প্রথম অধিবেশন শেষ হলে মাগরীবের নামাজের বিরতি শুরু হয়, এই ফাকে আমি মেয়েকে স্টেজে তুলে কিছু ছবি ক্যাপচার করি। মেয়ে বার বার চাইছিল মাইকে কবিতা বলতে। তার মঞ্চে পারফর্ম করার ইচ্ছে দেখে তাকে সান্ত্বনা দিতেই আমি মঞ্চে বসিয়ে দেই।
মাগরীবের নামাজ শেষে দ্বিতীয় পর্বে ইসলামিক নাটক মঞ্চস্ত হয়। ছোট বাচ্চারা খুব সুন্দর ভাবে তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে দারুণ শীক্ষণিয় একটি বিষয় ফুটিয়ে তুলে।
.৩য় পর্ব শুরু হতে রাত ৯ টা বাজবে দেখে আমি মেয়েকে নিয়ে মাহফিলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমান দোকান গুলতে গেলাম। মেয়ে খুব মজা করে বিভিন্ন খেলনা দোকান ঘুরছে, আমি তাকে খেলনা কিনে দিলাম।
মাহফিল কে কেন্দ্র করে বসা ভ্রাম্যমান দোকান
এখানে খেলনা দোকান ছাড়াও বিভিন্ন খাবারের দোকান, চটপটি, ফুচকার দোকান বসেছে। আরো আছে নানা ধরণের মিষ্টান্ন দোকান।
সব শেষে মেয়ে একটা টুপির দোকানে গিয়ে তসবি হাতে নিয়ে বললো, সেই এই মালাটা নিতে চায়। আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম এটা তাসবিহ, এর মাধ্যমে আমরা জিকির ও ইবাদাত করি। পরে তাকে আমি একটা তাসবীহ কিনে দিলাম।
টুপি,তসবীহ ও আতরের দোকান
বাসায় ফেরার পথে, গিন্নীর জন্য বাতাসা, চানাচুর আর জিলাপি কিনে বাসায় ফিরলাম।
মিষ্টান্নের দোকান থেকে বাতাসা নেয়া
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর কিছু মূহর্তের সাক্ষী হতে পারলাম । মেয়ে বাসায় আসার সময় বার বার বলছে সেও এই মাদ্রাসায় ভর্তি হতে চায়। তার মাথায় এখন একটাই চিন্তা ঘুরছে কবে সে মাইকে কবিতা বা কোরান তেলাওয়াত করবে। আমি মেয়েকে পড়ালেখার ব্যাপারে এখনই স্কুল বা মাদ্রাসায় দেবার চিন্তাও করি নি। অন্তত ৫ বছর হলে তার পরে ভেবে দেখব। তবে তার এই ইচ্ছা আমাকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। মনে হচ্ছে স্কুল বা মাদ্রাসার সাংস্কৃতিক অনুষ্টানগুলোতে মেয়েকে সব সময় নিয়ে যাওয়া উচিৎ।
আজকে আর বেশি কিছু লিখছি না। আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো। ভালো থাকবেন সবাই।
আপনার ব্লগটি সত্যিই খুব সুন্দর এবং হৃদয়স্পর্শী। ছোট বাচ্চাদের কোরআন তেলাওয়াত এবং ইসলামী নাটকের মাধ্যমে তাদের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা সত্যিই প্রশংসনীয়। সত্যিই, মাদ্রাসা ও স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণ করানো একটি খুব ভালো উদ্যোগ। আপনার ব্লগের মাধ্যমে ইসলামী অনুষ্ঠানগুলোর সৌন্দর্য এবং শিশুদের জন্য কীভাবে শিক্ষামূলক পরিবেশ তৈরি করা যায় তা বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit