারী অনেকেই এই অদ্ভুত অভ্যাসটার কথা বলেছেন। তাদের সাথে আমার ব্যাপারটি কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও এক্ষেত্রে আমার একটু ভিন্নতা রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ দেরিতে উঠলেও নয়টা দশটার মধ্যে উঠে যান কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সাধারণত বারোটা একটার আগে ঘুম ভাঙ্গে না। ঢাকায় মেসে থাকার সময় এমনও দিন গিয়েছে ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল তিনটা চারটা বেজে গিয়েছে। মাঝে মাঝে তো ঘুম থেকে উঠে দেখি আবারো রাত হয়ে গিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো বা একদিন ঘুমের বিশ্ব রেকর্ডও করে ফেলতে পারি।

Source

২. সিগারেট নিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়া : এই অভ্যাসটি আমার দুই তিন বছর আগেও ছিল না। তখন আমার কাছে এই অভ্যাসটি খুবই অদ্ভুত এবং বিরক্তিকর বলে মনে হতো। আমাদের মেসের একজন মেম্বারের এই অভ্যেস ছিল। তারপর এক সময় ছোঁয়াচে রোগের মত আমার মাঝেও এই অদ্ভুত অভ্যাস ওরফে বদ অভ্যাসটি পরিলক্ষিত হওয়া শুরু হয়। এখন এমন অবস্থা হয়েছে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সিগারেট নিয়ে ওয়াশরুমে না গেলে সেখানকার কর্ম সম্পাদন অপরিপূর্ণ রয়েছে বলে মনে হতে থাকে।

Source

৩. খাবারের অনিয়ম: ঘুম থেকে ঠিক সময়ে উঠতে পারি না বলে খাবারে অনিয়ম হয় এমনটা ভুলেও ভাববেন না। বরাবরই বলে আসছি আমি বেশ অলস প্রকৃতির একজন মানুষ। তবে ঠিক কতটা অলস সে সম্পর্কে কিছু ধারনা হয়তো আজকে পেতে পারেন। খাবার প্লেটে নিয়ে হাত দিয়ে তুলে খেতে হবে এই ভয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা না খেয়ে শুয়ে বসে থাকা আমার নিত্যদিনের ব্যাপার। রাগের মাথায় অনেকে অনেক সময় না খেয়ে বসে থাকে তবে ক্ষুধা পেটে নিয়ে খাওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আলসেমির কারণে না খেয়ে থাকার অভ্যাস আমি আর কারো মাঝে দেখিনি। আবার খাবার গ্রহণের সময় বেশ বাড়িয়ে খেয়ে থাকি যাতে করে দীর্ঘ সময় খাদ্য গ্রহণ না করলেও চলে। এতে করে ইদানিং কালে বেশ বড়সড়ো একটি ভুড়ি ও দৃশ্যমান হয়েছে।

Source

৪. কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম: এডমিন দিদির পোস্টে দেখলাম তিনি পাঁচ মিনিটের জন্য কোন কাপড় পরলেও এটি পরিষ্কার না করে আবার ব্যবহার করতে পারেন না। তবে আমার ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো। একটি কাপড় পরিষ্কার না করে ঠিক যতদিন পড়া যায় ততদিন আর ওই কাপড় পরিশ্রম করে পরিষ্কার করার সাহস করে উঠতে পারিনা। এক্ষেত্রে কাপড় ধোয়ার পরিশ্রম করার চেয়ে নতুন কাপড় কিনে সেটা পরিধান করা আমার কাছে অত্যধিক পছন্দনীয়। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় এবং এখনো বাপের হোটেলে বসে অন্ন ধ্বংস করে চলেছি বলে নিজের ইনকামের কোন পন্থা খুঁজে বের করতে পারিনি। আর এ কারণেই প্রতি মাসে নতুন নতুন জামা কাপড় কেনার মতো পছন্দনীয় কাজ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে অনেকদিন ধরে ময়লা কাপড়গুলো জমিয়ে সেগুলো একবারে ধুতে যাওয়া আমার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। তবে এর থেকেও অদ্ভুত স্বভাব হচ্ছে ধোয়ার উদ্দেশ্যে কাপড় ভেজানোর পর পরিশ্রম করে ধোয়ার ভয়ে সেগুলো দীর্ঘসময় ভেজানো অবস্থাতেই পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে অনেকগুলো জামা কাপড় একসাথে ভেজানো থাকার ফলে কাপড় গুলোর রং উঠে একটি আরেকটি সাথে মিশে যায় এবং পোশাকগুলো রংধনুর মত ভিন্ন ভিন্ন রঙে সজ্জিত হয়।

আজকের মত আমার অদ্ভুত অদ্ভুত অভ্যাসের তালিকা এখানেই শেষ করছি। তা না হলে হয়তো বা অদ্ভুত অভ্যাসের কথা লিখতে লিখতে কনটেস্ট এর সময় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। পরবর্তীতে অন্য কোনদিন আমার আরো কিছু অদ্ভুত অদ্ভুত অভ্যাস নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।

Which habit among them do you want to change?Reason

সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমার উপরে উল্লেখিত অভ্যাসগুলো অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করা আবশ্যকীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো এবং ঘুমের মাঝে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখা আমার খুবই পছন্দের কাজের মধ্যে একটি। কোন কারনে ঘুম ভেঙ্গে গেলে একপাশ থেকে আরেক পাশ হয়ে এই মুহূর্তে আবারো ঘুমিয়ে যাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ খুঁজে পাই তা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব। তবে এভাবে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিলে আমার জীবন অতি দ্রুত নরকে পরিণত হতে বাধ্য। তাই নিজের ভালোর জন্য হলেও অতি পছন্দের এই অদ্ভুত অভ্যাসটি অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

উপরে উল্লেখিত দ্বিতীয় অদ্ভুত অভ্যাসটি দীর্ঘদিন ধরে বাদ দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত আর সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। বাড়িতে থাকার সময় এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করা যতটা সহজ হয়ে ওঠে, মেসে থাকার সময় ঠিক ততটাই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তবুও চেষ্টায় আছি অতি দ্রুতই এই অদ্ভুদ বদঅভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

Source

ঠিকমত খাবার খাওয়া প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই জরুরি। খাবারের অনিয়ম করলে আমাদের দেহে বিভিন্ন রকমের রোগ ঘর বাঁধতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ে বসে থাকার ফলে মাথা ব্যথা করা এবং মাথা ঘুরানো আমার কাছে ডাল ভাত হয়ে গিয়েছে। অতি দ্রুত অন্য কোন বড় রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আজকে এই মুহূর্ত থেকে আমার এই অভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অভ্যাসটি পরিবর্তন করার কোন ইচ্ছা আপাতত আমার নেই। বাবা-মা যদি দয়াপরবশ হয়ে অতি দ্রুত সুন্দরী, লক্ষ্মী ও কর্মপটু কোন কন্যার সাথে বিয়ের বন্দোবস্ত করেন তবে কাপড় ধোয়ার এই পরিশ্রম থেকে রক্ষা পাই। তবে বউ যদি ঝগড়াটে, দজ্জাল টাইপের এবং আমার চেয়েও অলস ( যদিও আমার থেকে অলস কেউ হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা ) হয়ে থাকে তবে উল্টো আমারই তার কাপড় চোপড় পরিষ্কার করা লাগতে পারে এমন শঙ্কাও মাঝে মাঝে বোধ করি। তবে ইতিবাচক কিছু হবে এই আশায় থেকে সর্বশেষ অভ্যাসটি বর্তমানে পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক নই।

Do you believe we all carry some habits that might be weird for others? Justify your answer.

Source

আমি এ কথাটির সাথে শতভাগ একমত, কারন আমার এ সকল অদ্ভুত অভ্যাস দেখে আমার উপর বিরক্ত হবে না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া ভার। আমার এক দুলাভাই আমাকে দেখলেই বলেন এভাবে চললে আর ৫-১০ বছরের বেশি আমার পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব। আর আমি যদি তার সামনে সকল বদ অভ্যাস চালিয়ে যেতে থাকি তবে সহ্য করতে না পেরে বছর পাঁচেকের মাঝে তার নিজের প্রাণ নাশেরও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে আমি যতটাই অলস তিনি ঠিক ততোটাই পরিশ্রমী এবং আমার মত অলস মানুষ তিনি মোটেও দেখতে পারেন না। তবে অলসতা এবং বদ অভ্যাসকে এমন অতি উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গিয়েছি যে আমার প্রতি যদি কেউ বিরূপ ভাব প্রকাশ না করে তবে নিঃসন্দেহে ধরে নিতে পারেন তার মাথায় কোনো সমস্যা আছে এবং অনতিবিলম্বে মানসিক চিকিৎসক দেখানোর সাজেশন রইলো আমার পক্ষ থেকে।